কালো বিড়ালটা শেষ পর্যন্ত মরেই গেলো।
অন্ধকারে,
এক বাক্সের ভেতর আটকে রাখা হয়েছিলো তাকে অনেকদিন।
মিউ মিউ করেও বোঝাতে পারে নি- গিনিপিগ আর বিড়ালের পূর্বপুরুষ কখনোই এক হতে পারে না।
অনুভূতির তারল্যের প্রাবল্যে আন্তঃপ্রাণীর ভাষা সবসময়ই অসম্ভব দুষ্কর, আর
তাই কালো বিড়ালটাকে থাকতে হয়েছিলো অন্ধকারের ভেতর।
বিড়ালটা মরেই গেলো শেষ পর্যন্ত।
একপাশে খানিকটা খাবার, আরেক পাশে শ্রোয়েডিঞ্জ...
১
মরি লো মরি আমায় বাঁশিতে ডেকেছে
কে চোখ রেখেছে শূন্যে
কার হাতে পদ্মগন্ধ
অদৃশ্য শিশির-সংকেত
সবুজ আকাশে লেখা সনাতন পৃথিবীর
অদেখা নদীর বাঁকে
গান গেয়ে ভেসে চলে গেছে
২
অর্ধঘুম ঝর্ণার জলের মতন বয়ে যায়
ছায়া পড়ে জলে
আকার প্রত্যাশী সেই ছায়ার শরীর
নিরাবেগ
অনচ্ছ আলোয় ভাসে জলের গভীরে
৩
সেই তো প্রথম সত্য, জাগ্রত এ চরাচর
নিত্যদিন বাসনার গান
অনন্ত এ খণ্ডকাল, প্রেমহীন অপরাহ্নব...
ছাদ নেই ঘরে তারা গুণতে গুণতে
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম?
ফসলহীন ক্ষেত,আঁকাবাঁকা অলপথ ধ'রে
এগুচ্ছে চাঁদ।অসহায় কাকতাড়ুয়া,বাদুড়ের কালো ডানা
দেখি কারো মুখ।মুখের ভেতর হারিয়ে যাচ্ছে মুখ
খুণ উন্মত্ততায় পেয়েছে আজ,এ রাত্তিরে;পিষে যাই
ভাঙ্গা কাঁচ,মা পিঁপড়ে,রাস্তা পার হ'তে যাওয়া কাঠেবড়াল...
আঁতকে উঠে বসি,মুঠোয় মিনারেল
যাত্রীরা কি সব ঘুমিয়ে পড়েছে?
নেমে আসছে চাঁদ ঘরে চালকের নিশানা ভেদ করে...
সেবা করার খুব ইচ্ছা ছিলো, ইচ্ছা ছিলো জুড়ে দেয়ার
ইচ্ছা ছিলো কাছেকাছে থাকবো, ডাকবো দূরে থেকেও
কে, কখন ঠিক কোথায় আছে, মুহূর্তে
পাওয়া যাবে কি যাবে না আঁচ
উষ্ণ তার অভিশ্বাস
-আহা, পারতাম না তো জানতে এই সেদিনও
হাতে-হাতে চলন্ত ফোন উঠে আসার আগে,
আহা
কী দূরের ভাগ্য; আমরা তখন বিচ্ছিন্ন ছিলাম!
তখন আমরা দূরে-দূরে ছিলাম!, যে যখন যেখানে
তখন শুধু সেখানেই, সেখানেই শুধু
তার দেহমনপ্রাণ!
আহা, কুশল তখ...
