একশ্বাসে দীর্ঘশ্বাস
সৈয়দ আফসার
স্মৃতির করাঘাতে অসংখ্য মুখ দেখে
চাপা ক্রোধে নিজেই পুড়ি, কিছুই জানলে না
পাঁজরের নিধি
শেষ অংশে পরাজিত করে বললে- এভাবে
চলতে পারে না; তারচে’ বসো একশ্বাসে
দীর্ঘশ্বাস শুনি
আমাকে ব্যবহার করো চঁওকি; দিবস রজনী
তিন প্রকার সন্তান ও তাদের বাস্তব অবস্থান
সন্তানউৎপাদনের তিন রকম পদ্ধতি আছে **
অনেক জানার পর আমি এটা বুঝেছি
এক জন বলল-
আমার যৌন উত্তেজনা প্রসমনের নিমিত্তে আমি এক নারীর নিকট গমন করলাম
আর সে কয়েকমাস এবং কিছু দিন পর এক সন্তান প্রসব করল
আবার অন্য জন বলল-
আমার বার্ধ্যক্যের দূর্দশার কথা চিন্তা করে আমি আমার স্ত্রীর উওপর আরোহন করলাম
সে কয়েকমাস এবং কিছু দিন পর এক সন্তান প্রসব করল
অন্য...
ফীঁজা মেঁ আগ লাগ গায়ি হে মেরে দোস্ত, কিসিকা ইন্তেজার না কারো
ফীঁজা মেঁ আগ লাগ গায়ি হে মেরে দোস্ত, কিসিকা ইন্তেজার না কারো
কারতে হে হাম বায়ান উসকা, তুম ফিকর না কারো
দিল তো জাখাম খা হি চুকা হে, জীনেকি আব কোয়ি দুয়া না কারো
রুসওয়াইয়া কি ওয়াক্ত যা চুকা হে, উস বেওয়াফা কা শিকায়েত না কারো
হালাত বিগড়ি হুয়ি হে, উসকো ঢুন্ডনেকি কোসিস না কারো
খুদা বেরেহেম হে মেরে আজিজোঁ, উসকা ভার...
আনাজপাতির ঘ্রাণ
সৈয়দ আফসার
লাউ-কুমড়ার সাথে মনের বুঝা পড়া ভালো
আলু পটলের সাথে মিশে পড়ো তুমি--
যেন মানকচুর স্পর্শে আঁকা ডাঁটাওয়ালা শাক
আহা! ...কর্ডফিস ভাজা মচমচে চিপস্ কে-চাপ
পেট ভরে খাই কাঁথায় মুড়িয়ে মাথা নাক ঢেকে ঘুমাই
স্বপ্নভাঙারাতে শুশ্রূষা চাখি, পোড়াদেহ অবলীলায় সাজাই
বলছি, হলুদ-সবুজ লেবুর কাছে দেশি-বিদেশি অভিমান
মুঠো খুলে দেখি আমার হাতে শুধু আনাজপাতির ঘ্রাণ
যৌবন রোমাঞ্চ সব নিঃশেষিত হয়
আমার বয়ানভার তবু নিষ্কম্প রয়
থরথর কাঁপনের দিবানিশি গান সমাপন
তোমার চোখের ভিতর দেখি ভূতপূর্ব সেই সম্মোহন।।
রাত গাঢ়তর হয়, প্রেম তো আরাধ্য নয়
ঘৃণার মতন ঘুরে সহবাস বিস্মৃত হই,
অর্বুদ নিযুত সুখ আবরণে হীন করে
আভরণে দিতে পারে যন্ত্রণার নাড়া।
কার্পাস বীজে তুলো মেঘে সংবাহন
উড্ডীয়মান ঘুড়ি বেপথেই তবে হাতছাড়া।।
দ্বাদশ কি বিংশতি, বছর কি মাস
সময়ে কী তুচ্ছ লা...
হুইসেল বাজিয়ে নিলীকা চুষে নিচ্ছে সমস্ত বিকেল,
আমি পুড়ে যাচ্ছি, পুড়ে যাচ্ছে ফিঙেশিস্!
