সুখ
সুখ আসলে সত্যিকারের সুখ হয় না...আমি সুখি, কিন্তু আসলে সুখি না-
সুখ হন্যে হয়ে হাঁটে
মলে শপিং করে, বারে
মাতাল হয়, হুড খুলে লং ড্রাইভে যায়
মধ্যরাতে-
সুখ অসুখীর বেগে গাড়ি চালায়
লাল চোখে লাল সিগন্যাল
পার হয়ে যায়,
সুখের গন্তব্য মানে
নক্ষত্রের আতশবাজি-
সুখ পোড়ে, পিনপতনে পোড়ায়
সুখে পুড়তে পুড়তে সন্ন্যাসী বনে গেলো
কতো স্বপ্ন কারো কারো
সুখ নির্বিকার-
...
বলেছি কত কথা বলিনি কত কিছু
লজ্জাহীনা তৃষা নিয়েছে কত পিছু
যেখানে যাই আসি জানি যে নই একা
আমার সাথে কে গো নিয়ত থাক সখা;
এ যে কঠিন পথ এ পথে মরুভূমি
তবুও কেন এলে আমার সাথে তুমি?
স্বর্থ রচে গৃহ জীবন- জীবনে
সুহৃদ সরে যায় সে ঝড় প্লাবনে
যুবতী ফিরে গেলে যুবক পায় ব্যথা
দেখ জটিল হয় চকিতে সহজতা
বসনে বল্কলে তুমিও ঢাক ক্ষুধা
তা দেখে মিঠে হাসে রিক্ত বসুধা
তোমারে বলেছি হয়ত আমি না
খুঁজছ কারে তু...
১)
তোমার ভালবাসার অতল গভীরে আমি খুঁজে পেতে চাই
নিমগ্ন কোন অপরুপ স্বর্ণালী প্রভাত।
যেন সমস্ত ক্লান্তি শেষে তুমুল করতালি মুখরিত
আলোকিত মঞ্চ এক। আমার অলস শিশির কনা-
তোমার অধরের টুকরো টুকরো হাসিতে থাক বর্ণীল।
---------------------------------------------------------------------
২)
শুধু তোমার কাছেই আমি স্থির,
তোমার চেখে চেয়েই সব স্বপ্ন, আজ আমার আর
কোথাও যাওয়ার নেই, শুধু তোমার কাঁকনের প্রগাঢ় রিণিঝিনি
আর আলোড়ি...
অন্য আলো
তোমাকে আলো ভেবে নিমগ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম -
মনন্তরের এক নির্জন ভোরে ।
ঘাসে ঘাসে শিশিরের দীর্ঘশ্বাস
পাখিদের কলরবে প্রগাঢ় মাতম ।
হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায়
শুধু মরিচিকার স্নিগ্ধ সর্বনাশ ।
তোমার চিবুকের মতো কোমল কোন আর্তনাদ যেন
তার দু'চোখে ছড়িয়েছে - বিষন্ন জীবনের অভিশাপ ।
এভাবেই তো তোমার সতত চলাচল
টুকরো চাঁদের মতো তুমি যেন অসম্পূর্ন হয়ে
ঘুমিয়ে আছো কোন ক্লান্ত হ্বদয়ের...
কথা হয়ে থাকো। চিঠির শব্দশিয়রে। থাকো ভোর হয়ে
দরোজা খুলেই দেখে নেবো সূর্যপরিধান। আর একটা
হলুদ গোলাপের উঁকি। কিছুটা অবনত হয়ে থাকে যে
প্রশাখা , তার মগ্ন কুর্নিশ। একটা পরদেশী দোয়েলের
প্রস্থান। ছেড়ে যাওয়া মাটির বেদনা। দানা বাঁধা পাথরের
সংযত সংসার।
থাকো পাশে। দূরে গেলে রাতকেও ঘোর মনে হয়। তাই
আমি বয়ে যাই যে নদীর উৎসাণু,তার প্রণিধি হয়ে থাকো।
লেখার ললিত উত্তাপে। থাকো পু্ষ্পের সাথে ...