আমাকে নিয়ে গেল ভোর--রাত্রিযাপনে
পথে কিছু মেঘখণ্ড পড়ে আছে ফাঁকা--নিমিলিত
তুলে নিতে গিয়ে তাতে ঢুকে গেল হাওয়া
হাওয়াদের কথা তাই বারবার ফিরে-ফিরে আসে
এইসব হাওয়া ভারবাহী
রেখা হতে কিছুটা তফাতে ছুটে গেলে
তাতে নির্জনতা ঘনীভূত হতে থাকে--ফলে
কামবোধ আরও তীব্রতর হয়ে ঘিরে ফেলছে ভোর
আর চোখের সামনে তাই বারবার বদলে যাচ্ছে
কাম ও ক্রোধের মহিমা
আজ জুন ২, ২০০৯। একমাস হলো। আরো কতদিন বাকী! মনে হচ্ছে তোমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য হলেও চলে যাই। কিন্তু সেটা কি ঠিক হবে? হবে না। তাই অপেক্ষাই একমাত্র সম্বল।
এখানে গ্রীষ্ম আসেনা
রোদে পোড়েনা ফুল-ফল-পাখি
বৃষ্টির রিমঝিম বাজেনা;
মেকী হাসি, মেকী মন
জান্তব ক্ষুধার ভেলায়
অহরাত্রি ভাসেনা;
ছন্নছাড়া মেঘ
সবুজের ঘাঘরা পরা
কিশোরীর চঞ্চলতায় নাচেনা;
এখানে গ্রীষ্ম আসেনা।
এখানে প্রেম আসে ন...
শুভ্রমালা পরিয়ে দিতে দিতে নদীর গ্রীবায়
জল ঘেষে উড়ে গেল লম্বাসারির বকগুলো।
রোদে টলটল করছে জলের শরীর
নৌকোর মাথাটা
ভরনদীর মুখে এগোতেই
অনেক উঁচুতে উঠে
ওরা আমাদের অতিক্রম করলো।
ওদের কন্ঠে ডাক শোনা গেল জীবনের :
বাড়ি ফিরে এসো? বঙ্গোপসাগরের হাওয়ায়
অন্তত একদিন ভালোমত বেঁচে যাও।
আমরা কী জানি সুন্দর
এ ভাবে আমাদের অবজ্ঞা করবে!
না হয়- যেতাম না ওদের রাজ্যে, বসে
থাকতাম আরও এক বিপন্ন আ...
রচনা :: নভেম্বর, ২০০১ - ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ ॥ পরিমার্জন :: ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ - এপ্রিল, ২০০৯
*
দ্যাখো কয়েন কেমন ঘিরে ধরছে আমাকেও; দ্যাখো আমিও অবাক হই
তখন যেন! হাসি-মশকরায় গ্রহ বেতালা জলের ওপর; জলের সৃষ্টি যেমন ভাসে প্রথম
গ্রাসে যেমন ভাসে নিদারুণ এই ঠাট্টাপ্রবণ দূরভোলা ছলনা। কিন্তু না,
এই কথা শুরু হয় তোমাকে লিখতে চেয়ে অনেক অনেক দিনদিন পর
যেমন হয়, ঠিক তেমনি;
দ্য...
ইচ্ছে ছিল পথিক হব
পৃথিবীর ধুলো গায়ে মেখে ঘুরে বেড়াব মাঠ
নদী, ক্ষেত, সুউচ্চ পর্বতমালা আর বিস্তৃত জলরাশি।
মধ্যদুপুরের খাঁ খাঁ রোদে যেমন চিল
মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে উড়ে চলে অনন্ত উচ্চে
আমিও তেমনি ছুঁয়ে যাব মেঘমালা ঝর্ণার জলে তপ্ত দুপুরে।
ভোরের শান্ত নদীটির বুকে বয়ে যাব
রাত শেষে ঘরে ফেরা তৃপ্ত জেলের মত প্রশান্ত হাসি মুখে।
সাগরতীরে লাল কাকড়ার মত দৌড়ে বেড়াব বলে
কতবেলা কাটালাম...
কোনো কোনো মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি অন্ধকারের ফাঁকে ফাঁকে জ্বলে-ওঠা আগুনের দিকে ছুটে যাচ্ছি আমি,
আমাকে তাড়া করছে শীতরাত্রি, আমাকে তাড়া করছে মৃত্যুভয়
আর দেখি শরীরে আগুন নিয়ে তুমি ছুটে আসছো আমার দিকে...
এ কি কোনো বিভ্রম নাকি বিস্ময়চিহ্ন !
কে কাকে চমকাচ্ছে আজ,
কে কাকে মুগ্ধ করছে অবিরত
দীর্ঘ আলাপচারিতার পর
কে বেশী অন্ধকার নিয়ে ফিরে যায়
তোমার চুল ভর্তি লুকানো কথার ছুরি--স্পর্শ...