দেখো কি এক দাগ লেগে আছে দেহের প্রাচীরে
মুছা যাচ্ছেনা কিছুতেই, তবু
বারেবার মুছার চেষ্টা করছো তো করছোই।
আর এসত্য জানাতে না চাইলেও জেনে গেলো অনেকে!
আশ্চর্য হলেও সত্য যে, দাগ আছে বলেই
তুমি সময়ে অসময়ে তাকাও প্রাচীরপানে,
আবার ইচ্ছে হলেও পারছো না তার ভেতর থেকে
বের হতে।
কিন্তু তুমি এ জানতে না, দাগ'টা তুলে পেললে
তার ভেতর থেকে রক্ত বের হতো...তারপর
থেকে তুমি জীবনের ছুরি'টা আমার কাছে বন্ধক ...
সমুদ্রের কাছে উচ্ছ্বাস চেয়েছিলাম কিংবা নদীর কাছে ঢেউ
এমন সাক্ষী আমার বিরুদ্ধে কেউ
দিতে পারবে বলে আমি মানি না , মানি না আরো অনেক ঘোরবিশ্লেষণ
যেমন ---
প্রেমের বার্তা নিয়ে কোনো নীলখামের উড়াউড়ি
অথবা কোনো হস্তছাপে ভরা লালঘুড়ি
শুধুই ছড়াবে বিরহ !
তবে ভালোবাসার অন্যনাম কেন হয়নি , বেদনাগ্রহ
আর সেই নভোমন্ডলে
কিছুটা কৌতুক আর কিছুটা বনভোজনের ছলে
আমরাও বুনে যেতে পারতাম আরো কিছু দুঃখবীজ...
স্মৃতিগাছ
সৈয়দ আফসার
স্মৃতি গাছে ফল ধরে না, যেমন শাওয়ারে হয়না পূর্ণস্নান
আর্তি-মর্মরতা তাকে বাঁধা হয়নি শূন্যে ঝুলে থাকো তুমি-
আর্তনাদ
যত চাওয়া চর্চা, ব্যাকুলতা ভালো লাগে দীর্ঘশয্যায়!
খুব নিকটে রাখছি নৈর্কট্যজন অনুতাপ গভীরতা
তাকে ছুঁয়ে জেনেছি পোড়াক্ষতে চিরকালের লুকানো
ভাঙাছাঁচ
বেদনায় গজিয়েছে পাতা তুমি শেকড়হীন পরাগ
আমাকে শুকনো ডালে দেখে চোরাহাওয়া ...
বিকালে লেকের পানিতে
তোমরা বিনোদন নিতে
কালো-কালো পানিতে নৌকা
চলতেছে পায়ের প্যাডেলে!
পুকুরে-পানি না দেখার দুঃখ
ভুলে যাবে তোমাদের বাচ্চা
ভাববে পানি মাত্রই এমন কালো
যাতে মুখ দেখা যায় না
তবু তো বিনোদন হবে
বাচ্চা পানি দেখবে
-ভাবী কেমন আছেন?
-তোমাকে তো চিনলাম না
-সামস ভাই থাকলে চিনতেন
আমি একজন কবিতানুরাগী
বহুদিন অচলায়তন ভেঙেছি একসাথে
মাছিপথে ছড়িয়ে দিয়েছি কবিতার শিল্পভাবনা
যে নুড়িগুলি কুড়িয়েছি একসাথে
আজ তার ফ্লাইওভার দিয়ে দোতলা এরোপ্লেন চলে
-আর তোমার লেখারা?
-হাওয়াই জাহাজে শব্দ মেঘ ফুঁড়ে
পায়রা উড়াই শীতলক্ষ্যার ক্ষেতে
বস্ত্রবালিকার সাইজ লেবেলে
যোজন পাউডার ছড়িয়ে দেই বেনিয়া মারার
কেয়াফুলের...