গোয়ার শব্দগুলিঃ ১
[ কিছুইনা ]
বিকেল পড়ে গেলে ব্ল্যাকটেপ রাস্তা ও তাদের হিলিয়াম-হাল্কা হাওয়ায়, লালসাদা ঢোলা হাফপ্যান্ট-পরা টিশার্ট আর ট্যাঙ্ক টপ ছোটো স্কার্টগুলির পাশ দিয়ে যে শব্দটি ফুর ফুর করে ঘুরে বেড়ায়, হরফে জুতে দিলে সেটি দেখা যায় – [ কিছুইনা ] । খানিকটা অন্যমনস্কভাবেই তখন তার নাম হয়ে যায় অ্যালিস, অ্যালিস, অ্যালিসিয়া।
গোয়ার শব্দগুলিঃ ২
[ ধুসসস ]
ভরসন্ধ্যেতে ক...
অপেক্ষার কৌশল আগে কখনও শিখিনি
তবে, শেখা হয়ে গেছে অপেক্ষা করতে গিয়ে।
অপেক্ষার শরাব পান করে লাটিমের মতো
ঘুরতে থাকি, ঘুরে ঘুরে জানা হয়;
অপেক্ষা সেও এক পরীক্ষা।
আমি অপেক্ষার খুব কাছে যেতে চাই,
যতো কাছে গেলে ফেরার পথ অচেনা হয়ে উঠে।
অথচ অপেক্ষা দূরে রমণীর হাতের চুড়ি হয়ে
কেবল আমার লোভ-ই বাড়ায়! সেই লোভের
ওপর হরপ্পার চাঁদের ছায়া পড়ে...
অন্ধকার- অভ্র হয়ে জাগবে কেউ অপেক্ষায় আছি,
যে জাগবে তা...
যদি বর্ষে মাঘের শেষ
ধন্য রাজার পুণ্য দেশ
-খনার বচন
ভবিষ্যৎদ্রষ্টা খনা লিখলেও লিখতে পারেন একখান কলাপাতা!
প্রতিদিন ভোর দেখার বদলে আমরা
একদিন উৎসব করে ভোর দেখতে পারি
আসমানী রঙ এর চা এর আমন্ত্রণ নিয়ে
সেই যে খনা উঠে বসলেন ধুমপায়ী গাড়িতে
তারপর থেকে প্রতিদিন খনা শাড়ি পাল্টায়
ঘুমিয়ে পড়া সেইসব শাড়ি নিয়ে
আমরা বর্তমান টাইম মেশিন পাড়ি দেই
এবার তাহলে খুলে ফেলি খাম
সংকেত দেয়া এই...
আঁচল
সৈয়দ আফসার
নীরবে বসে থাকার মানে বেদনা ও বিবিধ
প্রথম বর্ষায় যাতনা গাছে সই পেতেছি, দাঁড়ালেই
প্রেম! শুধু জানলে না কে তাড়া দিচ্ছে পেছনে
এই হাতের শুষ্কতা হয়ত দাবী করে নেবে!
ওই হাত না-ছুঁলে দেহ কেন পূর্ণতা পাবে?
জ্যোৎস্না রাতে তারার সাথে আমি গেঁথে রই
প্রলুব্ধক্ষণ ভেঙে নড়েচড়ে উঠি চাঁদের কোলে
প্রণয়ালো প্রকাশ্যে ফুটেছে তোর শাড়ির আঁচলে
আমার কিছু নেই আর, তোমাকে দেবার মতো
শুধু নিষ্প্রহ চেয়ে থাকা ছাড়া।
আমি হারিয়ে ফেলেছি সব কথাগুলো দূরে কোথাও ঠিকানাহীন পথে
আর সব ঠিকানাগুলো আমাকে ঘর থেকে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে গেছে।
বছরগুলো আমার সব সবুজগুলো নিয়ে পালিয়েছে
পুরনো ক্যালেন্ডারের পাতা হয়ে
নতুন বছরগুলো আমার জন্য কোন উপহার আনেনি
বহুদিন, বহু বহু বছর।
আমি তবু নি:স্ব হয়ে বসে আছি তোমাকে ভালোবাসা দেবার জন্য
যেটা আমি নিজের মা...