অপূর্ব বলেছিলো কবিতা সে ভীষন ভালোবাসে
সে, মানে অপূর্ব ভালোবাসে যাকে-
ক্লান্ত দুপুর যখন ক্রমশ গড়িয়ে যেত
অবনত সন্ধ্যার দিকে, অনিমা তখনও
অপেক্ষায়, অপূর্ব নতুন কী পড়বে
অনিমা, অর্থ্যাৎ অপূর্বের কবিতা শুনতো যে
কিংবা আরও বেশী বলতে গেলে
অপূর্বের খাতা জুড়ে যার ছায়া, যাকে
অপূর্ব পেতে চাইতো তার কলম নি:সৃত
শব্দের মতো, কেটে ছেটে বাদ
দিতে চাইতো অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো
অনিমা কি কবিতা ভালোবাসে?...
ধি ধিং ধি ধিং বাইজছে মাদল
শরীর জুড়্যা পদ্মার ঢল
ভাইসছে দু’ট কালো মানুষ
ভালোবাসায় মাতাল বেহুঁস
নুন বিষ্টি উদ্যাম গায়ে
উদাম দুফুর উদাম পায়ে
সন্ধ্যাটকে ঢিল ছুঁড়েছে
শরীল জুড়ে রাত লাম্যাছে
ঝুঁইকছে শরীর ধিধিং তালে
সুখের কাঁপন দুই শরীলে
কালো ঠোঁটে ঝইরছে আগুন
ভুইলছে শরীল সমাজ কানুন
ভালোবাসার পাপ পুন্যি
মাইনছেনা বাধ নীল ঘুর্ণি
ভাইসছে শরীল গানের তালে
ধি ধিং ধি ধিং ধি ধিং বোলে...
যদি আমি নক্ষত্রখচিত রাত্রির কথা বলি
তবে জেনো আমি নিশ্চিত মিথ্যা বলছি
কেননা আমার সকল রাত্রিই ছিলো নিকষ
কালো অন্ধকার, স্বপ্নহীন। তবু যদি ওঠে
কাল রোদেলা দুপুর, কিছু সূর্যমুখী, কিশোরী
আবেগে চুমু খেতে চায় সৌরদহন, আমরা
না হয় তখন একটি জ্বলজ্বলে তারা ভরা
গর্ভবতী রাতের কথা বলতে পারি। বলতে
পারি সেইসব চমকিত নক্ষত্রের কথা, যারা
কেবলই দীপ্যমান, যেমন চমকায় তোমার
ওড়নায় সহস্র চুমকি, আর চোখে...
[justify]
দূরে সরে থাকবো বলেছিলাম। তবুও সে কথা রাখা হয়না। জীবনটাই কি এমন? প্রতিনিয়ত প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে তার কাছে যাচ্ছি, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবেই কি চলতে থাকবে?
যাই হোক, বেশ কিছুদিন আগে কিছুমিছু লেখার চেষ্টা করেছিলাম, সেটা আমার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুও দেখেছেন; আজ হঠাৎ মনে হলো এখানে দিয়ে দেখি কি বলেন সুধীজন। কিছু সাদামাটা কথা আরকি। কবিতা নাকি... জানি না। কব...
-জল বড় ভয় করে, বাবা! হাত ধরো!
শ্যাওলা, সাপ, শিং মাছ, কাউকে চিনিনা দ্যাখো---
-এভাবেই ঝাঁপ দে- সাঁতার শেখো
বিষখালী ছাড়বে ভেবেছো?
-হাত ধরো! হাত ধরো বাবা!
- জল চেন,জল চেন, জল----
সাঁতার শেখো!
সাঁতার শিখেছি, বাবা
নদী চিনে গেছি;
অনায়াসে তুলে আনি ঝিনুক, পাথর।
ঝিনুকে হৃদয় আর পরাণ পাথরে
ওদের করেছি জড়ো এপারে ওপারে,
বাবা, হাত ছাড়ো--
আজ আর শ্যাওলা লাগেনা, সাপ, শিং মাছ---
সাঁতার শিখেছি বাবা, কোথাও থামিনি!
ক...
৫৩.
