মা, তোমার খোকা এখন আর খোকা নয়
আগুনে হাত রেখে হাতপোড়ানো দগ্ধ যুবক
রোকেয়া সরণী আর ধানমন্ডির প্রশস্ত সড়কে-
ক্ষমাহীন চলিষ্ণু যানবাহনের চক্রে চলমান দানব।
মা, তোমার খোকা এখন জোছনা রাতের কেউ নয়
ভোরের পাখির কিংবা বিকেলের ফডিংয়ের কেউ নয়।
সে এখন প্রত্যহ ঝরেপড়া প্রথম সূর্যের অচেনা পুরুষ
আকাশ-গঙ্গায় তারাখসা প্লাবনের বিমুখ সত্তা
বৃষ্টির সন্ধ্যায় কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ আর
ঘানিতেলে মাখানো...
সময়ের মেঘ উড়ে
স্বপ্নও হয়ে গেছে ডিজিটাল
মোম নিয়ে গলে পড়ার ভয় নেই ইকারুসের
ডিডেলাস ডিজিটাল ডানা বানায়
চর্বিতে ব্রেন দিয়ে যেসব বাস্তব আঁকি
পরনে অফসেট সুখ
মেঘের রেজিস্ট্রেসন মেলে
সব কিছু নিপুন করে
উড়াল দেয় ডিজিটাল স্বপ্নের ডানা
একটি ভ্রমণের খন্ডাংশ ক্লান্ত-জ্বর সিক্ত-মন নিয়ে তুলতে প্রয়াশ খুদ্র বাক্য বিন্যাসে, একে কি কবিতা বলে! নিয়মের বেড়া জাল নিজের ছন্দ গুণে লিখে রাখি আগামীর জন্য অতীতকাহীনি- দেখে আসা শেষ অক্টোবর এবছরের দিনে সিধেশ্বরের গুহা/ রহস্যময় সুড়ঙ্গ, আলুটিলা, খাগড়াছড়ি।
মানব গুহায় চলমান দিন- বিষন্নতায়
উপচে পড়ার ভিড়ে, মন উড়ে যায়
প্রান্ত খোঁজার আশে, ছুটির বিমল অব...
নির্বাসন লিপি
পাতাঝরা দিনে জল থেকে উঠে প্রথম প্রণাম
মৃদু বাতাসে লাফিয়ে ওঠা কিছু মাটির ঘ্রাণ
ঢলা হাতের শ্বাস নাকে-মুখে টেনে
মায়ের কোলে প্রতিদিন ঘুমপাড়ানি গান
ও-মা তোমার আঁচলে বাইন্ধা রাখছি
প্রাণ, জন্মের ঋণ
২.
কি আশ্চর্য! স্মৃতিকথা; বিগত বছরের
আশা ও ব্যর্থতা
রূপছদ্মবেশ তার কাছে আছে
বিগত দিনের মতো জমা
আমারও আছে; থাকবে নিজের সন্দেহ
সে সব দু’বারের বেশি কখনো ভাবিনি
বি...
নিঃশব্দ রাত্রি পতন, কারা ছিল সাক্ষী?
সীমাহীন আনন্দে ফেটে পড়া আমি এক পলাতক
যখন দেখি জোৎস্না মেঘের গায়ে হেলান দিয়ে ঘুমায়
আমারও ঘুমোবার সাধ হয়
ভোরের শিশির পতনই জানান দেয় আরেকটি
সুন্দর দিনের শুরু--
ভোরের সুচারু ঘাস মাড়িয়ে গেলে
মধ্যাহ্নকাঙক্ষা আমারও আসে।
সেই শিশির ভেজা ঘাস তাও জানে
ঘাসে-ঘাসে হাঁটি বেদনায় নীল হয়ে যাই
যখন দেখি দিনের প্রান্তিক সীমায় এসে সূর্যটা ধূসর হয়ে
রাত্রি...
