আমাকে তাড়া করে গড়িয়ে নামছে সন্ধ্যা
খিড়কি দরজার ফাঁকে
ফলে কার্নিশ ছুঁয়ে নামছে এক পশলা রোদ
গোপনে নেমে গেছে তখন রোদের ছায়া
তারপরও রয়ে যায় অপেক্ষাসহ স্মৃতি-স্বপ্নকথা
যার জন্য গুনে রাখি প্রহর; আঙুলের রেখা
সে তো শাদাপরী
সন্ধ্যে নামার আগে ফিরলে না তাড়াতাড়ি
যেভাবে পাখি ফিরে নিজের বাড়ি
কারো তাড়ায় আমি মিশে যাই দূরের ছায়ায়
যদি ফিরে এসো আমরাও মিশে যাবো
রাত্রিদিনে তারায় তারায়
সময়ের গোপনে
অদৃশ্য আগুনে,
পুড়ে যাচ্ছে তোমার দৃশ্যগুলি।
বাড়ি ফিরে যাচ্ছে নদী
সন্ধ্যা নেমে এলো বুক অবধি,
ঘোড়ার পিঠে বসে চলে গেলো গোধূলি।
আকাশের ঐ নীড়ে
তারাদের ভীড়ে,
ইচ্ছে হলো দু'জনে কথা বলি।
তোমায় দেখি না, তুমি কিসে ঢাকা?
মহাকাশে বিরহের অবয়ব আঁকা,
তুমি নাই-তুমি নাই, নির্জন অলি-গলি!
পড়ে আছে রাত্রির খালি পাতা
সন্ধ্যাভাষায় লিখে রাখি বিগত স্মৃতিকথা।
পুড়ছে দৃশ্য, আমিও জ্বলি!
ভালো...
আজ এতদিন পরে তার সাথে প্রথম দেখা
আজ এতদিন পরে তার সাথে শেষ পরিচয়-
প্রথম বুকের পাশে জোছনার নিষ্ঠুর নখের আঁচড়
জোছনা বিরান, শোনো, বিরান অরণ্যে নিয়ে যায়-
আজ এতদিন পরে চাঁদের শ্বেতীর বিস্তার
রোমাঞ্চের শস্যক্ষেতে রাত্রের শাদা ক্ষত, জ্যোৎস্নার পুঁজ গলা নদী
ভয়ের বিশাল গর্তে শোনো সব অজগর তারারা মিলে
মৃত্যু নয়, বেদনাও নয়-
হাহাকার নয়-
'নিরবতা মহান'শেখায়!
তোমাকে পাবার আগে মহান নিরব
তোমাকে...
কোথাও পাখি দেখি না
টিয়ে ময়না বাবুই বালিহাঁস
না, কোন পাখিই দেখি না।
সারা বাংলায় ছড়িয়ে আছে
লাল, নীল, সবুজ, হলদে পালক
ছড়িয়ে আছে ঠোঁটের শুকনো বাঁকল
কোথাও সারস নেই, নেই বকের মায়াচোখ
কাকও খুব বেশি জ্বালায় না এখন
ডাস্টবিনের ভাঙা দেয়ালে বসে ঝিমোয় তারা।
কোথাও বুলবুলি নাচে না, নাচে না
চড়ুই বসে না খোলা জানালায়
ফুড়ুত শব্দে ভাঙে না সকালের মায়াঘুম।
কোথাও পাখি দেখি না
দেখি কেবল শিকারীর আ...
