তোকে ছুঁতে গিয়ে আমি
আগুন ছুঁয়েছি!
বাগানে আগাছা গাছ
তারও ফুল বারোমাস
উদাস গন্ধরাজ-
তাকেও ছুঁয়েছি!
তোকে ছুঁতে গিয়ে আমি
শিশির ছুঁয়েছি--
বন্যগন্ধ কচুপাতা
টলোমলো অস্থিরতা
নতুন ব্যাঙ্গাচি সব
তাকেও ছুঁয়েছি।
তোকে ছুঁতে গিয়ে আমি
কষ্ট ছুঁয়েছি--
গোধূলি হারিয়ে যাওয়া
রাত্রির ভোর হওয়া-
কাতর শুক্লতারা
তাকেও ছুঁয়েছি।
তোকে ছুঁতে গিয়ে আমি
মানুষ ছুঁয়েছি--
মৃত্যুর জটিলতা
জীবনের অর্থকথ...
আমরা শুনতে পেয়েছি আপনার উদ্যোগ ও বাজীর কথা।
বলতে দ্বিধা নেই, আমরা সম্মত নই আপনার সাথে।
পরিবর্তনের পালে হাওয়া লাগিয়ে আমেরিকা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে বেশ।
ফাঁপা মানুষ আর হঠকারী ব্যবসায়ীদের চোরাগলিতে ভরা একটা প্রাঙ্গন,
অসুখী উদ্বাস্তু ও পারমানবিক বোমার (অথবা বলতে পারেন অমানবিক)
এমন একটি গুদামে কঙ্কালের মতো ঘুরে বেড়ানোটাই কি আপনার কাঙ্ক্ষিত?
আমরা সম্মত হতে পারছি না প্রিয় বন্ধু।
কার...
এলোমেলো বোকা আমি
ভেবেছিলাম এমনি এমনি পেয়ে গেছি বেশ ক'টা ভোর
ভুলেই ছিলাম ভীষণ দামী
এই জীবনের প্রতি প্রহর
সে দাম দেবার একেক রকম নিয়ম-রীতি!
রাত পেরিয়ে নতুন ভোরে তোকে ঘেরা নানান স্মৃতি
কাঠঠোকরা পাখির মত
অবিরত যায় ঠুকে যায় বুকের ক্ষত
যেমন করে মেঘ ঢেকে দেয় সোনালী রোদ
তেমনিভাবেই কষ্ট দিয়ে করছি আমি গভীর সুখের দাম পরিশোধ।
আমায় নিয়ে ভীষণ রকম চিন্তা কি তোর?
আর কত বল!
শুনলে এসব খুব খামাখ...
রবীন্দ্রনাথের সাথে মোবাইলে কথা বললে
ডিজিটাল কবিতা শোনায়
মনকষ্টের সময়
ইমেল করে গান
ডাকঘরের ইঞ্জিনে চার দেওয়া
নাটকগুলি মঞ্চস্থ করি অফসেট ব্যানারে
চিন্তায় রবীন্দ্রনাথ যা লেখে
ক্যানভাসে জড়িয়ে আছে
ইলেকট্রিক ভাবনা
শিলাইদহের বোটে ঘুরে
কবি পদ্মার ভোল্টেজ বাড়ায়
তাপে বড় হওয়া ইলিশ খেয়ে
এসব দর্শন
বাংলাদেশের রঙিণ ডেস্কটপ হয়ে যায়
লুম্বিনী বনে অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে হাঁটুমুড়ে বসার সময় চোখের সামনে দিয়ে হঠাৎ করে তীরাকৃতি ধরে পাখিটা চলে যায়। পঞ্চরাত্রি একটানা ভুলে থাকার কঠোর তপস্যার পর চোখের সামনে ঘোর ধরে; লুম্বিনী বনের প্রতিটা পাখি আস্তে আস্তে অ্যারোপ্লেন হতে থাকে- সাত সমুদ্র ধারে কাছে নেই, সাত বন পার হয়ে কথিত ম্লেচ্ছদের বটবৃক্ষে বসে বটফল খায় পাখিগুলো।
সিদ্ধার্থের মনে প্রতিটা বারই প্রথমবার, তাই আবারও প্...
