[লেখককে কবিতার ব্যাখ্যা দিতে নেই। আপাত দৃষ্টিতে এটাকে প্রেমের কবিতা মনে হলেও বুদ্ধিমান পাঠক কি ধরতে পারছেন, কবিতাটার বিষয়বস্তু আসলে কী ? নির্দ্বিধায় মন্তব্য করতে পারেন। ]
আলতো করে ছুঁয়ে থাকে
আমাকে উন্মুক্ত করে
তোমার অবাধ্য তর্জনীটা আলতো করে ছুঁয়ে থাকে
বুকের নিপুলে আমার ! অথচ কী নির্বিকার তুমি
আমার চোখে রাখো চোখ, আর
আশ্চর্য মগ্নতায় চেয়ে থাকো অন্য কারো স্পর্শাতীত চোখে-
মুখের...
বুকে নিয়ে বলেশ্বর-পশুর মোহনা
ভাসতে-ভাসতে উঠে এল লোকটা ডাঙায়;
মেহেন্দিগঞ্জের হাট, চরবাইশার মাজার,
আধ-ভাঙা কণ্ঠস্বর, বৃষ্টি-মেঘ ভেজা পদশব্দ,
ঝাঁপ-টানা দোকানে-দোকানে আলু-পেঁয়াজের ফিসফাস,
যেন জোয়ারের ঘোলা জল হারিকেন আলো, ধোঁয়া,
মুখগুলো চেনা-চেনা, চুড়ির হাসির টুংটাং,
খড়-হোগলার চালা পিছলে স্যাঁৎলামদির জ্যোৎস্নায়
ছেনাল আঁচল ঠেলে খসে পড়ছে শব টুপটাপ;
লোকটার চোখের-বিন্দুতে থির বানি...
৭.
হে স্বপ্ন, থামলে কেন হে?
এখানে এই নদীটিই ছিল-
সবচে সুমিষ্ট জলের। এখানেই,
বহু যুদ্ধবিগ্রহ, ঘটে গেছে রক্তপাত! জানো?
এটাতো চিনি, অগেও দেখেছি,
এসব কথা আগেও শুনেছি ;
একসময় জিজ্ঞেস করলাম-
আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো হে-মরুচারী?
অন্য কোথাও নিয়ে যাও, অন্য কিছু বলো-
যা দেখিনি, শুনিনি কখনো, এমন পবিত্র!
আমি স্বপ্নের মধ্যে বেঁচে ছিলাম, আমাকে
স্বপ্নে ফিরিয়ে নাও ; কেন থামলে, হে উট! হে স্বপ্ন ...
৮.
...
অপার আমার দেশ
আরিফ খান
কত স্বপ্নের পাখায় উড়েছি,কত উঁচুতে উঠে,
তড়িত তীব্র,মড়ক ব্যাপ্তির ছবি এ জীবনপটে;
দুকূলপ্লাবী বানের মত ভেসে গেছি কার ডাকে
মুখে হাসি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি অগ্নিগিরির বাঁকে।
কি যেন এক রত্নপাথর ফুটেছিল ফুল হয়ে,
রঙিন পালকে,দ্যুতির ঝলকে কষ্টরা যেত সয়ে;
সপ্ত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী মনে হত মোরে কেন?
পূর্ণ চাঁদের জোৎস্না হাতে ধরা দিয়েছিল যেন।
পার হতে যাই পথিক-চলা মহাস...
দুনিয়ায় এখন
অস্ত্রের চেয়ে শক্তিমান
আর কিছুই কি নাই?
এই প্রশ্ন করতে-করতে
(ঘরে টিভি আছে বলে)
দুনিয়া সার্ফ ক'রে আসি
চ্যানেলে-চ্যানেলে
যার হাতে যতো কম
সে ততো সহজেই
বিলীয়মান;
একটামাত্র গুলি
বুকে গিয়ে লাগলে
মানুষ মরে যায়!