শুকনো পাতা
শুনে ভীষণ ভালো লাগে যখন দেখি
তোর চোখের কাছে জমা বহুকালের
আহত স্মৃতি
বলছে তারও রয়েছে চারচোখা ইর্ষার বাতি
ভাবছি পরস্পর কিছুই ঘটেনি; যতটা এগুলে
তোর গতির চাইতে বাড়তি অনুভূতি
বিগত দিনের ব্যথা এখনিই ভুলে যাবার কথা
তাতে কতটুকু দূরে দাঁড়ানো ফলধরা ব্যর্থতা
কিছুই জানলি না-
কিন্তু কী আশ্চর্য! এমন ভালো লাগার সাথে
লুপ্ত ছিল তার টান-টান গভীরতা
তুমিও চিনে রাখো শুকনো
জেনেছি রোদ্দুরেই শেষ হয়না সময় ।
আধো থেকে নিকষে গড়ায় অতি দ্রুত আঁধার ।
পেখম ছড়িয়ে যে ময়ূর ঘিরে রাখে সমুদ্র জনতার-
জানি তার স্মরণসভায় থাকবেনা বিবেকের বোধ ।
সময়ের অলীকবিলাসে হেঁটে যাই আদম-হাওয়ার আঙিনায় ।
স্তরে স্তরে সাজানো বাগানে একা ঘুরি । নিরুপদ্রব ।
আত্মরতির মহড়া শেষে মহফিল জুড়ে নামে নিরবতা নিঝুম ।
সময়ের ফাঁকি জগৎজুড়ে দুটোই শব্দ -
আছো বা নেই ।
আর সবই অর্থহীন অপলাপ ।
-আগামী...
(লেখাটি ছড়া বা কবিতা জাতীয় কিংবা কোন পদের হয়েছে বলে মনে হয় না। তথাপি ঈদের আগে মা-বাবার কথা খুব বেশি মনে পড়ায় অগোছালো এই কর্মটি সবার মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পোষ্ট করলাম। অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলি শুধরে দিন।)
বৃদ্ধ নাকি শিশুর মতন?
এ বাড়ির করিম-মাতা আর ঐ বাসার পাপ্পা,
কলুর বলদ ছিল দু'জন ছেলে-মেয়ের তরে।
কেঁচেছে কাপড় মাজছে বাসন ফেলিছে যাদুমণির মল,
কুড়িছে গোবর বিক্রি করি মুছাতে চোঁখের জ...
লক্ষী মেয়ে, শোনো!
তোমার শহর হচ্ছে উজাড়
খোঁজ রাখো কি কোনো?
বুঝি তোমার জ্বালা,
বয়ফ্রেন্ডের বায়না শুনে
দুকান ঝালাপালা!
ইশ্! যদি ও তোমায় কেবল বুঝত একটুখানি!
জানি, সবই জানি …
দর্জিবাড়ি, বসের ঝাড়ি
কত্ত পেরেশানি!!
গেল মাসে চার চারটে
বিয়ের দাওয়াত ছিলো
সেই উছিলায় বাড়লো ওজন
প্রায় সাড়ে তিন কিলো!
বেলায় বেলায় চলছে এখন
শশা-পেঁপের ফালি
দুশ্চিন্তায় মেয়ে, তোমার
চোখের নিচে কালি ...
ভুল স্রোতে নিম্নবর্তী জলকে বলেছি কাল রাতে
অভিমানী তিল ছুঁতে আসবে না নৈঋত হাওয়া
তারা, তারও বসন্তের রঙ খেলা শেষ;
তুমি যাকে পতঙ্গের পাখা সঁপে নিশ্চিন্তে দাওয়ায় বসে ঘুম
সুখের ঐরাবত তাকে দেখ
পার করে দিয়ে এলো-অসুখের, মুখোশের নদী!
এতো কোনো আধফোটা কিশলয় নয়,
গরবী গোলাপ ওই শুয়ে শুয়ে চোখ মোছে ঘন কুয়াশায়-
এমনই নিয়মে ওই শুঁয়োপোকা প্রজাপতি হয়
এমনই জেনেছে কেউ অযাচিত বিদায়ের কালে-
যেতে দাও-
...
আমার ছায়া
অন্ধকারের বুকে লাল নীল সাদা আঁচরের দাগ
মাঝে মাঝে মনে হয়, এ হলো আলোর আহ্বান
বুঝিয়ে দিয়ে যায় অতীতের কথা।
পাখি তবু যখনই সকরুন স্বরে গেয়ে উঠে,
অন্ধকার কেপে উঠে বারংবার,
এতরাতে পাখিরা জেগে থাকে কেন?
অন্ধকারের বুকে অসংখ্য তারার মত ফুঁটো,
মাঝে মাঝে ভাবি, এ ছায়াপথের আহ্বান
যে যে পথিক পথ হারিয়েছিল গত সন্ধায়,
তাদের সকলের নি:শ্বাস আর ঘামে
অন্ধকারটাকে ভিজিয়ে দিয়ে যায়।
আমি শুধু ...