নোনুকা জলের মতন সাদা, দূর যেন বিলের জলে
ফুটেছে এক শুভ্রপদ্ম ; রৌদ্র-জলের খেলায়
ভোরের বুকে যেমন ফোটে নিসর্গ। মেয়ের মাথাভর্তি
সোনালিচুল, আচমকা মনে হয় মেঘ, মেঘরঙ
সোনালিঘরবাড়ি। চোখের পারায় নীহারিকারঙ, ভ্রূ-তে
সে পরেছে কাজল, এ নিশ্চিত শিল্পের লক্ষণ!
তার আয়ত চক্ষুদ্বয় নীল, চোখ ও মুখ জুড়ে অবিকল
অবিরাম সলিল উৎসব যেন। অস্ফুট তার আধেক-
কথার কাকলি, ঝিনুকের বুকে লুক্কায়িত মতি,
যেন তা গন্...
সকাল থেকে কথা বুনতে বুনতে
ভাবছি -
সে কি বকুল ফুলের মালা হবে কি?
আজ দুপুরে যক্ষপুরে যখন দেখা,
ভাবছি -
সে মালা, তোমায় দেবো কি।
যেইনা তোমার কাছে গেছি,
সেইনা তুমি পশমী বিড়াল
সারাটা দুপুর উথাল পাথাল
কোন পাপে যে, কি ভুলই ভেবেছি।
রুপোর কাঠি, সোনার কাঠি
তোমার খাটেই মানায় ভালো,
আমিই শুধু, অন্যরকম স্বপ্ন দেখেছি।
৫৬.
ততোধিক রসাধারধারণক্ষম ধারাবাহিক রঙ্গনটীদের ধীরলয় খেমটায় খোলের পুরিতে আঙ্গুল ধরে এলে জ্বলে ওঠে অপ্রকৃত স্ফুলিঙ্গ নামাবলীর পশম বাঁচিয়ে পাঁঠাবলীর বর্ধিত জেয়াফত আঁচিয়ে অসরল ঢেঁকুর-নির্যাসে রঙ্গালয় গান্ধা করে
৫৭.
অফহোয়াইট বিকালের গলায় আঙ্গুলের ক্রমবর্ধমান চাপে তারায় টিউন হতে থাকে দিগন্ত পাগড়ীতে হাতুড়ির ঘাত সমানুপাতে তর্জনী গ্রাস করে নিতে থাকে দিনান্তের সবটুকু সেমিঅ...
[center]আধখানা চাঁদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললে, "এনে দেবে?"
এক গাল হেসে বললাম, "পরীক্ষা নিতে চাইছো?
আমার ভালোবাসার পরিমাপ করতে পারবে তুমি?"
তুমি কপট রাগ দেখিয়ে বললে, "এই যাহ,
মুখেই যত ভালোবাসা তোমার, পারলে দাওনা এনে..."
হাসি চেপে আমি বললাম, "তবে চোখ বন্ধ করে চুপটি করে বসে থাকো,"
খুঁজে নিলাম তোমার প্রিয় ছোট্ট হাত-আয়নাটা,
এনে ধরলাম তোমার মুখের সামনে। বললাম, "এবার চোখ খোল!"
তোমার বড় বড় চোখে তাকি...
অনেক কিছুর সমাপ্তি টানতে হয়েছে
এখানেই। পার্কে পড়ে থাকা পঙ্গু ফুল
মনে করিয়ে দেয় এ শহরে একটি সরাইখানা আছে।
বৃদ্ধ বাদাম বিক্রেতা আমাকে চিনিয়ে দেয়
শহরের পথ...
কোনো এক কাল চলে গেছে গ্রামের পথে।
সে গ্রামের রংধনু বালিকা প্রতি ঘুমের ভেতর
বালিশকে রঙিন করে যায়।
আমি অনেকবার ভেবেছি গ্রামটিকে চেনাবো
সরাইখানা। শহরে যাবার পথ।
দেখাবো গাড়ির ধোঁয়াতে ওড়ে যতো পাখি
তারা ছায়া হয়ে যায় দামি গাড়ি...
কুয়াশার ভোরে ঝাপসা তুরাগ নদীর মতো
অসার এ জীবন ঢেকে যায় বরফে
চেরাগ জ্বলা গহীন গ্রামীণ নীরবতা
তোমার জীবন কি শুধু শূন্যতার ইবাদত
আবার কখনো হেসে উঠবে কী রোদ
দেখবে কী নতুন কোনো উষা
তোমার জীবন সরওয়ার
ঢেকে আছে অনন্ত পাপের চাঁদরে।
[ধুগো'র জন্য কয়েক ফোঁটা...]
(০১)
বালিকার নদীটাকে ছুঁবো বলে আমি
ডুব দিতে বারবার ভুল জলে নামি।
(০২)
জলের অতলে ডুবে করি জলচাষ
ওখানেও তুমি ! না কি জলের আকাশ !
(০৩)
যেখান দিয়ে হেঁটে গেছো, দৌঁড়ে খুঁজি পথ
থমকে দাঁড়াই, ভাঙছে নদী জলেরই শপথ !
(০৪)
চুম্বনের ওই গন্ধ খুঁজে নদীর কাছে যাই
নদী বলে-
তোমার মতো বোকা তো ভাই স্বপ্নপুরে নাই !
(০৫)
মৃত্যু ছিলো তোমার বুকে, নদী দিলো ঠাঁই...
গাঢ় সন্ধ্যার শেষ ট্রেনের পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় আবার হাঁটছো উল্টো পথে
শেষ বগির আলো দূরে সরে যাবার আগে দীর্ঘ করে দিয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মে তোমার ছায়া
শুনতে পাচ্ছি বালিশে কান পেতে তোমার আষাঢ়সঙ্কেতী গুড়গুড় বিড়বিড়ে খিস্তির খুতবা
দেখতে পাচ্ছি মানসচোখে, ছুটছো পাঁজরের স্কুইরেল কেইজে দিনভর
আবার হাঁটছো প্ল্যাটফর্মের ধূলো, কাগজ আর বাদামের খোসার সাভানায়, ফেলছো ভদ্রলোকী থুতু
দাঁতে ...
দেখছি তোমাকে আস্তাকুঁড়ের ধারে
দেখছি তোমাকে বোকা সংসদে উড়ো
দেখছি তোমাকে পকেটে পকেটে থাকো
দেখবো তুমি আর কতো সইতে পারো
দেখছি তোমাকে পর্যটকের চোখে
দেখছি তোমাকে ক্ষুধা আর লজ্জায়
দেখছি তোমাকে রাতে রাস্তার ধারে
নোটের ছবিতে তোমাকে পাওয়া যায়
দেখছি তোমাকে মিছিলে শোরগোলে
দেখছি তোমাকে টিভির পর্দায়
দেখছি তোমাকে ভিক্ষার ঝুলি হাতে
যাচ্ছো বিদেশ তীব্র যন্ত্রনায়
কতো বৈঠক- বাণিজ্য তো...
অহর্নিশি স্বপ্ন বুনে চলেছি ;
ফলাফল বুদ্ধিনাশ ।
সব স্বপ্নই তোমাকে ঘিরে ।
জ্বলন্ত প্রেমের ;
ছোট্ট ঘর এবং সবুজ প্রান্তরের ।
সচরাচর সবাই যেমনটি দেখে !
গদাই লস্করি চালে ,
আমার প্রেম এগিয়ে চলে ,
গহীন জীবনে ।
ক্লান্তিকর এ প্রেমের রাজ্যে ,
আমি এক ঘুমকাতুরে গোবেচারা ।
প্রেম বড় অহেতুক !?