সাধনা দশন দিয়ে নির্বিকার দিন চূর্ণ হলে
ওই প্রান্তে পরাক্রান্ত ভোরের ছোবল,
অপরাধী তীর এসে মুছে দেয় মানুষের ভীড়
আমার চায়ের কাপ ক্ষেপে গিয়ে না ছলকে খালি হয়
অতল মাটির কাছে অকারণ জেদ করে
এক কামড় ক্রিমের ক্র্যাকার!
কবে হলো এ পৃথিবী মানুষের গ্রাম!
ক্ষ্যাপাটে মাটির রাগে রাজবাড়ি কাঁপে, দমবন্ধ স্কুল,
আবদ্ধ মায়ের হাতে শিশু ছিটকে গেলে
নিষিদ্ধ ত্বক ফেটে রক্ত আসে বাস্তুহারা সাপ।
এত দ্র...
আমি:
মনের কথা পায় না মুখে ভাষা
কেমনে জানাই অতল ভালবাসা!
বলছি কথা, আসছি কাছে যত
কাঁপছে হৃদয় ছন্নছাড়ার মত,
একটু পরশ, একটু চোখে চাওয়া,
খানিকটা ক্ষণ তোমায় পাশে পাওয়া,
এটুকুতেই পূর্ণ যেন প্রাণ,
অসংকোচে হৃদয় করে দান,
প্রত্যহ এই ব্যাকুল মনের আশা
জানাবো তোমায় গভীর ভালবাসা...
সে:
মনের কথা নাই বা পেল ভাষা
জানাতে চাও অতল ভালবাসা?
ঠিক আছে, তবে এই ভাবেই থাকো
তোমার মনে আমায় ধরে রাখো,
মাঝে মাঝে ডে...
নির্বাচিত দীর্ঘশ্বাস পাখি হয়ে যায়
গাছে গাছে রেখে যায় ক্লান্তির ছায়া ।
আকাশের প্রাচীর জুড়ে মেঘের আঁচড়
তবু রাঙিয়ে উঠে চাঁদ;
আমি বলি সম্ভাবনা তুমি বলো সম্ভব না!
বালিশে কান পেতে শুনছি রাতের বেহালা,
সুরে সুরে ঘুমগুলো ভাবনা হয়ে যায়,
শরীরে আমার ক্লান্তি চাষ করে ঘুম চলে যায়।
সম্ভাবনা পায়চারি করে হৃৎপিণ্ডের বারান্দায়
ঠিক তখন ঘাতকের ছুরি ঘড়ির কাঁটা হয়ে যায় ...
====================================
০
না হয় দেরী করে ফিরেছি বাড়ি
ঝাঁঝালো খোঁপার মাঝে অসমাপন রেখেছো
রূপকথার মতো রহস্যের বেণী!
কূলপ্লাবী ঠোঁটে সমুদয় ওয়ার্কার-ইউনিয়নের
আন্দোলন ভেঙে যাওয়ার নন্দন;
না হয় আলসে করে হাঁটি।
ফুলটুসি বাহুতে জল বরাবরই ভসকা:
মূলত স্নানটবে পানি জমার কারণ ব্যতিক্রম নয়।
না হয় একটু দেরী করে বের হয়ে আসি।
অন্ধ পিঁপড়েরা টগবগ করে ডানা মেলতে জানে
সুদৃষ্ট কেউ শিখে রাখে উড্ডয়নের অঙ্...
তার মতন কাউকে কখনও দেখিনি –
নির্জন অলিতে গলিতে অথবা রাজপথের জনারণ্যে, কোথাও নয়।
আমি মুগ্ধ চোখে চেয়ে রয়েছি –
ফেরা হয়েছে আমার এই ঝুপড়ি ঘরে, মনটাকে অকারণ বন্ধক রেখে।
রঙগুলো মেঘ হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে আকাশের বুকে –
দৌড়ে ধরতে চেয়েছি ওদের, বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে আড়াল দিয়েছে আমাকে।
সত্যি বলছি ভালো তো বাসিনি তোমায় –
নিতান্তই অবহেলা ভরে দেখেছি দুয়েকবার, যতবার তাকালে ভালোলাগাটুকু হয়।
তুমি থ...