দুনিয়ায় কখনো
অস্ত্রের চেয়ে শক্তিমান
আর কিছুই তো নাই
একটা গল্প লিখছিলাম। নিবন্ধ লিখতে সময় লাগলেও সমস্যা হয় না, এক সিটিংয়েই নামিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু গল্পের চাহিদা অনেক। সে বাড়তেই থাকছে দৈর্ঘ্যপ্রস্থে। আর শেষ না করে পোস্ট করবো না এই স্থির করেছিলাম। বেশি লম্বা হয়ে গেলে ভাগে ভাগে পোস্টাবো, কিন্তু পুরো লেখাটা তৈরি থাকা চাই, তা না হলে পরে যদি লেখা শেষ করার উৎসাহ ফুরিয়ে যায় তো বাজে ব্যাপার হবে। ফলে গত কয়েক দিন ধরে কোনো পোস্ট ক...
হতে চেয়েছিলাম নরসুন্দর কিংবা নাপিত, কাঁচি চালাতে চালাতে
হাতিয়ে দেখার ইচ্ছে ছিল বুর্জোয়া ঘিলু আর মেদভরা স্কন্ধদেশ
কিন্তু নাপিত হতে হলেও সনদের দরকার হয় তা আমার জানা ছিল না।
অবশ্য নাপিত হবার পেছনে আরেকটা বিশেষ কারণ ছিল আমার।
ওরা ছেঁটে ফেলতে পারে মাথার আগাছা, আবর্জনা,আর অহমের
বলিরেখা। জংগল থেকে মাঝে মাঝে বের করে আনতে পারে কিছু
পরিচিত মুখ। মুছে দিতে পারে মুখমন্ডলের অনেকগুলো কা...
৪.
বিচিত্রভূমিরূপ :
সামুদ্রিক ঢেউয়ের মতো উঁচু হয়ে
নেমে গেছে-
কারা যেন আগুন জ্বালিয়েছে
সমতলে। হে আমার ভ্রমণসঙ্গী :
এরা কারা, এটা কী পৃথিবী-
এ কী জীবন নাকি?
এরা, যাযাবর ;
এটা যুদ্ধহীন বিকল্প জীবন ;
সমস্তকোণঠাসা-মানুষের
সর্বশেষ বেঁচে থাকা। মানে?
মানে, অখণ্ডতা নয় ; খণ্ডিতপৃথিবী, খণ্ডিতজীবন।
আমার চোখ থেকেও এখন অনায়াসে
ঝরতে পারে, দু:খের
ঘোর-মরুকুয়াশা ...
যাচ্ছি ...
৫.
গভীরতম নির্জ...
দোকানে পুরির পর চা খেতে-খেতে
মনে পড়তেছে প্রভাকরণ।
বেশি কিছু না, নিজেদের
দেশমতোন এক বেচে থাকা
দ্যাখা যাচ্ছে কাছের দেশ- শ্রীলঙ্কা
বিদেশি আঘাত নয়-
শুধু প্রভাকরণদের আত্মরক্ষা
স্বদেশি খাচায় নিজস্ব ভাষায়
পুরির পর চা খেতে-খেতে
মনে পড়তেছে বন্ধুরা
সার বেধেছে বিবেকের দ্রোহমাঠে
আর তুমি
আবারও অসুস্থ কয়েকটা দিন
হৃদয়ে জপে
কিংবদন্তির দুটি মাত্র চোখ;
নিতে এসেছে আমাকে
ঝকঝকে জ্যোৎস্না
চিক্চিকে বালির উপর দাঁড়িয়ে আছে মরুজাহাজ।
কি করে চড়তে হয়
অত উঁচুতে তাকিয়া পাতা
কোনো কালে ছিলাম নাকি মরুচারী, মুসাফির?
অমনি হাঁটুগেড়ে বসলো :
কোথায় নিয়ে যাবে-এই মরুজাহাজ? তাও জানিনা।
এ ভাবে যাত্রা করতে আমার কষ্ট হয়,
তবু করলাম একসময় :
সমুখে স্বর্ণের ধুধু ...
পেছনে রুপোলি ধুধু ...
উড়িয়ে, যাচ্ছি ...
২.
গোয়েন্দার মাথাটা ভিজে, ধূসর।
চোখজোড়া ঘোর-প্যাঁ...