এখনও কবিতায় আছি
একটু পরে গদ্যে যাবো
ফিরে যেতে যেতে তুমি বলেছিলে
ওখানে তোমাকে পাবো।
এখনও শিশিরে মাখামাখি
একটু পরে শুকাবে লতা
রোদপোড়া হলে দেখা হতে পারে
এমনই তোমার কথা।
নীল অস্ফূট কণ্ঠে ডাকি যে নাম
অবিশ্রাম বর্ষণের বেগে
করি যাকে আলিঙ্গন
নিরুত্তর আবেগে,
অচেনা হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে
ঝরা পাতার শিরায় শিরায় আঁকি যে নাম
তার হেঁয়ালি উচ্চারণে
মুক্ত হল মন্ত্রিত বন,
শীতের আগমনে
ঝরা পাতার মৃত্যু হল-
ফাগুনের দস্তাবেজে লক্ষ নামের ভিড়ে
অনন্তকাল র’বে এখন বাকি সে নাম …
********************************************
**বন্ধুবরেষু হাসান মোরশেদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক, এখনও সচলের কবিতা সঙ্কলনটি জন্মায়নি, আদৌ জন্মাবে কি'না নাকি তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হলো জানবার ইচ্ছে ও অতৃপ্তিটুকু নিয়ে সে লেখাটি এখানে তুলে দিলাম।
যদি ভবিষ্যতে কখনও জন্মায়, তাহলে নতুন কবিতাও হয়তো জন্মাবে।**
*********************************************
অবসাদ,অবসাদ---- ছুঁয়েছে আমায়
হতশ্বাস, ভেঙে পড়া ন্যুব্জের মতো।।
ভিতরে -------গহীনে ----------
...
কারে যেন খুজে ফেরে
উদাসী চোখের নদী।
জানি, সে তুমি।
পৌনঃপুনিক ফিরে আসে বিশ্বাসঘাতক রাত্রির মায়া-
আলেয়ার পিদিম জেলে ডাক দিয়ে যায়
সেইসব রাত্রির কোলাহল!
শুধু তুমি আসনা!
তুমি ডাকনা!
অথচ তোমার তরে কী নিদারুন আর্তি আমার
চোখে,হৃদয়ে,মনে ও মননে;
মস্তিস্কের প্রতি নিউরনে।
১৯/১১/০৯ইং
##আকাশলীনা##
একদিন যদি সত্যিই দেখা হয়ে যায়
যেমন কখনো কখনো সত্য হয় রুপকথা ,
আমরা দু’জন- হঠাৎ কোথাও- মুখোমুখি।
বহুকাল ধরে যাকিছু জমানো বরফ,
কথা, অভিমান, অথবা বুকপকেটে
নিয়ে ঘোরা জগদ্দল পাথরের মতো
বহু প্রাচীন প্রশ্ন কোন এক,
ইলিশের মসৃন পেটের মতো
স্মৃতির গহন থেকে যদি ছলকে ওঠে -
বর্তমানের রৌদ্র স্নানে।
অথবা এমনও কি হতে পারে
(মাফ করো, পৃথিবীতে কতো অলৌ্কিক
আর অসম্ভব ঘটনাইতো ঘটে)
যে তোমারও আছে কিছু ...
পেছন থেকে ডাক দেবেন না
আমার একদন্ড সময়
বাজে খরচের সুযোগ নেই।
পেছন থেকে ডাক দেবেন না
আমার পেছন ফিরে তাকানোর
জো নেই।
পা চালিয়ে সামনে না গেলে
হয়তো পেছনের মতো
আমার সামনেটাও একদিন
পেছন হয়ে যাবে।
পেছন থেকে এভাবে আর
কখনও ডাক দেবেন না।
গতি-দাহ নিয়ে সন্দিহান চোখে; সেও আসতে পারে এমন কথা কাউকে বলা যাবে না দু-জনের সন্দেহে; এরকম চিন্তায় আমাদের সম্পর্ক মিশে যেতে পারে আ-ছোঁয়া ভ্রমর বাতাসে রূপকথার স্মৃতি বলতে আসিনি, যা বলবো শুধু নিজের কাহিনী
হাতের মুঠোয় আঁকড়ে ধরে আছি
একরাশ রঙিন কাগজ। ফেস্টুন।
কাগজ? শুধু কাগজ নয় ওগুলো;
অন্তত আমার কাছে তো নয়ই।
তাহলে কি ওগুলো? আমি বলি,
‘ওগুলো স্মৃতি’। হাসলে? হাসির কথা নয় মোটেও!
মনে আছে? সেই যে সেদিন?
মনমরা হয়ে বসে ছিলাম আমি।
কিচ্ছু ভাল্লাগছিল না। এই যে, এখানে,
এই কাগজটিতেই তুমি এঁকেছিলে! দেখ, দেখ!
মনে পড়ে না বুঝি? অমন কৌতুকময় কার্টুন
শুধু তুমিই আঁকতে আমাদের ক্লাসে।
এই ময়লা আধ-ছেঁড়া কাগজটু...
হঠাৎ কেন তোমার কাছে ছুটে চলে আসি?
দেখব নাতো তোমার মুখের হাসি রাশি রাশি,
সকালে নয়, দুপুরে নয়, আগুন ঝরা সাঁঝে,
আমার ছুটি শীতের রাতে তোমার বুকের মাঝে।
প্রিয়া আমার, শহর আমার, বাসবে আজও ভালো?
অন্ধকারে এখনওকি জ্বালবে আমার আলো?
--------------------
তাসনীম (tmhossain)
শিরস্ত্রান ছিলনা আমার, আজও নেই
বুঝিনি কখনো লাগে ঢাল, লাগে মুখ ঢাকা প্রবল মুখোশ
লাগে রাজনীতি শেখা- দুইয়ে দুইয়ে পাঁচ বানাবার।
এখনো বন্ধ চোখে অপার্থিব আলোকসজ্জ্বা
নিঃশ্বাসে ঘন হয় বাণিজ্যিক পুস্পের নির্যাস
তন্দ্রায় বুঝে নেই স্বর্গোদ্যানে নিয়েছো আমায়
এমন মৃত্যুর কথা ভাবি
এমন মৃত্যু কি হয়!
তোমাকে দেখবো বলে সুন্দরের পাশে শুয়ে
জীবনের ভাঁজ খুলে দেখেছি মরণ
শান্ত মরণ, কিছুতেই অভাব...