১
হঠাৎ এক চিলতে রোদ এসে পড়ে কিন্তু আমরা জানতাম পুরো বাগানজুড়ে
সবুজ বেলুন
উড়ছে আর সরু হয়ে যাচ্ছে রবিবারের সকাল
অথচ মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখে একজন বলে গেলেন -
পৃথিবীটা না বদলে গেছে আর ভিন্নজন ক্রমশ টানতে লাগলেন
ঘুড়ির সুতো, একটার পর একটা কাটা যায় আর
ভাবি - মেঘ না হলেই তো ভাল হতো, বৃষ্টি হতো না
বৃষ্টি না হলে বন্যা আর সব শেষে পাহাড় জুড়ে তুলোর মত উড়তে থাকা
সাদা পাতাগুলো বক হতো না
...
***
এমনি করে যায় যদি দিন- যাক না!
ভেবে ভেবে কাটছে সময়- থাক না!
সমস্ত দিন পার করেছি-
অনেক অনেক মান করেছি-
ভাবনা যা হয় মনের মাঝে,
সকাল বিকেল নানা কাজ়ে,
মনের মানুষ একটু কেন টের পায় না?
***
এমনি করে যায় যদি দিন- যাক না!
আমার পাশে চাইছি তোকে- থাক না!
অনেক বড় সাব হয়েছিস-
আমার সময় দান করেছিস-
অফিসটা তোর ভীষণ বাজে,
অ-সময়ে লাগায় কাজে!
তোকে ছাড়া সময় যে আর যায় না!!
***
এমনি করে য...
বিনয় মজুমদারের ২০১টি এক পংক্তির কবিতা (পুর্নপাঠ)
১.
কবিতা লিখলেই মানুষ, গণিত আবিষ্কার করলেই বিশ্বের মালিক
২.
যা ঘটে তাই স্বাভাবিক
৩.
পাহাড় ও নদীর মালিক সরকার
৪.
বলতো কী নেই অথচ তার মালিক আছে— আকাশ
৫.
ঘি-ও জ্বাল দেবার সময় দুর্গন্ধ
৬.
একটা ধান থেকে মোটামুটি চুরাশিটি ধান হয়
৭.
সবচেয়ে বোকা প্রাণী মাছ
৮.
শরীরের তুলনায় প্রজাপতির পাখনা কত বড়
৯.
খোসায় লাগানো চীনাবাদাম পাকলে খোসা থেকে...
[বাবাকে নিয়ে আবেগী কবিতা। না না, কবিতা বললে ভুল হবে। কবিতার ধার দিয়ে ও যায় নি এটা। বলা যায়, কিছু ছড়ানো-ছিটানো এলোমেলো শব্দগুলোকে একটি প্লাটফরমে নিয়ে আসার ক্ষীন চেষ্টা। আমার বাবা এখন আমার থেকে হাজার মাইল দুরে। এটা লিখার সময় বাবাকে খুব অনুভব করেছি, মনে হয়েছিল বাবা আমার সামনে বসা। অনেকদিন পর বাবার সাথে সামনাসামনি কথা বললাম। সেই ভাল লাগার অনুভুতি থেকেই লিখলাম। প্লিজ খারাপ লাগলে গাল...
এরকমই কথা ছিলো যে আমরা
চলে গ্যালে সেই দেখে রাখবে সব -
এই চরাচর, আদিগন্ত অন্তহীনতা,
নিঃসঙ্গ দুপুর, বিনিদ্র অন্ধকার, আর
যাকিছু আমাদের একান্ত উত্তরাধিকার।
অরণ্যের মধ্যে সে থাকবে সবুজের
প্রতিনিধি হয়ে, যেমন ঠাঁয় একপায় অপেক্ষায়
ইটের ভাঁটার চিমনী - একালের তালগাছ,
অদম্য ক্ষুধার পোস্টার হয়ে নিঃগলিত নিঃশ্বাসে
নিয়ত উসকে দেয় মেঘেদের কৌ্তুহল।
কথা ছিলো, যদ্দিন না ফিরি,
সেই আঁগলে রাখবে ...
যে ঝর্ণা আমার সুপ্ত সাগর তটে যৌবনের আনাগোনা
এঁকে দিল উচ্ছ্বল ফুটন্ত গোলাপ
রেনুর পাপড়িতে মাখামাখি হয় অজেয় নিষিক্ত
আমার গোপন বাগানে দখিনা পবন
ভূবন মোহনী বধু: সে-কি হিন্দুল, না যবন
যার মুখ দর্শনেই আমার সকল অবসাদ বিলুপ্ত
যার বাসর সাজাতেই আমার হৃদয় আকাশ উম্মুক্ত
যা দিয়ে ইন্দ্রধনু আঁকি...
আমার পাঁজরের হাড় দিয়েই তার অস্তিত্বরে সৃষ্টি
সে ধর্ম বর্ণ বিভাজিত নয়
সে আমার ভালোবাসা আমা...
নেশা করতে নিষিদ্ধ্ব পানীয় লাগে তোমার?
কই আমার তো লাগে না
মাতাল হয়ে তোমার কথা শুনি
'হ্যালো' 'হ্যালো' বলছ কেন বার বার?
অঘোর নেশায় শুনছি তোমার কথা
এই যে তুমি রাগ কর,এই যে অভিমান কর,
এখনি হেসে দিলে,
এগুলো আমার নেশার স্তর।
আমি মাতাল নই,
শুধু যতন করে নেশা ধরে রাখি ......
উত্তল দর্পণ
কিছু মানুষ কখনো কারো বন্ধু হবে না
কিছু কিছু মানুষ কখনো বন্ধু খুঁজে পাবে না ---মানুষের মাঝে
কারো কারো প্রিয়তম বন্ধু হবে কাশফুল,নদী
কেউ শুধু মেঘকে ভালবেসেই জীবন কাটাবে শেষাবধি।
কিছু মানুষ কখনো প্রেমিকা পাবে না
কিছু কিছু লোক শহরের বুকে একা হাঁটবে সারা রাত
কারো হয়ত সঙ্গী হবে বাউল বাতাস
আর কেউ চোখের মাঝে ডুবিয়ে দেবে সারাটা আকাশ।
আমাদের মাঝে কেউ কেউ কখনোই সুখী হবে না
কেউ হয়ত অভ্যস...
শুভাশীষ দাশ
এই যে ছেলে,
আমায় শুধু ফেলে ফেলে
এখান থেকে সেখানে যাও
বন-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াও
পাখির খোঁজে -
ওরাই বুঝি তোমার মনের ভাষা বোঝে!
তোমায় দেখে
ঝলমলে রং গায়ে মেখে
একটু বসে গাছের ডালে।
রোজ সকালে
তুমি তাদের ছবি তোলো।
জানি আমি, ছুটতে থাকা হরিণগুলো
তোমায় দেখে ঘুরে তাকায় একটু থেমে।
ওদের নিয়েই মাতো তুমি অন্য প্রেমে,
ওরাও যেন তোমার মনের ভাষা জানে!
জানি, ওরা আমার থেকে অনেক বেশি তোমায় টানে।
পুরনো স...