হাসান মোরশেদ ভাইয়ের ব্যক্তিগত পোষাক পড়ে এই কবিতার কথা মনে পড়লো। লেখা হয়েছিল ১২ মার্চ ১৯৯৮, পাবলিক লাইব্রেরীতে। লেখক বা কবি আসলে যে কী বলতে চান, কবিতা পড়ে তা বোঝার সাধ্য কার? দেখি কে কী ভাবছেন?
(গদ্য)
সে বলেছিল সন্ধ্যায় আসবে।
নীল আকাশ লাল হলো
দিগন্তে ধোঁয়া ছড়িয়ে নামলো সন্ধ্যা;
সে এলোনা।
(ছন্দ)
পুব আকাশে উঠল রূপা চাঁদ
হিমেল ছোঁয়ায় জাগলো শরীর
ভাঙলো খুশীর ...
বিকেলের আড্ডায় আজ বিষন্নতার ভার ছিল অনেকখানি।
সুজনের ‘যাবো যাবো’ করেও বিদেশ যাওয়া হয়ে ওঠছে না।
আর শ্যামল ছেলে অপুকে এই শহর গ্রাস করছে ক্রমশ !
আজও বললো - “মা বলেছে -পাকা আম, কাঁঠাল যে শেষ হয়ে এল বাবা,
তুইতো এখনও এলিনা।”
আমি চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ভাবি -
কবে পড়ালেখার সমাপ্তিতে চাকুরী পাবো?
কেমন অগোছালো হয়ে পড়ছে বিন্যস্ত দিনগুলো।
ঠিক তখনই বিকেলের আকাশ ভাসে চোখে।
বিলবোর্ড, সাই...
বনেদী বেনিয়ারাই জয়ী হবে! স্বাধীনতার সৎকার শেষে নদীদের
উথলা বুক ও যাবে শুকিয়ে। এই চরে বন্দুক উঁচিয়ে কিছু নর্তক
শাসকেরা উল্লাসে , বেছে নেবে আদিম বেশ্যাবৃত্তি ! তারা বিকোবে
নিজেদেরকে আর প্রজন্মের স্বপ্নগুলোর উপর বীর্যস্খলন ঘটিয়ে শুধু
দৌড়তে থাকবে এক ভূমি থেকে অন্য ভূমিতে।
প্রভাকরণ , প্রিয় স্বাধীনতাকামী কমরেড আমার , আজ ১৮ মে ২০০৯
এর ভোরটি আমার জন্য বয়ে এনেছে গভীর শোকবার্তা।
আমি ...
আজ অকারণে ছুঁয়ে যাচ্ছে ভয়--রাত্রিজ্বর
আমি তাতে বিবর্ণ ঘাসেদের প্রকারে ছড়িয়ে দিচ্ছি অবসাদ
ফলে ক্লোজশট--দীর্ঘরাত্রি
তাতে খলবল করে উঠে আসছে নিদ্রাভয়-ঋতুপ্রবাহ
বর্ষাযাপনের নামে আমি তাই বার-বার ছুঁয়ে ফেলছি জল
না ছুঁয়ে দিলে জল কি তবে বরফের মতই স্থির--নির্বোধ!
কতবেলা বয়ে গেল তোমার আশায়
নিদ্রালু রাত শেষে ভোরের দোয়েল পাখি দেখে
কেটে গেল কত অজস্র সকাল
দুপুরের রোদ কেটে উঠা চিলের মতন স্মৃতির আকাশে
উড়েছি অনেক প্রখর প্রহর-
তুমি আসবে বলে
রংধনুর রং কেড়ে গোধুলীর রঙে রাঙিয়েছি আমার আকাশ;
জোছনা রাতের রূপালী আলোয় ভিজে
একাকী হেঁটেছি অনেক বিনিদ্র পথ;
আগুন রঙের একাকীত্ব বেয়ে এসেছি আমি একা।
ব্রহ্মাণ্ডের বিশালতায় ক্ষুদ্র পিঁপড়ার মত অস্...
