নগ্নতা ছেড়ে শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
উঠেছে রঙিন আভরণ।
ভেতরে কাঁচা মাংসখেকো গুহামানব।
প্যানথারের থাবার আগেই আজও
হরিণের চামড়ায়-মাংসে মানুষের তীরের
দগদগে ক্ষত।
চড়চড় ফর্ ফর্ শব্দে ছিঁড়ে আনা
দুধেল-গাভী, শম্বর, বারাশিঙা, পাঁঠার
বড় - ছোট - মাঝারি হৃৎপিন্ড,
হৃদয়।
পেঁয়াজ, মরিচ, হলুদে মাখামাখি, সুস্বাদু-
গণগণে আগুনের আঁচে চকচকে ফ্রাইপ্যানে।
গবেষকের নথিতে মানুষখেকোর
দুঃখ উঠে আসে-
ইন্টেল...
দুই হাত দশ আঙুল
অতিশয় পতনে উৎসুক
দুদিকে প্রলাপ চলে
স্মৃতির-বর্তমানের
ভবিষ্যৎ-অন্ধকার-আলোর
এই বুঝি দিন চলে গেল
এই বুঝি আসি আসি
প্রস্তর সময় পুনর্বার।
সৃষ্টির আদিতে চলো
জন্তুর উচ্চাঙ্গ স্বরে
প্রাথমিক ভাষ্যের উদ্ভবে-
উড়ালে-পতনে!
বিনির্মাণে ডুবি,চলো
সম্পূর্ণ আদিম
ভাষা শিখি, ভাষা গড়ি
ভাষারে উৎকৃষ্ট করি—
আমাদের দুই হাতে-আমাদের দশ আঙুলে
আমাদের স্মৃতি ভবিষ্যতে!
৬৮.
ঘুম ভুলেছিলাম নিঝুম নিশিথে জেগে থেকে। তারপর জুলহাসের ডাকে চোখ খুল্লাম। খুলে দেখি লুসনিটা পন্ত জায়গামতো ঝুলছে। শুধু জুলহাসকে আর পাওয়া গেলো না। কিঞ্চিৎ জুলহাসপনা দেখা গেলো সহাস্য পলাতক পেলিক্যানের ঠোঁটে ...
৬৯.
এইসব বলে কোন লাভ নাই। ঠিক কোনসব বলে লাভ আছে সেটা আপাতত অস্পষ্ট হলেও একদিন্নাএকদিন স্পষ্ট হবে এরকম হরিহর মজমার চৌষট্টি ঘাটে একশত আঠাইশ বাড়ি স্পষ্টত: কোন কোন হাড়ি ফা...
নববর্ষ। নিউ ইয়ার ডে। নতুন বছরের আনন্দ-উৎসবের অন্যতম আয়োজন। নিজ নিজ ধর্ম উৎসবের পরই বিশ্ববাসী অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে বহু বছর ধরে নববর্ষ বা নিউ ইয়ার ডে পালন করে আসছে।
নববর্ষের জাঁকজমকপূর্ণ বিষয়টিই কেবল গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, বরং এটি পালনের সাথে মনস্তাত্ত্বিক পরিসর জড়িত। নির্মাণের সঙ্গে পত্তনের বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি নতুন বছরের প্রথম দিনটি- ব্যক্তি কিংবা সমাজ জীবনে স...
সব গান ছেড়ে গেছে আমাকে
প্রভাতফেরির গান, বিজয়ের।
সব।
তোমাদের ল্যাবরেটরিগুলোতে
সকাল-সন্ধ্যা কিছুই বোঝা যায়না,
কি করে জানব ভূপালি গাইবার
সময় এসেছে?
তোমাদের সামাজিক সভাতে
মিথ্যা আর ভাণের এত রঙ্গিন শাড়ি,
এতবছর দেখেশুনে রাখা ‘সত্য বল,সুপথে চল..’
ভেংচি কাটে আমায়, এখন।
সা থেকে সা সার সার কোক, দুধ আর জুসের প্যাকেট।
অসুর ময়লা জুতা পড়ে গটগট ঢুকে পড়ে
সুরবাড়িতে।
রীডগুলো কাল পলিথিনে ব...
