Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কবিতা

আধখানি চাঁদ আবছা আলোয়

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি
লিখেছেন তাহসিন আহমেদ গালিব [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৪/২০০৯ - ৮:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিন ছিল পূর্ণিমা, বিস্তীর্ন আকাশের পুরোটা জুড়ে।
আমি ঘর থেকে বাহিরে,
সামনের ওই বারান্দাটায় দাঁড়িয়ে।

ঠিক পুরোপুরি মনে নেই হয়তো;
হয়তো বা আমারই বাসর রাতের কিছুদিন আগের কথা-
একফালি চাঁদকে আমি নিজের মত করে;
প্রচন্ড ভালবেসেছিলাম!
আশ্চর্য, সেই চাঁদও হয়তো,
আমাকে ভালবাসতো...
নয়তো প্রতি পূর্ণিমা রাতে,
কেন তার এতো রূপ নিয়ে আসা-যাওয়া?

আজ অমাবস্যা-
চারদিক ঘন অন্ধকার করে,
চাঁদের ছুটি নিয়ে ...


জানা

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৪/২০০৯ - ৪:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবাই জানতে চায়
তুমি গিয়ে
কী করবে

তুমি কিছু বলো না

তোমাদের কি আর
দেখতে পাবো ওই
এক পাহাড়ের
বারান্দায়

যারা তোমার কাছে
জানতে চায়
তারাও
তোমার চাওয়ার
জবাব জানে না

তোমরা সকলেই এসেছিলে?-
বহু বহু দিনের পর
একে একে
দ্যাখার ছোট্ট
কৌতূহলে

তুমি তো একা
ওইখানে
গিয়েছিলে অনেক-
যেমন যায়নি
কখনো আর কেউ

আজ সবার
আসিবার কথা

অথচ তুমি
ওইখানে
নাই

একই পাহাড়ের
বারান্দায়
তোমাদের আবার

এই জী...


স্মৃতি, দেনা পাওনা

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃন্ময় আহমেদ (তারিখ: রবি, ০৫/০৪/২০০৯ - ৯:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনোনদী
উথাল পাতাল
লাঞ্চিত বঞ্চিত
লেনাদেনা

আসা-যাওয়ার জীবন- অর্থহীন
দাগ রেখে যাওয়া- অনন্য পূণ্য
ধের্য্যশূন্য তেজ পাপ- আত্মা আহত
বিদগ্ধ চিত্ত হোক ঈশ্বর সমর্পিত

প্রদীপ অন্তরালের শীতলতা হই
কেনো শুধু শুধু জ্বলে জ্বলে ওঠা!!


গেরুয়া কয়েদী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৪/২০০৯ - ৪:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আত্মা পেয়েছে সংযোগ ।
পৃ্থ্বী ঐশ্বর্যের এপিঠ ওপিঠ দুপিঠ সমান
ভোগে ক্ষয়িষ্ণু বিবেক আর সুশীল সমাজ
সংসারীআনায় বিরাগ, যথার্থ তবে রায়ত

ধর্ম যখন যন্ত্র, মন্ত্রের মন্ত্রী নয়;
সুনির্দিষ্ট যন্ত্রের যন্ত্রী ।

এবেলা ওবেলায় সশ্রম কারাদণ্ডে
তথাকথিত কয়েদী নয় তবু দুই খন্ড গেরুয়া, চিহ্নিত আসামি ।
জমিহীন তবে চাষ হবে মড়ক লাগা সব ক্ষেত ক্ষামারে,
রায়ত পেয়েছে গোপনে, বিবেকে ।


নিষিদ্ধ রাত ও একটি রজনীগন্ধা

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি
লিখেছেন তাহসিন আহমেদ গালিব [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৪/২০০৯ - ৮:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিষিদ্ধ রাত্রির আধাঁরে কম্পিত শহর ঘোরে
সে নেশায় বুনোফুল ঘাসসহ নড়ে আধাঁর কম্পনে
চারিদিকে মানুষের নানান সাধ জাগে
রাত্রি পোহাইলে দেখি-
কাঁপা কাঁপা আলো চন্দ্রহীনা ধরণীর আবেশে।।

সে আমার কোন কালের এক সাধ না মেটানো
পূর্ণিমা তুই; এই অবেলায়
ফানুশ ওড়া আকাশটাতেই উড়লি শেষে।

......(আংশিক)

তাহসিন গালিব


বৃষ্টি নিয়ে কী বক্তব্য?

