ধারাপাতের গুনগুন মনে নেই
ক্যলকুলেটারের বোতাম টিপে
দেদারছে বাড়ছে হিসাবের মেদবহুল দেহ।
দুয়ে দুয়ে চার, এই বিশ্বাসও আজ
সমসাময়িক বিশ্বাস থেকে উধাও
আত্মার অবমূল্যায়ন সম্পুরক বাজেটের মতো
বরাবরই তথাগত সমীকরণসিদ্ধ।
প্রতিশ্রুতি প্রায়শ্চিত্তের যাত্রায়
অনবরত ঘূর্ণায়মান
প্রথম সূর্যের কাছে
মৃত্যুর প্রার্থনা করে না কেউ।
সূর্যাস্তের কাছ থেকেও
জীবনের নতুন স্বপ্নই প্রকৃত চা...
মুকুন্দ ভদ্র এসেছিল এমন এক রাতে:
আশ্বিনের ঝঞ্জা-বজ্র বায়ু,
সরিসৃপের উত্কট শি-শি শব্দে।
কৃতদাসের পিঠের উদার জমিন
লাল থেকে নীল হয়ে যায় চাবুকে চাবুকে,
তেমনি বিজলী-মুখর করাল দন্তে
ক্ষনে ক্ষনে হেসে উঠা নিশী-রাতে,
আজ থেকে ঠিক একটি বছর আগে
এসেছিল মকুন্দ ভদ্র:
সম্ভাবনাময় এক প্রৌঢ় বিপ্লবী।
অন্ধকারে জ্বলে, জ্বলে সিংহ চক্ষু
দ্রোহ-হুংকারে, মূক্তির আশ্বাসে
তার অন্তরাত্তা বিশ্বাসে বিস্ফ...
[justify]‘ঘোড়সওয়ার।২৭’ কবিতাটি আমি লিখে ফেলেছিলাম হঠাৎ। একটানা কলম চালিয়ে।লাইনের পর লাইন মাথায় এসে ভর করে। শেষমেষ কিছু একটা দাঁড়ায়। লেখা শেষে আমি পড়ে চমকে উঠি। ব্যলীক (কামুক) ইন্দ্র, কবিকুল, ঘোড়সওয়ার, জনতা, প্রকৃতি – কবিতায় এই কয়টি চরিত্র এসে গেছে। আপনাআপনি। যতিচিহ্ন তুলে দিয়ে কবিতাকে একটু দুর্বোধ্য করি। কয়েকবার পড়ি। একটা গতি খেয়াল করি। ক্রিয়াপদে কিংবা ক্রিয়াপদের পরবর্তী শব্দ বা ...
চলো , তার চেয়ে বরং আলাপ করি তোমাদের
পশ্চিম পুকুরের জিয়ল মাছগুলো নিয়ে, ওরা
কীভাবে লাফ দিয়ে পার হয় বাঁশের বেষ্টনী
কীভাবে মাছের রূপালী আঁশে খাবি খায়
পঞ্চদশী চাঁদ। নোলক পরা রাতের ছায়া।
আমরা আরও আলাপ করতে পারি বায়বীয়
জলবায়ু নিয়ে। কিংবা পরিবেশবাদী গবেষকের
ধ্যানে দেখে নিতে পারি দূষণমুক্ত পৃথিবীর
পদরেখা ....... আর আকাশের দিকে তাকিয়ে
বুলিয়ে নিতে পারি চোখের পরিধি , আগামী
বর্ষায় বৃষ্টি...
জলফল মৌসুম
রোদঝরা দিনে বহুকাঙ্খার লোভ জমছে না চোখে
তার মৌনতা আর স্বতঃতাড়িত রোদ চশমার ফাঁক
ঘেঁষে গড়িয়ে পড়ল আমাদের চেনা সরুপথ মোড়ে
আমিও তাকাবো-- তাকিয়ে দেখবো কিভাবে মায়া
সারাবেলা কাঙ্গালিনী হৃদাকর খেয়ে গুটিয়েছে হাত
পাঁচ-আঙুল-প্যাঁচ
২.