একটি নক্ষত্রের কক্ষপথ দেখে জেনে যাই ফেরার নিয়ম
কীভাবে মুগ্ধতার মশাল হাতে হাঁটে জোনাকপাখিরা ,আর
স্বীকৃতির ঘনিষ্ট কৃতিত্বে জেগে উঠে মাটির পদার্থ পরাণ।
নতুন জন্মের পসরা সাজিয়ে যে কৃষক বুনেছিল বীজ,তার
প্রতিমূর্তি স্থাপিত হয় নগরে নগরে। সে তো অচেনা নয়,তবু
তাকে সনাক্ত করতে অভিধানের প্রয়োজন পড়ে !এমন ঘোর
আর ঋণবদ্ধ খাতা খুলে এঁকে যাই নিজের মুখ। আমি তো
নস্যি মানুষ ! যারা মহাজন- যারা আক...
কর্পোরেট
বণিকের কড়ি কেনে সব,
কাব্য, লাস্য, প্রেম ও দু’গালের টোল!
পাপ
আমরা সব অন্ধ উঁইপোকা,
নিরন্তর কেঁটে চলি
ফুলেল রূপকথা।
হে জিপ্সী সময় ক্ষমা করো,
ক্ষমা করো,
আমাদের – ক্ষমা করো।
প্রতীক্ষা
কবিদের অভিসারী হবে বলে
স্বপ্নরা গতকাল ছুটিতে গ্যাছে।
শুধু এক সবুজ লাউডগা
আহ্লাদী হয়ে রয়ে গ্যাছে ঘরে –
যদি কেউ ঘরে ফেরে!
বিরহ
তুমি ভাবছো পালাবে,
তো, দরজা চেনো কি?
তুমি ভাবছো শৃংখলা,
ত...
আমি আর ভালোবাসা আজন্ম সহোদর
চেনা চেনা উঠোনেই দুজনের বাড়িঘর।
আমি আর ভালোবাসা অঙ্গুরী-অনামিকা
অগ্নির-সরোবরে আমি তার দীপ-শিখা।
আমি আর ভালোবাসা রাতজাগা ভোর
মাঝরাতে জেগেওঠা কচকচে দোর।
আমি আর ভালোবাসা ঘুমভরা চোখ
চিরকাল দুজনার সূঁচগাথা শোক।
আমি আর ভালোবাসা এক জামা পরি
দু'জনেই হাতে বাধি রাতজাগা ঘড়ি।
এ মাটির কোথায় কত গহিন-গভীরে শুয়ে আছ তোমরা- কে জানে?
কোথায় গ্রথিত তোমাদের ছিন্নভিন্ন করোটি, আঙুল- অনামিকা
দীর্ঘ বাহু, প্রসারিত দৃষ্টি, দৃপ্ত পদপেক্ষ- জানি না, জানা নেই।
স্বাধীন বুকের জমাট-তাজা রক্ত কোন ধারায় মিশেছে- বানে
সত্যিই কি জেনেছি, আত্মার জমিন খুলে পড়েছি কি ইতিহাস?
হাজার নদীর বহমান স্রোতে রেখেছি কি কোনো অন্তরঙ্গ প্রতিজ্ঞা?
তবু বিশ্বাস করি, প্রতি বৃক্ষের শিকড় ছুঁয়ে আছে তোম...
সেই থেকে আজ অবধি এক বৈশ্বকালিক চক্রব্যূহ সুকৌশলে টানে
চলৎশক্তিহীন ব্যক্তিগত পার্থিব জীবন।
স্থূলকায়া বটের মতন, শেকড়ে প্রোথিত। পৃথিবী বদলায়-
স্বাস্থ্যদায়ী হাওয়া খেতে বিপাশার উদ্যানে যেতে ঈপ্সিত হই কতবার-
সবিস্ময়ে যদিও জানি সীমানা গিয়েছে থেমে সমতটের কিঞ্চিৎদূরে
আমারও আর , হাত সরে না -পা সরে না, অলস লাগে!
হয়তো হীরকখন্ডের মতন দ্যুতিময় স্রোতও উদ্বাহু কামার্ত,
মোহকে লুকাতে চায় ...