সেদিন আকাশে অনেক তারা ছিল
আমার মনে কি ছিল সে জানতো
কৌটা থেকে ভ্রমর খুলে অনামিকায়
পরিয়ে ছিল; আমার চোখে কোথার থেকে
কাজল জমে অনামিকার ভ্রমর থেকে;
যে জেনেছে সাতটি পদ্ম খোপার মধ্যে
আমার মাথায় সাজিয়েছে;
পদ্মগুলি শুকিয়ে গেছে
সে আজ কোথায়, আজ আকাশে
আবার কত তারা জমেছে সব তারারা
ঝলমল করে জলছে, হয়তো সেও একটি তারা
যে কখনো দেয়না সারা।।
সুমাইয়া জামান
আমি কি দুঃখ পাই?
এখনো কি দুঃখ পেতে পারি?
এখনো কি ঝড় শেষে পাশ ফিরে শোয়াটুকু
কষ্ট ছুঁড়ে দ্যায়!
এখনো কি কলঘরে
জলের আওয়াজে ডুবে উচ্চারণহীন থাকে
শরীরের গ্লানি মুছে ফেলা
স্মৃতিতে আমার কি- আজও ওই পরাশ্রয়ী স্বপ্ন জেগে থাকে
মুখর জলের সাথে একা একা কথা
একা একা ধুয়ে ফেলা প্রেম, স্বেদ, গ্লানি সব
জলের প্লাবনে?
এসবে কি দুঃখ পাই, পরিচিত তিথি ভুলে যাওয়া
এসব নগন্য সখ;
এসব কি দুঃখ দিতে পারে!
হয়ত...
চিনে রাখি এইসব রক্তযোনিছাপ । যে পাতা দখল করে
রেখেছে মাঘের দুপুর আর লালপিঁপড়ের লালা, চীৎকার
দিয়ে সূর্যও ফেটে পড়ছে আমাদের মাথার উপর - আর
বলছে ; থামাও সংগম - হে নদী , হে জীবনের কালোপথ।
লিখে রাখি সেইসব বন্দীদের বনেদি নাম। যারা কারার
কপাটে ঘষেছে মস্তক , অবনত কৃষ্ণকাহনে সেরেছে পূজো
অভাগা পূজারীরাও মুক্তমাঠকে বৃষ্টির মন্দির ভেবে।
জানি আমার চেনা-লেখায় কিছুই যায় আসে না। প্রতারক
পর্বতে...
অক্ষরগুলো কালো পিপড়ে হয়ে ওঠে,
লাইনগুলো ক্রমে শুয়োপোঁকা ।
শেষনোটে পোঁকাদের চেয়ে
বেশী কিছু থাকতে নেই,
কেননা কিছু জিনিস অমিমাংসিত থেকে
গ্যালেই মৃত্যুঞ্জয়ী হয়।
এখন শুধু মাথার মধ্যে ডবকা
ছুরির মতো গেঁথে থাকা
প্রশ্নটার মিমাংসা মাত্র -
ফুটপাথে একটা নিশ্চিত
থ্যাতলানো খুলি পেতে হলে
ক’তলা থেকে লাফ দেয়া নিরাপদ?
ঠিক কতটা ত্বরনে পতন হলে
ভয়, গলা থেকে একটা তীহ্ম আর্তনাদ
ছিঁড়ে নেবার ...
কখনও ছিলাম এখানে ডাঙায়; কখনও বড়শিও মতো টোঁপগাথা জলের গভীরে
আমিও জলধোয়া মাটি ছুঁয়ে মিশে গেছি স্রোতের বাহুতে, যার অনামিকা থেকে-
খসে গেছে বিবাহের পলিমাটি। আমারও জিহ্বায় ছিলো চেখে দেখা চারের বিস্বাদ
আর প্রজনন ঋতুগামী মায়াবী ঠোঁটে জমাট বাধা রক্তের চিতকার। আমিও দেখেছি
মানুষের চোখ থেকে ঝরেপড়া লোভাতুর লাভা- হিরন্ময় নদীর বুকে মিশে গেছে-
আয়োডিন উতসবে। সাগরের তীর ধরে ছুরিকাটা বুকে ...