উড়ুহাওয়ায় ধূলিবালি উড়ে বেড়ায় নিজস্ব তরিকায়
আহ! শৈশব ফাগুন মাস একই স্থানে ঢিল ছুঁড়া হত
যদি আধাপাকা বরই দু-চারটি পড়ে, সে স্মৃতি
মনে পড়ে, ...
সোনার বাংলায় সোনা ফলে চিইন্না খাইতে পারি না রে
গাছে আল্লায় গুণ দিয়াছে,,,,,,,
গাছ চিনিয়া খাইলে পরে গাছে ধুকা দিবে না রে
সোনার বাংলায় সোনা ফলে চিইন্না -----------------
লটারী,,লটারী,,,লটারী,,,ভাইসব,,ভাই সব,,,,,,,,,,
আমার আল্লাহ রাসুলের নাম,,
দিলে ভরসাই,,আমার আল্লাহ রাসুলের নাম,,,,,,,
হুঁ আল্লাহ,,হুঁ আল্লাহ,,হুঁ আল্লাহ,,হুঁ,,
দেন বাবা, দেন, দুইডা মোমবাত্তী জ্বালাইয়্যা দেন,,
বাবার দরগাহ থিক্কা খালি হাতে যাইয়...
একা হয়ে ঘুরে বেড়াই। সদররোড
যেখানে যাবতীয় অন্দরমহল
... বিবির পুস্কুনিতে হাত ডুবিয়ে ভার্স্কয চর্চা করি
এখানে বসবে মানুষের বাসার মূর্তি
দুচোখে মাতামুহুরী দিয়ে চলে যাব
রান্নার বদ্বীপে - ভোজনরসিকরা
গ্রামস্যুপ দিয়ে ভিজিয়ে দেয় মীনের শরীর
আতপ দেহে খদ্দরের চাদর বিছিয়ে
উঠান হয়ে যাব। হট্টগোলে ভাঙবে
একার মেলা। দেহ ধূলাদেহকে
মরদেহ নিয়ে চলতে দেব না আর!
ঝলমলে জরির দেহ নিয়ে
জা¡লিয়ে যা...
ভয়
আমি ভয় পেয়েছিলাম সেই দিন, অতি গোপনে
যেদিন আমার চোখের সামনে হাসপাতালের মেঝে
ছোট্ট শিশুটি বাঁচার তীব্র কাঙ্খায় তাকিয়েছিল
তার চোখের ভাষা যেন সবার কাছে আকুতি-মিনতি
করে বলছিল 'বাঁচিতে চাই সুন্দর ভুবনে'আমাদের
তাকানোর ভেতর দিয়ে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল
সেদিনই উপলব্দি করেছি সব জীবের মৃত্যু অবধারিত
আজ সে কথা নিজের করে ভাবতে ভাবতে মনে হলো
এ-জীবনের যত ইচ্ছে, যত বাহাদুরি সবই ম...
আমার কোনো শব্দ নেই
আমার কোনো আমি নেই। তবু
আমার শরীর ঘিরে মেঘেদের মিছিল,
আমার কোনো নদী নেই
তবু আমি মাঝিদের দুঃখ বুঝি।
আমার দুঃখগুলো পিঁপড়ে টেনে নিয়ে যায়...
যে যার মতো করে আমার শরীরে
বৃষ্টি ঝরায়। আমি কাঁপন টের পাই,
তবু আমি জল খুঁজে পাই না।
যে যার মতো আমাকে নিয়ে খেলা করলো
তবু আশ্চর্য, আমি আমাকে কোথাও খুঁজে পেলাম না।
সুদূর দূরে হারিয়ে যাওয়া নীল দিগন্তের আলোতে হেঁটে চলে গেছি
কতো পথ-কোন এক অজানা পৃথিবীর রূপকল্পে আর সীমাহীন মাদকতায়
অবাধ-অসীম স্বপ্ন গুলোকে বুকে করে কেটে গেছে
কতো না প্রহর, হারিয়ে গেছে কতো বেলা-অবেলা।
আজও সেই সুর বাজে - যার কলতানে এক হয়ে
সময়ের আগে - সময়ের স্বপ্ন গুলোকে গিয়েছি বুনে।
আজও কি ফিরে আসে তারা? আজও কি সেই রোদ
খেলা করে মাঠে - ঘাসে - ফড়িংযের ঘরে?
সেই দুরন্ত সময়ের শিশির ভ...