হিমুর বুদ্ধিমতো কবিতার শুরুতে কিছু ডিসক্লেইমার জুড়ে না দিলে দেখা যায় কাব্যদেবী ফ্রন্ট পেইজেই স্ট্রীপ টীজ চুড়ান্ত করে ফেলেছেন। গদ্যের ক্ষেত্রে এরকম হচ্ছে না। সমস্যটা হয় কবিতার নইলে কোন বাঘের নইলে কীজানি?
অনেকদিন কাব্যদেবী আঁখ মারেনি। আজ সন্ধ্যা নাগাদ গজব ব্যস্ততার এক ফাঁকে মেরে দিলো। আমিও ভাবলাম এসেই যখন পড়েছিস তখন ....কপালের উপর এক খাবলা ডিসক্লেইমার নিয়েই নাম......
...
শূন্যের গভীর নীলে দৃষ্টির সাঁতার, যেন ফেলে এসেছো
লোকালয় থেকে বহুদূরে
আত্মার উজ্জ্বল স্থিতি জীবনের অব্যক্ত ভার
সুখ নয়, জ্বালা নয়, গোঙ্গানীর কারুকার্য নয়,
তোমারে সুন্দর করে নির্মোহ বিষাদ!
উদাস-উদাসী থাকো
বিষন্ন মেঘলা দিনে একদা হঠাৎ
পেয়ে যাবে , আমি জানি
আত্ম-উন্মীলনে পোড়া জীবাশ্মের স্বাদ!
সেইখানে বইবেনা আগামীর ব্যস্ততম নদী, নৃত্যপারঙ্গমা কোনো মাছের চলন
দেবদারু পাখা ঢাকা কংক...
বলেছিল পাখি
হয় না এভাবে;
কীভাবে যে হয়
কেউ কি তা ভাবে?
বলেছিল নদী
হয় না এমন;
বলেছে কি কেউ
কাছে আয়, শোন
চিরকাল তুই
অভাগা কেন রে?
কেন ভাঙে ঘর
হাতপাখা-ঝড়ে
বলেছিল ফুল
হবে না তোদের!
বিতর্কে দিন
পার হলো ঢের
নদী বলে, পাখি বলে, বলে ফুল
বারবার তবু কারা করে ভুল?
[justify]
বুদ্ধিটা পেয়েছি বুদ্ধির ডিপো জিয়েমের কাছ থেকে। সচলে কবিতা দিলে পুরাটাই শোরুমে চলে আসে বেশির ভাগ সময়, গোডাউনে কিছুই থাকে না। ফলে পাঠকনারায়ণ উইন্ডোশপিং করেই সদর রাস্তা ধরে চলে যান। এমনিতেই কবিতার পাঠকের আকাল, তার উপর আবার এই গেরো! তাই এই বকান্তিস।
এইবার কবিতাটা পড়ুন। ধন্যবাদ।
মাঝরাত্তিরে ঘুমকাড়া মাদীঘোড়া
ঘুমপাড়ানিয়া গুনগুন হ্রেষাগানে
কী বলো? কী চাও বোঝাতে অযথা এসে...
( সহমর্মী ষষ্ঠ পান্ডব কে)
পুরোটা বালকবেলা খরচ করে
কিশোরীর হাতে ঘুড়ি হতে চেয়েছিলো সে,
যে ঘুড়ি পাবে বলে
অনেকটা আলপথ এসেছে হেঁটে কিশোর একাকী,
পলিমাটি কাতর বিগতা নদীবুকে
দাঁড়ানো বিষন্ন চিমনীগাছ ছাড়িয়ে
যে ঘুড়ি ওড়ে অনেক ওপরে,
একদম আকাশের বুকের ভেতর -
লাটাইয়ের শৃংখল ছিঁড়ে যে ছোঁয় মেঘের নরম
ঠোঁট; যে ভাসে কোন ভীরুতা ছাড়াই, অনাবিল -
যতক্ষণ না গোধুলী চুমু খায় পাখিদের পালক;
কিংবা তারাদে...