কবিতার প্রয়োজনেই
মাঝে মাঝে আমি কবিতা লিখি।
খাতা আর কলম আমার রক্তাক্ত হয়;
লাল রঙ্গা কলমের আঘাতে।
এত আঘাত আর খাতায়-কলমে ক্রন্দল,
আজও থামছে না,
তবু লিখে যাই দু-এক কলম...
আমি কবি-
তাবৎ পৃথিবীর এক কোণে আমার বসত-বাড়ি,
আর পুরোটাই আমার কবিতার রাফ খাতা।
মাঝে মাঝে সেখান থেকে,
একটি-দুটি লাইন মুছি,
নতুন কিছু শব্দ বসাই।
এভাবেই;
অথবা এমন করেই,
এখনও কবিতার প্রয়োজনেই,
মাঝে মাঝে আমি কবিতা লিখি।
...
নির্জন বনের ভেতরে এক ফড়িংশিশুর সাথে
বেঞ্চিতে বসে ছিলাম। আবিষ্করণটি সহসাই,
কী চায় সে আমার কাছে? একটি ছোট্র শিশুকে
আঙুলধরে হাটতে দিতে চেয়েছিলাম
পিতার মতো, কথাটি মনে পড়ে।
একসময় আঙুলের ভেতরে আমার
নখের কেণিতে মাংসের মধ্যে ডুবতে থাকে,
ডানপার্শ্বের অই অতটুকুন সরুপথ দিয়েই সে
তরতর করে উঠে আসে মধ্যমাঅঙ্গুষ্টি বেয়ে ;
আমার সেই ইচ্ছাটাই যেন। বোঝা যায় মানুষের
সর্বাত্মক-ত্বক কতোটা স...
সড়ক
নাহার মনিকা
যত শব্দ তোমাদের সড়কে
এখানে ততটা নেই। যেখানে
বৃষ্টি নামলে মনে হয়,
আকাশ ভর্তি থই থই মেঘের মাতলামি।
জানলায় হাত দিয়ে বড়জোর বৃষ্টি ছোঁব,
শীতের ছ্যাঁকা আজলা ভরা খামে
পোষ্টাপিসে ষ্ট্যাম্প ভেজাবো
জিভের ডগায়। পাঠিয়ে দেবো
দু এক দশক পেছন দিকে।
তোমাদের সড়ক ভর্তি
দুঃসাহসী বাজ কি পড়ে?
এখানে সড়কের ভেজার ভরসা নাই
করতলে শীতল কাঁপন
মাইক্রোওভেন চেনে স্পর্শ সংকেত।
- কে কার...
প্রবাসে বসবাসের সুবাদে অনেক রকম ভাষা ও বচনের সাথে পরিচয় হয়েছে এই ক'বছরে। দেখেছি ভিন্ভাষায় কথা বলার সময় মানুষের উৎস কীভাবে অজান্তে প্রকাশ পেয়ে যায়। এই দলে আছি আমরা কিছু ভেতো বাঙাল, যারা ইংরেজিতেও বাংলার সোঁদা টান দিয়ে ফেলি।
আবার মুদ্রার অপর পিঠেই আছেন অনেক আধুনিক মানুষ, যাঁরা নিজভাষা বাংলাতেই কথা বলেন ইংরেজির মত করে। এই দুরাত্মাদের প্রকোপে বাংলা প্রায় হারালো বলে।
এমনই সময় ম...
নিসর্গে ঢুকেই নিরীক্ষণযোগ্য মনেহলো :
একটার পর একটা ফুল বদলিয়ে বসছে প্রজাপতি।
সময় দেবার মতো সুন্দর, নয় কোনোটি?
ফুলের উপর বসে রোদে ভিজে
রঙিনডানা বাতাসে মেলে, কখনো দুলছিল
কোনো কোনো ফুলের সঙ্গে,
জিজ্ঞেস করেছিলাম : এসব অনুদ্দিষ্টপ্রেম,
কাকে জানানো হচ্ছে শুনি?
ভ্রূক্ষেপ করেনি প্রজাপতি!