অমিতাভ স্বয়ম্বরসমাবেশ ব্রতচারী হালনসিহতনামার পৃষ্টাজুড়ে ট্র্যাক্টর চালিয়ে আপদকালীন মুসিবতপুরাণাবৃত্তির পাদদেশে বরাহসঙ্গম প্রত্যক্ষক্রমে অপ্রত্যক্ষ প্রতিবেশে কায়ক্লেশে অবিরাম নির্নিমেষ টিকে থাকে শোলটাকির উপাদেয় ভূনাভাজা ভালোবেসে অথবা কাটাছোলাতাজা মেষপোহানো আঁচে ভষ্মরূপ হেসে
৫৪.
সরাসরি হিজিবিজির থেকে চ্যাগানো মতিভ্রম উপাদেয় বলে যাবতীয় মাপজোখলাঠিকাঠি আঁটি...
বুক-খোলা প্রদীপের দেবযানী ডালিম শিখায়
মৃন্ময়ী মিলনের লাজরাঙ্গা মৌটুসী ফোঁটায় ফোঁটায়
গালিচার গতরে ঘামে ও ঘ্রাণে বুণা সম্ভ্রান্ত-সম্ভ্রম,
যেন
সূর্য্য-ডোবার আগে সূ্র্য্য-স্নানে ফেরার শত আয়োজন
নারঙ্গী-নম্রতায় জয়তুন জলরঙ্গের কি বিপুল-বিভাষ;
এখানে সঙ্গম বলতে কিছু নেই, শুধু প্রদীপ্ত পৌরুষের কর্ষণেতিহাস
আলো ও আলেয়ার উভয় পিঠেই, সাদাকালো জোছণার অরুণ-আদিবাস
শুধু মাঝরাতে, পূর্ণিম...
পাথরের গান
চোখের মুদ্রায় তুমি যতই আকাশ আঁকো
আমি জানি ওখানে সাগর ;
ভ্রান্তনীল আকাশের ফাঁদে যে পাখিরা
ঝাঁপ দেবে শূন্যতার ক্ষুধায়,
জানবে না
একে একে ডুবে যাবে ওরা।
ভেসে যাওয়া পালকের স্রোতে
ডুবুরি মাছেরা যদি জেনে যায়-
ওটা তো সাগরও নয়
জলল কল্পনায় গড়া নীল-বিভ্রম শুধু !
চোখের কোটরে রাখা নীল দুই পাথরের
প্রাণহীন চকমকি ঘষে
কী হবে আগুন জ্বেলে আর,
তুমিই পুড়বে তাতে।
মাটির জরায়ু ফুঁড়ে শি...
অনেক উড়েছে ঢেউ, ছন্দোবদ্ধ পার্থিব লেনদেন
পার্থিব সমুদ্রে ডুব, পার্থিব সে বৈঠা টানাটানি
কম্পিত সন্ধ্যায় আজ সরল নৈপাট্যে কাছে এসো
বাড়াও চিবুক তোমার মধ্যমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি
সবুজ অরণ্য খোল লহরী বেষ্টনে ডুব দেই।
পুরোহিত প্রিয় ক্ষীণ সমিতের তুলি টানো পিঠে
আশ্চর্য সে রংধনুর সম্যক প্রেষ্টনে প্রেম লিখি
শ্যাওলা চৌম্বক উরু তুলে ধর খুঁজব জরুল
কুয়াশা নাভীতে দেখ, খুঁজে পাবে মাতৃত্বে...
দুই ঘণ্টা খুব লম্বা সময় না
তুই যখন বিদ্যাপুষে জীবনঘরে
ধর খুঁজতেছিস প্রেম
তখন দুই ঘণ্টা কতো মিনিট
জানতে পারিস না
কিন্তু আমার মাঠে ব’সে
একলা
ঘাসমতো চিকন তোদের স্মৃতি গোণা-
মিনিট তো মিনিট
দুই ঘণ্টার সেকেন্ডগুলোও শূন্য এভারেস্ট
শৈশবে জয় করে তোরা
আজ ভুলে গেছিস বয়সে
খোলামাঠে স্মৃতিপাহাড় পিষে যাচ্ছে
তোদের কাউকে সঙ্গে পাবো না
মন মানেই এভারেস্ট-
জীবন থেকে নেয়া সত্য
তোদের আর জ...