(স্কটিশ কবি ক্যারল এ্যআন ডাফির জন্ম ’৫৫ তে, গ্লাসগোতে। পড়াশুনা করেছেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কবিতা খুবই জনপ্রিয় ও পাঠক সমাদৃত। কবিতার জন্য নানা পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে পড়ান ম্যাঞ্চেস্টার মেট্রোপলিটান বিশ্ববিদ্যালয়ে।)
শব্দ এবং চওড়া রাত্রি
এই যে চওড়া রাত্রি, এর অন্য পাশে কোথাও এবং আমাদের
মধ্যকার বিদ্যমান এই দূরত্বেও, আমি তোমার কথাই ভাবছি।
আর আমার রুমটাও সরে যাচ্...
চাকা গড়িয়েচছ।ছোট ছোট বিয়ারিং চাকা।
ঢাল বেয়ে কখনো নৌকার মতো লগি ঠেলে
শব্দ তুলে চাকাগুলো গড়িয়ে চলেছে।
ঝাঁ ঝাঁ রোদে।তুমুল বৃষ্টিতে।ঝড়ে জলে
চাকাগুলো গড়িয়ে চলেছে-
ছোট ঠেলাগাড়ি,আরোহীরা অষ্টাবক্র,নুলো
সাথে তার অন্ধ,খঞ্জ-
একটি বালক আর একটি কিশোরী।
'আল্লা নবীজির নাম---কোরাসে কোরাসে মেতে ওঠে পাড়া।'
সকালের হাওয়া থমধরা বিষন্ন একঘেয়ে।
দুটি পথ দু'দিকে গেছে চলে হলুদ ফুলে ছাওয়া বনে
দুঃখ বাসা বাঁধে মনে জানি যাবে না হাওয়া একসাথে দু'টি পথে
আর যেহেতু পথিক আমি একা, থাকলাম দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ নিশ্চুপ--
দু'চোখ মেলে দৃষ্টি যতদূরে যেতে পারে--
যেথায় পথ গেছে বেঁকে ঝোপঝাড়ের মাঝে;
তারপর বেছে নিলাম অপর পথটি, মনোরম অন্যটির মতো
বরং অন্যটির চেয়ে এটা আরো ভালো, কারণ
এ পথ ঘাসে সমৃদ্ধ যা ছাঁটা জরুরি
যদিও লোকেরা ঐ পথ ধরেই যায় চলে
পার্থক্...
[=14]
অনেকদিন পর আজ বৃষ্টির রেণুদের ঘুম ভেঙেছে।
আর তাদের স্পর্শ করতে, জাগরণের সেই মধ্যাহ্নে,
সোঁদামাটির গন্ধ বুকে মেখে
ধূলিকণাগুলো ঘূর্ণিবাতের মতো ছুটে চলছিল ঊর্দ্ধমুখে।
কিন্তু পথের মাঝেই তাদের থমকে দাঁড়াতে হয়।
ছুঁতে না পারার শঙ্কাটুকু নিংড়ে ফেলে অবাক বিস্ময়ে তারা তাকিয়ে দেখে-
একটু একটু করে আকাশের নীল রঙটাকে গিলে ফেলছিল ভয়ালকালো মেঘ;
আর আগ্রাসনের সেই ক্ষণকালে তারা ব...
অনেক ভেবেও তাকে খুঁজে পাচ্ছি না
যাকে বলা যায় ‘আজ কি দু’টো স্লিপিং পিল খেতে পারি?’
আমার অজুহাতের অভাব নেই
অভাব ঐ মুখের একটি শব্দ ‘না’
মুহূর্তেই রাজ্যের ঘুম নেমে আসবে চোখে
একাদশী চাঁদ কাবুলি পরা রাতটাকে-
আর আমার চোখের চৌকাঠে দাঁড় করিয়ে রাখবে না
কিন্তু অনেক ভেবেও তাকে খুঁজে পাচ্ছি না
কোথায় খুঁজিনি তাকে?