বহু চৌকাঠ পেরিয়ে তবে তোমাতে ফেরা হয়,
মহাসড়ক থেকে গলি, তস্য গলি পেরিয়ে
তবে খুঁজে পাই সঠিক ডোর বেল।
যে রাতে জ্যোস্নার মার কাটারি
চাঁদের উঠানে তারাদের তুমুল আড্ডা বিলাস,
সে রাতে সাহস করেছিলাম তোমার যাত্রায় -
ছুঁতে চেয়েছিলাম কৃষ্ণচূড়ার চেয়েও আঁচল লাল,
মেঘের কান্নার মতো চুলের বিনুনী বাহার,
কাক-কালো চোখ, আর নরম ঠোঁটের গালিচা।
তবু বহু দূরে রয়ে যায় ঠিকানা তোমার,
চৌ্রাস্তার কোনো ট্রা...
সেইদিন প্রথম শামুকের ভেজা মুখে কার প্রতিচ্ছবি দেখেছিলে? যেসব বালিকারা মাঝ রাত্তিরে দোতলার কুঠুরিতে শুয়ে শিশিরের শব্দ শুনেছিল টিনের চালায়, টুপটাপ! তাদের কি আসলে কোন অবয়ব, কোন নিজস্ব প্রতিচ্ছায়া ছিল?তাদের বর্ধিষ্ণু শরীর অজান্তেই ভ্রান্ত এবং পরাশ্রয়ী জীবনের দিকে ক্রমশঃ ধাবিত নয়?তারা কি তবে অসূর্য্যম্পশ্যা ছিল, নাকি তাদেরও গোপন প্রেমিক গোপনেই দিয়েছিল দুঃস্বপ্নের ভস্ম...
দশ বারোজন সখী সখী মেয়ে ছিলো আমাদের অমোঘ পাড়ায়
যেখানে সমুদ্র নাই, সমুদ্রের ছায়া এসে জরাক্রান্ত করে যায় রাত।
সে রকম রাত জমে এলে রন্ধ্রে ঘনিয়ে ওঠা সুর নিয়ে
মেয়েগুলো ছুটে যেতো গভীর দুপুর,
নিষাদ বাতাস ধাওয়া খেতো সোজা রেললাইন।
হারমোনিয়ামের রীড ভেবে তারা বহুদিন রেললাইন বাজিয়েছে,
বাজিয়েছে পরস্পর পরস্পরে, বুকের পাঁজর।
আমাদের পাড়ায় কোন হারমোনিয়ামের চল ছিল না,
ছিলো কিছু গান জানা পা...
এক।
পাহাড়ের গায়ে মেঘের রাবার ঘষে যাচ্ছে এক শিশু
সারিবাধা জানলায় অর্কিডের নিঃসঙ্গতা
দোল খায়, আর সেই এ্যাপার্টমেন্টের গ্রাউন্ড ফ্লোরে
ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এক ভিক্ষুক
তার ব্যাগভর্তি 'হাঁতি'-কিসমিস-খর্জ্জুর আর গোটাকয়েক চকোলেট
মানিব্যাগের কোণায় জন্মনিরোধক
প্রহরী বাধা দেয়
তবু এক গুনগুন গানের জন্য অপেক্ষায় থাকে সে অর্কিডের নিচে
দুই।
অনেক দরজা
অনেক জানালা
বারান্দ...
নিবিড় বাঁধনে এই ঘাস-ফুল-লতা-পাতার সাথে বন্ধুত্ব আমার। নেই কোন ভয় - হারিয়ে যাবার।
আমার যাযাবর জীবনের করুণ পথচলার দিনের আলো আমায় দিয়ে যায় ভেজা বাতাসের ভালোবাসা জড়ানো টুকরো টুকরো কণা।
মানুষের জীবনের মতো এতো জাত-বর্ণ ভেদ নিয়ে আসিনি এই পৃথিবীর বুকে। আসিনি কোন হিংসা-হানাহানি আর রক্তপাত ঘটাতে। আমার সেথে খেলা করে ঘাসফুল, ঝড়ে যাওয়া শিশির বিন্দু।
কি এক অদ্ভুত আলোকিত-অন্ধকার ...