লাউ পাতার নরোম নরোম দেখিয়ে নিলীকা কেড়ে
নিচ্ছে জোনাকনদীসন্ধ্যে;
অভিমানে নারিকেল পাতায় আঁছড় কাটে একটি দোয়েল-
একটি দোয়েল।
খুব সন্তোপণে আমরা পিছনে ফিরে যাই
পিছনে উঠে আসে নিরুদ্দেশ মাঠ
আর আইলের অচিন।
জন্মান্ধ হয়ে খুঁড়ে গেছি পাতার জংশন,
মেঠো ছত্রাক কান্না।
পদ্মফুলের আস্তিনে সূর্যের পরশ সুবঁধ...
গতি
সৈয়দ আফসার
তুমি কি টের পাও ধাক্কার, হৃদয়ের ব্যথা
ভাবছো তিরিশ দিনে যা হয় সবই অযথা
যা দেখা যায় না, তা কি আত্নার ভেতর
আসা-যাওয়া বোবা অভিমান
এবার তাদের কথা হউক ভাবনা, সম্ভাবনা
তাকে কি বাদ দেয়া যাবে তো বিগত সান্ত্বনা…
এই যে বলা হল স্মৃতি ঘেঁটে আরো কিছু কথা
শরীরবিদ্যা শিখিনি বলে সব কথা মনেও থাকে না
রাতে ঘুমোতে গেলে শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকে কিছু পরাজিত স্মৃতি
নারীভয়ে ড্রয়িংরু...
রাত্রি গভীর হলে তোমার নিঃসঙ্গতাগুলো জেগে ওঠে
নিঃসঙ্গতারও কিছু শব্দ আছে--বোঝা যায় না
ঘুমের অতল থেকে ক্রমশঃ তা বিস্ফোরিত হতে থাকে
আর এই বিস্ফোরিত শব্দগুলো একে-একে বসে যাচ্ছে
কুয়াশাজড়িত তোমার প্রিয় মানুষের মুখে--
তুমি দু'হাতে নিতে চাইছো সেইসব নিঃসঙ্গতা--রাত্রিজ্বর
তোমাকে আচ্ছন্ন করে
ধূসর ধুলোর মতো উড়ে আসে ভোর
তুমি ভাবছো
নীল কুয়াশার ভেতর নিঃসঙ্গতা ছড়াতে-ছড়াতে
রাত্রিগুলো উড়...
শত বৎসরের আকাঙ্ক্ষা মাঝে মাঝে পূর্ণতার স্বাদ পায়
যা কিছু প্রনয়প্রাপ্তি, সবকিছু কেমন যেন রঙ্গিন সাজে।
কিন্তু হাজার হলেও তা আর কৈশোরের পাল তোলে না।
একদিন, দুইদিন... এভাবে অনেক-সমষ্টি-দিন
অতঃপর ইচ্ছেরা বুড়ো হয়ে যায়
দরজায় কড়া নাড়ে এলাকার মিসকিন।
কেউ বলে মৌমাছি গুনগুন গান শোনায়
আমি বলি, “মৌ ছোট বেলায় বেশ কয়েকজন ওস্তাদের কাছে গান শিখতো।”
আমার জানালার কপাট খুললেই ওর জানালা, অনেক গান...
(বন্ধু আরেফ রিওনেনকে উৎসর্গ করে)
নগরতলী এক পাপ চক্রের ইকো সিস্টেম,
কর্পোরেট বাঘগুলো খেয়ে নিচ্ছে স্বপ্নের পোনাগুলো; পুষছে ক্ষুধার্ত কুকুর;
এ বড় আজব শহর তুষার। ভোগবাদীরা ঘুমায় কার্পাস তুলার বালিকা বালিশে,
আর ফ্যাসিবাদীরা সংসদে, টিভি খুললেই হাসাহাসি;
আমি দাঁতে দাঁত চেপে জমিয়ে রাখি সব হাসি। দেখিস-
একদিন আমিও পাখি ও আকাশের জান কাঁপিয়ে তুমুল হাসব,
হাসতে হাসতে মাথা ধরে যাবে, চোখে গল...