তন্ন তন্ন করে ড্রয়ারে, পাশ বালিশে, কার্পেটের ভাঁজে
সিলিংয়ের কোণায়, ডাস্টবিন...
লালসা
সৈয়দ আফসার
অবসর সে্ও হতে পারে কাতরধ্বনি—
পূর্ণকরা আশীবিষে প্রিয়তমার মন-মতিফুল
হৃদয়থলি স্নেহাতিবশে এতটা পৃথক যে
শঙ্খা নিরলে বিবশ-করা
আমার নিঃসঙ্গ দেহমিনার টেনে পক্ষপাত!
দুর্বলতা শূন্য-বিশ্রামাগার…
প্রেরণা আমাকে তাড়া দিচ্ছে ধূম্রজালে বোনা
জলশামুকসহ বর্ষাযাপনের দিনকাল—
আমাকে তাড়া করছে ঝরাপাতা; কৃষ্ণচূড়া
আমার অবসর পূর্ণমাঘমাস;
আর যা পেলাম লুকিয়ে রাখছি সংশয়াকুল...
যতই হতে থাকে রাতের গভীর
ঘুমঘোরে জেগে ওঠে পাহারদার
ঘুমের সদৃশ্য, ঘুমন্ত মস্তিষ্ক
ঘুমন্ত রাত, ঘুমন্ত পাহারাদার
বাড়তে থাকে শব্দআলোড়ন
আঘাতে আঘাতে খুলতে থাকে স্নায়ুজট
জেগে থাকা চাঁদ
২.
ঘুম তাড়াতে যত উপাখ্যান
চোখের মণিতে জলের আবাসন
শব্দআলোড়ন, শব্দের মাত্রাকে উপেক্ষা করে
ঘুমের কোলে ঢলে পড়ে নিদ্রাদেবী
ঘুম-মৃত্যুর মাঝামাঝি জেগে থাকে আমার আত্মা
[“To forgive is to set a prisoner free and discover that the prisoner was you.” Lewis B. Smedes]
সে এক আজবগ্রন্থ পড়েছি সন্ধ্যায়
কে যেন লিখেছেন, ক্ষমাই মহান ধর্ম
ভাবলাম, দিই না রাতকে প্রথম ক্ষমা
তবু তো জানালায় ভোরের হাতাহাতি!
আলো নামে শান্ত-গভীর, সন্ত-সকালে
পথে নেমে সকালকে দিলাম মধুরক্ষমা
ক্ষমা করতেই মাথার ওপরে ভররোদ্দুর
ভাবছি তখন, গ্রন্থ কী পড়েছি ঠিকঠাক!
পুড়ছি আগুনে, মাথায় ভাঙছে সেদ্ধডিম
তবুও ভাবছি মথ্যে পড়িনি আজব গ্রন্থে
যে তিনি...
এই পোস্টারটি বলছে, "৬০ হাজার রিশমার্ক হচ্ছে সে-পরিমাণ অর্থ যে-পরিমাণ অর্থ জন্মগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ এই লোকটির জীবনকালে সমাজ তার জন্য ব্যয় করেছে। জর্মনবাসী, এই অর্থ কিন্তু আপনারও।" হলোকাস্ট নিয়ে উইকিপিডায় পড়াশুনো করতে করতে এই পোস্টারটি দেখলাম। পড়াশুনোর একটি উদ্দেশ্য ছিল। সৈয়দ মুজতবা আলি, যিনি আজকের তারিখে, (১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের করিমগঞ্জে) জন্মগ্রহণ করেন, তাঁর দ্বিতী...
নিসর্গের মধ্য থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বসন্তে পা-দেয়া দ্রাবিড় মেয়েটি।
শীতের আনাজের মতো তার দুটি হাত তার দুটি পা-অনঘ শরীর।
দেবদারুবীথি,ঝাউবন,অশ্বত্থের নিচে সে দাঁড়িয়েছিল দেবীর মতন।
দুবছর পর এই মেয়ে যথেচ্ছচারিণী।যে তাকে লুব্ধ করেছিল সে-ই তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তুলে দিয়ে গেছে।