লেখকের লাশ ফেরিতে করে আমরা রওয়ানা দিই।
লাশেরা হাসে, কাশে ও ভালবাসে।
আমাদের পকেট উপচানো শ্রদ্ধা
ঝালমুড়ির প্যাকেটে প্যাকেটে বিলি করি অপর যাত্রীদের।
আমাদের কেবিনে কেবিনে নির্বাণ, নির্বাণ।
ধোঁয়া ওঠা ডিমসেদ্ধ ভেঙে এক টুকরো চোখ।
বিজবিজে ফেনায় ফেনায় বাদামখোসা আর ক্যারিকেচার আত্মা।
লাশেরা বলে ফরমালিনের গন্ধে ঘুম আসে না।
লাশেরা লেবুর শরবতের হাউস জানায়।
আমরা তাদের দেখাই কাম ও ...
ঠিক কাকে কবিতা বলে আর কাকে বলে ধুনফুন, এই ধাঁধা থেকে বের হতে গেলেই পরবর্তী ভুলভুলাইয়াতে ভুদাই হয়ে ঘুরি। বইতে যা লেখে সেগুলি মাথায় ঢোকে না। মাথায় যা ঢোকে তার অনেক কুকি আগে থেকেই ধূসরবস্তুতে গেঁথে ছিল। সুতরাং হালের কবিতাকলহ মগজে বলকে উঠে কান উপচে কাঁধে পড়তে আঁউ করে উঠি। শেষ পর্যন্ত কাব্যবীক্ষা ছাড়া সব কিছুই বুঝতে পাই একদেড় কেলাস...
ধরা যাক
পল্টি খেতেই
খাতা থেকে খেরোগুলি মুছে...
জীবন অনেকরকম।
মৃতের নখ বা ঘাসের ফুল।
কখনও তোমার ঠোঁটের খুব কাছে ঠোঁট এনে,
দেবে গুঁইসাপ।
কখনও ঘুম ভাঙাবে চুমি আঁখি।
প্রচণ্ড পলাশ দেবে খোঁপায়,
আর রাতের ডিনারে মৃত বেড়াল।
তাই বলি, বাঁচো।
ধুঁকে হোক, খুঁটে হোক, প্রেমে বা অপ্রেমে,
বাঁচো।
একদিন খুলে যাবে রাজপথ।
একদিন খুলে যাবে কৃষাণী।
যে তোমার চোখে আঙুল ঢোকায়,
দেবে তাকে গন্ধরাজ?
এ বিচার আমি জানিনা।
এ বিচার তোমার।
পথিক যদি জল চায়,
...
“.........বুকে ভর দিয়ে এগোই, কালো প্রেমে মৃত্তিকার আলিঙ্গনে। এইখানে কাদায় কাদায় দশটি পায়ের ছাপ দিগন্তে দেখায় সূর্যাস্তের পথ। দুপাশে যন্ত্রমূখী মানুষের ভীড়ে আমি পাগল বৃক্ষ আর সবুজের কথা চেঁচাই আপনমনে। কিন্তু কেউ শোনে না, কেউ বোঝে না। রক্তে শীর্ণ প্রলয় আর নখে উদ্ভ্রান্ত আঁচড় তুলে কেউ দ্যাখে না। চোখে পেরেক আঁটে দু-তিন জনে, অল্পদরে বেচে হর্ষ আর তা কিনে গোগ্রাসে গিলতে থাকে বিষন্নদৃষ্টি...
সুখ- হাসি- গান- আড্ডা- তালের ফাঁকে
দিন কেটে যায় দারুণ রুটিন ধরে-
মধুর সময় মুখ তুলে চায় শুধু
মুখর প্রাণে নবীন উছাস ভরে!