আত্মনিবেদনের ভঙ্গিতে ঝরা পাপড়ির গালিচায়
তুমি শুয়ে থাকো।তুমি শুয়ে থাকো সূর্যের ফলায়।
বোনিটো মাছের মতো দ্রুত রিনরিন শব্দে বেজে ওঠো।
ওখানে আছড়ে পড়ে পানি সফেন তরঙ্গ ফেনা
তুমি শুয়ে থাক নীল জলাশয়ে হ্রদের সিঁড়িতে
তোমার পা ছুঁয়ে যাবে এককোষী সমুদ্র জীবেরা
তোমার মাথার উপরে ঝরবে বালুকণা অকালের চেরিফুল
তোমার স্খলিত বীজ থেকে তৈরি হবে ভ্রূণ
তুমি শুয়ে থাকো আধোজাগা স্রোতের উপরে।
মাথ...
১.
যদিও তুমি কথা রাখোনি;
তবু, যখন আয়নায় আমার মুখে দেখি মৃত্যুর ছায়া;
অথবা গভীর ঘুম থেকে যখন চমকে জেগে উঠি,
অথবা যখন সুরামত্ত হয়ে ক্ষ্যাপাটে হয়ে উঠি,
তখনই বার বার কেবল তোমার মুখখানিই মনে পড়ে।
২.
স্কুলে তার প্রিয় বন্ধুরা ভাবত
নিশ্চয়ই সে হবে একজন বিখ্যাত মানুষ;
নিজেও সে ভাবতে ভালোবাসতো, তাই
তার তারুণ্য আর প্রথম যৌবনের দিনগুলো গেছে
অসম্ভব পরিশ্রমে-পাঠে-কঠোর অনুশাসনে ;
“কিন্তু তা...
বিবৃতিগুচ্ছ ৩
সৈয়দ আফসার
তাকে পেলাম; শূন্যে জড়ো-করা ছায়ায়
প্রকাশ এটুকু... সুকীর্তি অন্য কিছু নয়
দু-চারটি অনুনয়, বিনুনয়
আমাকে চিনে রাখে বনবাড়ি থেকে হেঁটে আসা
রূপবতী নিমপাতা, মেথিশাক-ডাঁটা
এই ধরো-- তালু হাতে আমাকে ক্ষুদ্রাকৃতি করো
দেখো, তিন দিনের সবুরে ফুটে কয় দিনের মেওয়া
নিজ দখল যে উইড়্যা যায়, পিঞ্জিরার কাছে আত্না
নিজের ভেতর অজস্র বিস্মরণ; সেও অধরা
বেঁচে থাকার শোক, আশা-কৃতি ...
আমাদের পানশালা
ভাসাতে চেয়েছি নদী
দে না তোর বুক
আমাদের চিত্রাহরিণ
বসে আছে চুপচাপ
করেছে অসুখ।
আমাদের ভোর থেকে
ভাঙতে চেয়েছি আলো
দে না সম্মতি
আমাদের কামিনীবিকেল
কিনেছে নির্জনতা
এতটাই সংহতি!
আমাদের সাধগুলো
ভাঙতে চেয়েছি পথে
দেনা দু পা তোর
আমাদের সুচগুলো
আয়াসে হয়েছে বধূ
দে না সুতা তোর!
শেখ নজরুল, ঢাকা
মেয়েটি পাঁজাকোলা----মেয়েটি সারারাত
ধূর্ত শেয়ালেরা পার হয়ে গেছে কাঁটাঝোপ।
মেয়েটি বেঞ্চিতে মেয়েটি স্নানহীন
যে করেই হোক ধরে রাখতে হবে স্খলিত সীমেন
কিন্তু আজ যে ছুটির দিন আজ তো---
মেয়েটি নির্বাক,চোখ ভাষাহীন,স্থির।
আগামীকাল!আগামীকাল হরতাল।
হরতালে খুলবেনা কিছু,অতএব তুমি এসো
নিশ্চত পরশু,তাহলে পরশুই হবে সব।
কিন্তু সাবধানোংসল করবেনা।গোসলে
ধুয়ে যায় সব,সেক্ষেত্রে সীমেন থাকবেনা।
...