দেওয়ালে স্মৃতির মতো ঝুলে থাকে ফোটোগ্রাফ
বাকিদের ঠাঁই অ্যালবামে
অতীতকে বাক্সে ভ'রে, সযতনে সাজানো জীবন
তারও আছে নানাবিধ, হায়ারার্কিক্যাল
সেই িবধি মেনে নিয়ে চিলেকোঠা ঘরে
তক্তপোষের তলে দিদিমার রমণীর গুণ,
ভাঙা কাঁচ হাল ছাড়ে, ধুলোবালি
ফুরোনো প্রেমের ভাঁজে ভাঁজে
অস্বচ্ছ ঘোলাটে চোখে চেয়ে থাকে প্রপিতামহেরা
শৈশবও বয়স্ক হয়, কিশোর ভারতী
কারও ভোগে লাগবে না, দিন ফুরিয়েছে
সাঁ...
সৌজন্যতা বিনিময় শেষে এক আত্মীয়া প্রশ্ন করলেন আকস্মিক ভাবে,
ক্লাশে তুমি কোথায় বস?
আমি বল্লাম, কেন? বরাবরই পিছে।
যুক্তি ছড়ালাম এই বলে:
পিছে বসার অনেক উপকার আছে;
পিছে বসলে সতীর্থদের ফলো করা যায়, কে কত টুকু অমনোযোগী।
কার চুম্বক ক্ষেত্রের বিস্তৃতি কতটুকু তা এঁচে নেয়া যায় ছাত্র-ছাত্রীর দৃষ্টির ক্রসকানেকশন দেখে।
শিক্ষকতাকে কে ব্রত হিসাবে নিতে পেরেছেন,
দ্বায়িত্বে কে খলিফা ওমর - সে ষ্...
আজ আকাশে, আলো আছে ভরা
চাঁদের পাশে, আছে কত তারা
শুধু তুমি নেই, শুধু তুমি নেই গুরুদেব...
আজো জল পরে
আজো পাতা নড়ে
তবু সে পাতা আজ একা রয়ে যায়,
কাঁদে আজো হিয়া
ফোঁটে ক্যামেলিয়া
তবু তার স্থান নেই, কোন কবিতায়।
কাঁচ ভাঙে নিত্য
সে পুরাতন ভৃত্য
আজ তার কান্না আর কেউ দেখে না,
পাষাণ খয়ে যায়
ছোট নদি বয়ে যায়
তার চলা দেখে আর কেউ শেখে না।
আজ পঁচিশে বৈশাখে
সাজ সাজ চারিদিকে
তোমারই আলো, তোমারই আলো গুর...
সূর্যাস্তের সময় ঘরে ফেরাটাই নিয়ম। ঝিরিঝিরি বাতাসে পাল তুলে নৌকা, আকাশে পাখির ঝাঁক আর অফিস ফেরা মানুষের তাড়াহুড়ো - সবারই ঘরে ফেরার সময়টা বাঁধা সূর্যের ঐ চলাফেরার সাথেই। কখনো কখনো সন্ধ্যাটা কাটে অলস, ঘরে ফেরার তাড়া থাকে না কোন - তখন হাবিজাবি নানান চিন্তা মাথায় আসে। পুরানো কথা মনে পড়ে, বুক ভারি হয়ে ওঠে, বিস্মরণকে মনে হয় আশির্বাদ। আস্তে আস্তে রাত নেমে আসে, অন্ধকারে আরো চেপ...
প্যাচপ্যাচে অন্ধগলি
অন্ধগলি বললেও ভুল হয়-
কেমন গুমট গন্ধ চারিদিকে
সিগারেটের ফিল্টার, পলিথিন ব্যাগ
ছেঁড়া কাগজ, কনডমের ছেঁড়া প্যাকেট ছড়ানো-ছিটানো
মাঝে মাঝে খিস্তি-খেউড় ভেসে আসছে কানে
দু' একটা অস্রাব গালিতে ঈশ্বর বেচারার কান লাল হয়ে যাচ্ছে
কিন্তু কি আর করা- তাকে চলতেই হবে
সামনে যে যিশুর মাতা
মরিয়ম, মা মেরী।
মনে হয় না এবার ঈশ্বর সফল হবেন
মরিয়মও নিঃস্তেজ
সে বুঝতে পারছে বড় কঠিন তা...