হঠাত্ কী হয় একলা কোন ক্ষণে
মন উদাসীন স্মৃতির মালা গাঁথে,
মুক্তো হাতে আনমনা মন ভাবে,
কারণ ছাড়াই হারায় স্মৃতির সাথে।
বুকের লুকোন্ দুঃখগুলো বুঝি
আবার জাগে গহীন ঘুমের শেষে,
আমরা পুতুল, মনের সুতোয় নাচি,
অতীত ঘাঁটি ধুলোয় মলিন বেশে।
গুমরে মরি কোন অজানা শোকে,
১। আদর
প্রেম এসেছিল সকালবেলায়
আস্তে ধীরে নয়, ঝড়ের মতো, শিলপড়া বৃষ্টির মতো।
শরত শিশিরের মতো।উদ্ধত না,
ফাল্গুনি হাওয়ার মতো শিরশিরে,
কাঁচামিঠে আমের মতো, আতরের গন্ধ আর আশ্লেষের ওমের মতো,
আদর এসেছো ফিসফিস ঘ্রাণের মতো,
ঢেঊখেলা ধানক্ষেত যেন।
২।অভিমান
তুমি তো জানোই
আমি ভালোলাগায় মরেছিলাম সারাটা সকাল।
ভেবেছিলাম মুখোমুখি বসে ঝগড়া করবো, কবিতা পড়বো।
স্যাফো, জয় গোস্বামী, বাস...
এখন--
আমার কেবল ইচ্ছে করে, লাল ঘুড়িটার লেজের সাথে-
ইচ্ছেগুলো মাখিয়ে দিয়ে, অনেক দূরে হারিয়ে যেতে।
হঠা\--
তোমায় দেখে ইচ্ছে হলো, সারা জীবন চুপটি থেকে-
তোমার চোখের তারার মাঝে, রঙ্গিন কোন স্বপ্ন পেতে।
আবার--
যখন ছিলেম নিজের মতন, একা একাই লাগতো ভালো,
মন খারাপের দুপুর বেলা, প্রজাপতি করতো আলো।
হয়তো--
ছোট্ট বেলায় ইচ্ছে ছিল, অবুঝ কোন বিকেল বেলায়,
তোমার মত কাউকে পেলে, কাটবে সময় না...
একটা সময় তুমি আমি রাত কাটাতাম অন্য ঘরে
দিনের শুরু হলে পরে
কোন একটা অংক ক্লাসে
তোমার আমার দেখা হত যৌথ কোন সিলেবাসে
মান-অভিমান দু:খ-সুখের ঢাকা শহর
তখন ভীষণ তীব্র ছিল
তোমার আমার স্বপ্নে ছিল
একটা ছোট লালরঙা ঘর।
সেসব অনেক আগের কথা
বেশ কিছুটা ভিন্ন এখন বাস্তবতা।
তুমি আমি এখন থাকি এক সাথে এক অন্য দেশে
সোজা সরল রাস্তা ছেড়ে খুব পাহাড়ী পরিবেশে
সেই দেশেরই ছোট্ট কোন বাড়ির ভেতর
এখন আছে ...
সেই তুমি বাংলাদেশ হলে না কেন?
যে তুমি রাহেলা হয়ে ওঠো, চামেলিও হতে পারো
ঘর-বাড়ি, জলা-জংলা, সংসার হতে পারো
সহজেই হতে পারো শহুরে জমির খাজনার আপডেট
সেই তুমি বাংলাদেশ হলে না কেন?
তুমি ফসলের মাঠে রাক্তাক্ত যুদ্ধ হতে পারো
পলিথিনের অভেদ্য স্তর সাজাতে নদীঘাতক হতে পারো
তুমি জটকা নিধনের দুর্বোধ্য জাল বিছাতে পারো
সহজেই হতে পারো চালের আড়তের ধূর্ত মহাজন
সেই তুমি বাংলাদেশ হলে না কেন?
তুমি ...
আইবিএম একটা কোম্পানি
মেসার্স মদিনা ট্রেডার্সও তাই
আইবিএম আপনাকে লিঙ্গচালনায়
প্রভূত জোর দেয় মেয়েদের মহলে
মেসার্স মদিনা ট্রেডার্স সেসব কিছুই দেয় না
দেয় না খ্যাতি কেউ নেয় না আমলে
আপনি আইবিএম হলে মাংসরাশি নিজেই
সেজে আসে পোর্সেলিন বাটিতে
আপনি মদিনা ট্রের্ডাস হলে মাংসের স্বাদ
খুচরা দরে খুঁজে নিতে হয় পার্কে পার্কে
মাংসাশী না হলে এসবে কী বা এসে যেতো
কী বা হতো আর মদিনা কি আইবি...