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৪/২০০৯ - ৫:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার অকিঞ্চিৎকর অনুবাদের অনেক প্রশংসা জুটেছে। তা প্রশংসায় কে না খুশি হয়? কেউ কেউ আবার এমন খুশি হয় (যেমন আমি) যে সিনেমার গাড়ি থামিয়ে এক পিস অনুবাদ পোস্ট করে দিলাম। মেপেজুপে অনুবাদ নয়, অনেক নিয়মই ভাঙা হয়েছে, সে অনুবাদকেরই অক্ষমতা।

কবি খ্যাতনামা কেউ নন, এড্রিয়ান ওয়াল্টার নামের অখ্যাত এক কিশোরী। আন্তর্জালেই পড়া, তাই লিঙ্কটাও দিলাম এখানে

আর পর...


পাখির কারাবাস

ফকির ইলিয়াস এর ছবি
লিখেছেন ফকির ইলিয়াস (তারিখ: বুধ, ০১/০৪/২০০৯ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আর বুনি না ফেরার প্রিয় তাঁত
আর খুলি না ঘরের তাম্রতালা
জানি সবই মেকি ঢেউয়ের জল
সবই ফিকে, ধূসর শব্দমালা।

অথচ এই প্রেমের ভুবন জুড়ে
ছিল বীণা, বাজতো আলোর ছলে
কেউ নামতো পদ্মপুকুর মাঝে
কেউ কবিতা শুনতো কালের কলে।

কলের গানে বেজে যেতো গান
বাঁশরিয়ার দুপুর চেরা বাঁশী
ডাকতো কাছে আঁকাবাঁকা পথে
পড়শীরা ও দেখে যেতো আসি।

ডাঙা বুকে সেই নদীদের নাম
আমিও লিখে রেখে দিতাম পাশে
প্রতিবেশী ছিলাম কি...


অকবিতা

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃন্ময় আহমেদ (তারিখ: বুধ, ০১/০৪/২০০৯ - ২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চূর্ণ আবেগ
ব্ন্ধুর সয় না
বেশ মাতাল
হৃদয়ের পরশ
পাথরের ক্ষয়
নোনা অশ্রু ঝরে

ক্লান্তি আসে
শরীরে, মনে
প্রবণতা
স্মৃতি ঘাটানো
বিমূর্ত সময়
কিচ্ছু করার নেই

চলে যায়
স্বপ্নের দিন
ভুলে যাও
এ অকবিতা।


বোধ হয় কারও জন্ম হয় না

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: বুধ, ০১/০৪/২০০৯ - ১২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাতের কোণায় এ ভাবে কখনো দেখিনি,
মাংস শেষ হলে লস্বালম্বী শুয়ে থাকে মাছের কাঁটা!
এখানে থালার পেটেও কী মাটির গূঢ়-গর্ত পাতা?
চোখ দু’টো গোলাকার শূন্য, মাটির প্রলেপ মাখা।
সাদা হাত, হাড়, দাঁতেরপাটি- ম্রিয়মাণ জ্যোৎস্না,
আঙুলগুলো তারাবাজির মতন যেন
নি:স্তেজ পুড়ে পড়ে আছে।

নাসিকার ছিদ্রপথে, চাঁদনিতে, চোয়ালে
যত্রেতত্রে পোকার প্রাদুর্ভাব,
অন্ধকারের অন্তর যেন
নড়ছে-
টিক্‌ টিক্‌-টিক্‌-টিক্...


ইন্টারপ্রিটেশন

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/০৩/২০০৯ - ৩:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ও শিশু, চোখ মেলতেই অবিরাম
না-জেনে না-বুঝে তুমি
বুকের ভেতরে টেনে চলেছো
এই দুনিয়ার বাতাস

বাতাসের যা জান, তাকেই যদি
ছোঁয়ালে আগুনের লুকানো প্রাণে
ধুয়ে মুছে দেয় তোমার তৃষা-
নাম জেনে চিনে নিলে পানি

সূর্যচুমু ভালোবেসে ওই পানিই আবার
ভাসতেছে আকাশে-
মেঘ হয়ে চোখেরই সীমায়
অথচ যোজন যোজন দূরে

শিশু হে,
বুকের ভেতরে টেনে নেয়ার বাতাস
কেমন তোমার থেকে দূরে যায়
মুক্ত-আকাশেÑ শুধু চোখের সীমায়
...