[বেশ জবর একটা গ্রীষ্মনিদ্রা দিয়ে এলাম। মাঝে মাঝে কেবল উঁকি ঝুকি মেরে গেছি। এদিকে ঘুম ভাঙ্গার পরে দেখি লঙ্কাকান্ড। ভূতের উৎপাত দেখি ঘাড় থেকে মাথায় উঠেছে। আর তো চুপ করে থাকা গেল না। তাই আবার নামিয়ে ফেললাম গোটা কয় ভূতের চরণ। বছরের প্রথম (বাংলা ও ইংরেজি উভয়) নন্সেন্স]
[center]
আজ সকালে দরজা খুলে বাইরে গিয়ে দেখি,
দিন দুপুরে ভূতগুলো সব করছে সভা, একি!
মাইক নিয়ে চেঁচাচ্ছে কেউ, পাইক হাতে বর্শা,...
হাতের তালুতে জমা আর্য আলোর দ্যুতি। রতি আর রেখার গানে
স্বর তোলে জীবের জীবন। আসন পেতে তুমি বসে আছো কবি,
এই ধ্যানী বৈশাখী ঝড়ে। নড়ে প্রাণের পাঁজর আর নাড়ায় জারুল
গাছটির প্রবীণ পাতা। খাতা খুলে লিখি নাম ; নন্দিত ভোরের গোত্র
সন্ধানে খুঁজি পথের প্রবাহ । দেহ জুড়ে এ এক নবীন আগুন। ঘুণ
পোকার মতো বিদ্ধ করে পংক্তিপরত । শরত, বর্ষা , বসন্ত কিংবা
শীতে। হেমন্তে হাসে ' ও আমার দেশের মাটি ' । খাঁটি পলির ব...
চিতায় অঙ্গার
জুয়েইরিযাহ মউ
লেলিহান আগুনের শিখায় ধোঁয়াটে আকাশটা
কেবল পুড়ছে নিঃসাড় মানবদেহ,
মৃত্তিকার গভীরে বিলীন হয় দেহ -
মৃত্তিকা হয়ে ওঠে উর্বর।
জ্বলন্ত অঙ্গারে পুড়ছে মনটা
সন্ধান পাই প্রকৃত অনুভূতির।
নিস্তব্ধ দেহের মতো নিথর সম্বন্ধ,
নিঃশেষ মোহময় ভাললাগা।
শেষ ??? হাহাকার ওঠে অন্তঃস্থল হতে,
জীবনের ভান্ডারে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা -
জানায় শুধু ; শেষ হয়নি তবু।
অবোধ মন, অবুঝ হৃদয় -
দেয়...
আগুনের শিল্পী দিয়েছে এক আংশিক নকশা,
জানা নেই বাকি আগুন
বাড়ায় কোথায় নিশা।
নকশার কোল জুড়ে আগুন জ্বলে,
জ্বলে যায় কবিতার ক্ষেত,
নীলিমার শ্বাস,
বাকি অংশের অভিসারে
আগুন ছড়াবে সুবাস!
সেই পোড়া আধেক খুঁজে যাই,
বেড়ে চলে আগুনের বেলা,
চোখ হয়ে গেল ছাই।
চারিধারে মেলানো আগুন জ্বলে,
উৎসবের আলোকসজ্জার মত,
পোড়া চোখ আধার নিয়ে খুঁজে
যায় আংশিক ক্ষত।
নীল
-------------------------------------------------------------------------
বোবা অন্ধকারে যখন বসে থাকি একেলা
সিগারেটের ছাই জোনাকি হয়ে উড়ে উড়ে
যখন পৌছে যায় তোমাদের গ্রামে,
তুমি কী তখন তাকে দেখতে পাও? চিনতে পারো,
পরিচত বলে মনে হয়?
তোমার গ্রাম থেকে বা তোমার বাড়ি থেকে
আমার এখানে কিছুই আসে না!
কেন? পথ ভুলে গেছে?
ভুলে যাওয়া যে কতো কঠিন, মনে রাখা তো সহজ,
সহজটাই তো তোমরা বেচে নাও। তাহলে?
গতকাল দুপুর রাতে অঝোরে বৃষ্টি হয়েছ...