না, আমাকে সাপে খায়নি।
আমি মইয়ের আগা থেকে পা
পিছলে পড়েছি।
আমার বুকে ব্যাঙের লাফঝাঁপ আর
হাত কাঁপছে হিরুঞ্চিদের মত।
মইগুলো লকলকে আমার হাতের নিচে,
আমার মত,
বস্তুত বাস্তব,
মূলত ঘূণে ধরা।
দৃশ্যত টালমাটাল।
সাবিহ ওমর
omarsabih এট জিমেইল ডট কম
ওমরের ব্লগ
আমাদের অনেক সময়ই হয়ে ওঠে না সঠিক বোঝাপড়া
ওজনহীন মানুষদের দাঁড়টানার দৃশ্যাবলি
দেখতে দেখতে ঠিকই ভুলে যাই আলোর মাত্রা
পেরিয়ে গেছে আমাদের দেউড়ি। ভোর হলেও সূর্য
উঠে নি। অথবা প্রত্যক্ষ করিনি রাত পোহাবার সুবিমল
ভ্রান্তিপর্ব।
দুহাত দিয়ে তালি বাজাতে বাজাতে কিংবা কোনো এক
পড়ন্ত বিকেল কে জোড়াতালি দিতে দিতে
কখনও সানন্দে বলে উঠি, আমাদের আর দিনের
প্রয়োজন নেই। আসুন, সব রাতকানারা রাতকেই...
আমার সাম্রাজ্যে আমিই রাজা,
এটাই কি স্বাভাবিক নয়?
এটাই কি স্বাভাবিক নয় যে
আমিই কথা বলবো,
হাজারো প্রণত শ্রোতার সামনে
আর হাত নাড়বো উঁচু ব্যালকনি থেকে?
এটাই স্বাভাবিক যে আমি মুণ্ডু নেব,
আবার আমিই জোড়া লাগাবো,
কথাও বলাবো দু'চারটা যখন প্রয়োজন।
আনকোরা যত যীশুকে শূলে চরাবো
আর ঝুলিয়ে রাখবো গীর্জায় গীর্জায়।
লেলিয়ে দেবো নেকড়ের পাল
যদি দুয়ারে শোর তুলে আঠারো অশ্বারোহী।
এটাই স্বাভাবি...
আমি ছেড়ে যাচ্ছি তোমায়
আমি ছেড়ে যাচ্ছি এই অসহ্য সময়
আমি ছেড়ে যাচ্ছি সব প্রশ্ন আর বর্তমান
কিভাবে মানুষ বুকের ভেতর লেখে অন্য কোনো নাম
কিভাবে একটি মানুষ মাঝরাতে আর বাড়ি ফেরেনা
কিভাবে ঘুমের উঠোনে ঝরে স্বপ্নের লাশ
কিভাবে বুকের জমিন ঢাকা আধাঁর আসমান
কিভাবে কামুক ভালোবাসে অন্যের বুকের জোনাকী
কে কাকে বধ করে? ভরে কালের কৌটায়?
কে কাকে পেতে চায়, কষে দর ক্যান্সার ফুসফুসে
কে কাকে শোনায় ...
জীবন খসরা
চোখ সয়ে গেলে
অন্ধকারও হেরে যায়।
সয়ে যাওয়া আপাতত সমীকরণ।
পিপাসায় উচ্চাসার জল,
তাতে রৌদ্রে পোড়া
দুটো, একটা কিংবদন্তি।
তারপর টান টান প্রতিজ্ঞ
ছোট বড় রেখা গুলো
হেসে খেলে ঘুরে আসে
বিন্দুর চারপাশ।
এরপর ছন্দ
সচ্ছল, বিলাস দাপাদাপি।
এরপর
অহর্নিশি চাঁদ-সূর্য
বাড়ি-মাঠ, ইন্সুরেন্স, প্রিমিয়াম
পাক খেতে খেতে
উঠে আসে ভূঁই ফুঁড়ে
সূর্য পোড়া ছাই।
তাতে ছিটে-ফোঁটা খরচ হলে
সঞ্চি...
--কত বড় হতে চাও?
--আমার হাতগুলো এমন দীর্ঘ হবে --কীনব্রীজের রেলিংযের ফাঁকে বাড়িয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে দেবো আলী আমজদের ঘড়ির কাঁটাগুলো।
--পারবেনা।মানুষ এত বড় হয়না।শরীর-কাঠামোর নির্দিষ্ট সীমা আছে।
অতএবঃ
স্বপ্নের দুরন্ত-ঘোড়াটির টগবগ টগবগ গতি রুদ্ধ হয়।
আকাঙ্ক্ষার পালকগুলো একে একে এভাবেই খসে পড়ে----
এভাবেই শুরু---
ইচ্ছে-পথের মোড়ে মোড়ে রোড-ব্লক;
দ্বিধা-দ্বন্ধ-উদাসীনতার দরোজার ক...
লেখাঃ ঋদ্ধ
তাকিয়ে দেখি,
মধুমাখা আবাস
তোমার সেথা।
ঘুরে বেড়াও,
ছোটাছুটিতে দিন
কাটে তোমার।
তোমার সেই
রূপের যাদু আজ,
মাতালো মোরে।
শুনে চলেছি,
গুনগুন গানের
মৌমাছি তুমি!
[justify]
রবীন্দ্রনাথ জাপানে গিয়ে হাইকুর সাথে পরিচিত হন। ফিরে এসে লিখে ফেলেন আস্ত দু'খানা অণুকাব্য গ্রন্থ-- 'লেখন' আর 'স্ফুলিঙ্গ'। ভুল হতে পারে। চেক করে নেবেন।
তো আমার মনে হলো, কবিগুরু যখন লিখলেন, আমিই বা বাকি থাকি কেন? তবে আমার আদর্শ গুরুদেব নন, জাপানি হাইকু কবি কোবায়াশি ইসা।
লুটি তো ভাণ্ডার, মারি তো অরিজিনাল জাপানি গণ্ডার হে হে...
#১
সূর্যের ডুবসাঁতার
মেঘের জমাট সমুদ্রে,
ভেস...
পরকীয়া / নাজমুস সামস
তবে কি আমরা কেউ স্ত্রীকে ভালবাসি না
নাকি আরো বেশী ভালবাসতে গিয়ে
ভেঙ্গে দেই অন্য রমনীর মন
এই যে বিকল্প ভাবনা ঢুকিয়েছে
রিয়েল এস্টেট সমাজ
তার কোন কুড়েঁঘর নেই
বিদ্যুৎ বাতিতে সে বোঝে না প্রদীপের সুর
কৃত্রিম আলোয় সব কিছুই নিজের মতো
দেখার ইচ্ছায় হাত পুড়িয়ে দেয় বেনারসী শাড়ির
খাওয়ার জন্য বাঁচা এই কাঁটাচামচ সংসারে
কেউ হাত দিয়ে সারে না আহার।
তাতে হাতের দু:খ না ...
সকাল হলেই ছুঁয়ে যায়
একটা বিষাদ।
বিষাদের নীলমুখে
এটে দেই তরবারী
বারবার।
বিষাদ তরল হয়
উপচে পড়ে
বর্ষার নদীর মতো
তরতর করে।
বিকেলের মধ্যে
আবার নীল হয়ে যায়
প্রতিদিনকার বিকেলে মুখের রং নীল।
---------------------------------------------
শাহিন