গাছটির দিকে তাকিয়ে বেলা দশটা,গার্হস্হ হৈ চৈ
গাছটির দিকে তাকিয়ে ভাবনা- নিরন্তর
বিষাদ- চোখের জল
দুলিয়ে পা শুয়ে শুয়ে দেখেছি কত
পাতার কৌতূহল
গাছটি জানতো রাতের সব কথা
গোসলঘরে ঝর্ণার সরবতা
দূর হ'তে ভেসে আসা জাহাজের ভেঁপু
শুনতাম দাঁড়িয়ে গাছ আর আমি
গাছেরো বেড়েছে বয়স,অভিজ্ঞতা বিস্তর
আজ যখন দাঁড়াই এসে হাওয়ায় ভাসে
এ কোন ইশারা
সমস্ত আন্তরিক মুখ আলোঝলমল এস্টেশনগুলো
এক উন্নাসিক নাকে ঘষে উঠিয়ে ফেলে
আমরা দাঁড়ালাম যে এস্টেশনে;
বাতি জ্বলে নিভে গেছে অনেক আগেই,
লোকহীন-এলাকা বিদ্রুপবহ্নি জ্বেলে
সাদা হাড়ের মত তাকিয়ে আছে আর
আমরা দাঁড়িয়ে আছি বিশ্বাসে অনড় :
যেন কোনো সৌভাগ্যের ট্রেন আসবে, বহুদূর থেকে
আমাদের নিতে।
কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথ। জীবনগত অভাব আর
আমাদের পায়ের তলায় সভ্যতার ক্ষয় ছিঁটিয়ে রেখেছে
তুষার ; ...
যে-রাখাল নিরস্ত্র তার ঘুমিয়ে থাকার সময়
পাহারা দেবে না কেউ;
পাড়া-বেপাড়ার শত্রু-মিত্র সব
তার খোলা গলায়
ছুরি শানাবে
ঘুমন্ত রাখাল
অবলীলায় ঘুমিয়েই যাবে
আমরণ;
ঘুমের ভেতর মরতেছে বলে রাখালের
আহা চেনাই হবে না শেষবেলায়
কে ছিলো মিত্র কে শত্রু।
খোলা মাঠ পেয়ে গেলে,
ঘুমিয়ে থাকো-
নিরস্ত্র রাখালের মতো॥
বিমুগ্ধ-আবেশ কেটে গেলে শরাব মিথ্যে হয়ে যায়
তবু লালপানির পেয়ালা হাতে বসে থাকি;
জীবন দোল খাচ্ছে অবিরত ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো।
এখনো এ ঘরের সব কোন ছেয়ে আছে শেষ বিকেলের সুরভী-মদিরা
এখনো মুছেনি তানপুরার শেষ ঝংকারের রেশ
গোধুলীর কনে দেখা আলোর ঘেরে ফুটি ফুটি সন্ধ্যামালতী
আকাশে পাখসাট বাজে-------বিহঙ্গম ফিরছে কুলায়;
নিষ্প্রাণ স্ট্যাচুর মতো এক জোড়া মানব-মানবী
নির্বাক।ওদের সব কথা শেষ হয়ে ...
শুক্রবার সারাদিন কি করা, এই বিষয়ক চিন্তাভাবনা আমাকে পুরো সপ্তাহ তাড়িয়ে বেড়ায়। অনেক প্ল্যান করি। মোবাইলে নোটস লিখে রাখি। কিন্তু এর কোনোটাই শেষ পর্যন্ত করা হয় না একমাত্র ঘুম ছাড়া। বুকসেলফটা মাথার কাছাকাছি। হাত বাড়ালেই যাতে বই নাগাল পাওয়া যায় এই উদ্দেশ্যে।আজকে বই ঘাটতে গিয়ে একটা কবিতার বই হঠাৎ করে চোখে পড়লো। বইটা অনেকদিন ধরেই খোঁজছিলাম। না পেয়ে ভেবেছিলাম কেউ নিয়ে আর ফেরত দেয়নি হয়তো বরাবরের মতো।