তখন আমি নিশ্চিত হতে চাচ্ছি,
ঠিক কাকে ভালোবাসে প্রজাপতি? বললাম :
দেখ হে প্রজাপতি, খুব বেশী দূরে ...
স্তব্ধতার কোন বাহারী ডানা নাই।
নাহার মনিকা
বন্ধুয়া আমারে বলে- দ্যঁ ল্যা লুন এর দিন শ্যাষ।
প্রবল পালটে গেছে সরিষার ভুত
দিনের মধ্যাহ্ন ভাগ, সন্ধ্যার কাব্য সময়।
বুঝানো দরকারী না
তবু ও যখন তরবারী হাতে চেঙ্গিস খাঁ
দক্ষিন পাটাতনে ঝাপ দিয়া নামে
বিজ্ঞান বদলে যায় বিষন্ন বোমায়।
বন্ধুয়ারে আমি বলি,
লেখোনাকো একটি বোমার আত্নকাহানী
হিরোশিমা নাই নিলা
বেছে নাও যেন তেন
দু একশো মানব বিনা...
যে-ই হেঁটে যাক তুমি যেওনা
আহা তোমার ল্যান্ড রোভারটা কষ্ট পাবে
পেছনের ডান কোণায় রোজদিন বস, ব্যতিক্রম হলে রেক্সিনের গদিটা ভুগবে বিমর্ষতায়
তার মন খারাপে কেমন হয় তুমি জান
তাকে বঞ্চিত করনা
পাদানিতে জুতো খুলে পা রাখ
একদিন জুতো সমেত রেখেছিলে
তোমার মেঘসাদা গাড়ির খয়েরী পাদানির রাগ তুমি দেখনি সেদিন
আর তোমার রিয়ার ভিউ মিরর-
কতদিন রাতে রাতে সে তোমার স্পর্শের কামনায় পাগল হয়েছে
তুমি ব...
গোধূলি
সূর্যালোক
সন্ধ্যা হতে যায় হারিয়ে
বহুদূর
রোদ্দুর
মনের গহীনে পৃথিবী
চন্দ্রালো
কোমল
চন্দ্রাহত প্রেমিক মন-
জোৎস্নার পরশ
আমার সর্বনাশ
প্রদীপ নিভে যায় ঘরে
মন ছুটে চলে বাহিরে
অপার অভিসার
বোঝার পাহাড়
ভারসাম্য
অমাবস্যার আঁধার
পাহাড় বুকে ঝরণা
কী পরম উপলব্ধি!
সুবহে সাদিক
আলো-আঁধারি
দিনবদল
প্রকৃতি
জীবন।
দূর থেকে পাহাড়গুলোকে সাগরের বুকে
কেন যেন শোয়ানো লাশের মত মনে হয়
বৃক্ষের ফাঙ্গাসে একেকটা ডিকম্পোজড বডি
কারো ধড় নেই, কারো হাত, কারো পা
ঘোড়সোয়ারির পাশে পড়ে থাকা শিরোস্ত্রাণ
পুরো সাগরটাই এঁটো আর নগ্ন গোরস্থান।
এই প্রশান্তমহাসাগরীয় বিকলাঙ্গ পাহাড়দল
ঋষির মত আমার মগজে ধ্যান করতে কিংবা
অমরত্ব, বিশালতা, উদারতার কোনো ছাপ
ফে...
নীল
------------------------------------------------------------------------
[তার নিঃশ্বাসের কাছাকাছি গিয়ে বোঝা হলো, সে কতটা বিষাদ]
আমাদের যতোসব ছিলো স্বপ্ন, প্রেম, বিলিয়ে দেই
একদিন নগরের পুরাতন রোডে...আর আমরা
হয়ে যাই নিঃসঙ্গ। আমাদের বাড়ীর পাশে যে নদী
স্মৃতিশ্বরী, সন্ধ্যা হলে সে থেমে যায়...আর একাকীত্বে
রাত্তি কাটায় প্রতিকারী জলকুটুম।
তারপর
এমনি-অমনি হয়ে যায় প্রভাত!
ঘাসরঙা ড্রেস পরে ইশকুলে যায় সাদিয়া সনি....
মেঘক...