পাপ প্রজন্ম
আতিক রাঢ়ী
আমার প্রতি পদক্ষেপে উড়ে যায় যে পথের ধুলি,
ছুঁড়েফেলা সিগারেটের অবশেষের ধোয়ায়-
মিশে আছে ঘৃ্না, আছে আবজ্ঞা,
যা কিছুতে গর্ব তোমাদের।
তোমাদের মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা, ইতিহাস,
সব-ফেন্সিডিলে বোতল বন্ধী।
রাত জাগা চোখের ক্ষর তাপে-
ঝলসে যায় মায়ের মুখ, জ্বলে যায় স্বপ্ন,
পুড়ে যায় অবশিষ্ট যা থাকে- তার সব।
নষ্ট নেতার স্পষ্ট গলায় দেশ প্রেমের ভাঙ্গা রেকর্ডঃ
আহ! আমার প্রকৃ্...
শৃঙ্গারপত্র
=======
নাভী ও নাব্যতা পেয়ে ছুঁয়ে যায় চন্দ্রের মুখ।
খালি কলস হাতে পাঁজর সর্বস্ব একজন কিষাণী
মাড়ায় ঘাটের পৈঠা। কলস ভেসে যায়। তুলতে
গিয়ে সেও নামে জলে। আজ মাঘী পূর্ণিমা রাত।
জোয়ারের কথা নয়। তবু ফুলে ওঠে জলের কিনার।
ভাসায় শুকনো যমুনা। আহা ! জীবনের জৈব সেতার!
বেজে চলে ঝাউবনে শৃঙ্গারের শত জলদানা।
তারপর বননরক থেকে-
সবুজের গন্ধ, অকাট-সূর্যের পিপাসা
আমার নাকের মধ্য দিয়ে রক্তের মধ্যে ঢুকে
অতিকষ্টে পৃথিবীকে বাঁচালো।
যেন সব ঝরঝরে রোদ্দুর চোখের মধ্যে
শীতের মতন বসেছিল,
নামলো :
নি:ষ্ক্রান্ত কুয়াশা।
চোখের মধ্যে লিক্লিকে ঘাস
ঘাসের বুকে ফোটা নীল-নাকফুল
বাতাসে দুলছে, আর আমার চোখ থেকে বেরিয়ে
কালো পাখিটি তার হলুদ-পা
সবুজে ডুবালো :
এখন পাখির পায়ে হাঁটছে সকাল।
আজ এই সকাল আর এই প...
এমন দৌড় কেউ কখনও
দেখে নি আর-
ঘুড়ি ভোকাট্টা হতেই এক বালকের পগারপাড়,
অপর বালকদের হাসিঠাট্টায়
চলে কি দৌড়ের এক দারুণ অভিসার?
উসাইন বোল্ট কি কখনও আনন্দ পেয়েছিলো দেখে এমন ঘুড়িদৌড়ের সার।
ঘাসের কণায় লেগে থাকা ভোরের শিশির
সকালবেলা নষ্ট করেই যাবে পড়ন্ত ঘুড়ির দেয়াল
পাতলা কাগজ তো হবেই মলিন, যদি পায় সে যখন-তখন ঠোটস্থ পানির খেয়াল
পৃথিবীটা খুব চালাক চতুর,
উড়ন্ত ঘুড়িকে স্পর্শ করাবেই সে মাটি...
নীল
-------------------------------------------------------------------------
একটি পরিচিত সময় হেঁটে যায় বন্ধুর হাত ধরে। পাশেই শ্বাসকষ্টে কাতরায় বিকেল! একটি অপরিচিত শ্বাপদ বন্ধুর বাড়ীর দিকে যায়...
আমার অবাক লাগে। আমি আড়ষ্ট হয়ে যাই- আর ভাবি আমিতো কৃষক। নক্ষত্রের খোঁজে আদিম পাহাড়ে উঠে জেনেছি সত্য, তাকে কিছু শুনানো আমার প্রয়োজন; যতোই সে যড়যন্ত্র এঁকে দেয় বিকেলের পথে!
সময়ের পাখনাগুলো খুব-ই উন্মাদ, ভুলও করে প্রচুর! নক্...
দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে যাতায়াত শুধু
সময় মিশে যায় মহাকাল স্রোতে
এভাবেই বদলে যায় দৃশ্যপট
রূপান্তরের পালে দোলা দিয়ে যায়
কিছু স্মৃতিভারাতুর দীর্ঘশ্বাস।
কেউ জানেনা কোথায় পথের শেষ.........
মনে পড়ে
লেবু-গন্ধী উদাস-অলস দুপুরগুলো
সৌরভে বিভোর রমণীয় প্রজাপতি মেলা
লাল ফড়িংয়েরা বাতাসের গায়ে ডানা মেলে দিলে
হাওয়ায়
হাওয়ায়
কেমন মদালসা সুরের কাঁপন বেজে যেতো
থোকা থোকা রুধির-পুষ্পিত কৃষ্ণ...
আমাদের সব কথা মিশে যায়
বিশ্বস্ত এই মাটিতেই শেষে, মিশে না অন্ধকার-
কেমোন আলগা হয়ে জুড়ে থাকে
প্রতিটা আলোর গায়ে দেখো,
কারণ ওগুলো শোকের ছায়া।
আমাদের সব দুঃখ ডুবে যায় বুকের গভীরে কোথাও
ডুবে না কষ্টের পাথর কিছু-
নির্ণিমেষ অভিমান পারে না ভাঙতে কোনো জড়ল বিষাদ
কারণ ওখানেই ছুঁয়ে থাকে আমাদের অন্তরীণ আহত নিঃশ্বাস।
হয়তো বা আমাদের সব স্মৃতি ধুয়ে যাবে একদিন
আরো কতো স্মৃতিময় বিস্মৃতির প্র...
নেহাৎ ফাল্গুন না হলে
ভালোই লাগছিলো তাকে জ্যাকেটে।
তা দেখে মনে পরলো
বহুদিন আগে, সে প্রায় প্লায়োস্টিন যুগে,
যখন হৃদয় এমন ডেপোঁ হয়ে ওঠেনি,
সামান্য ক্ষতেই উথাল পাথাল,
হাপুস হুপুস আবেগ,
মায়া, অবহেলা - তার আর কতো জাল
বিছানো আমার সন্নাসী দিনকাল,
সেই ভুলে যাওয়া দিনে
দিয়েছিলাম এক তাকে টুকরো ঝান্ডা লাল,
শ্লোগান, মিছিল, আর ব্যারিকেড ভাঙ্গার ডাক।
ফাল্গুন না হলে, ও রং জ্যাকেটে
তাকে বেমানা...
কেন তাকাবো জানালার দিকে?
সমুখের জানালায় তাকালে সে আমার
পেছনের জানালায় দাঁড়ায়।
বামে তাকালে সে দাঁড়ায় আমার
দক্ষিণ আঙিনায়। পথে তার পায়ের সাথে আমার
পথের সংঘাত বাধে। আমি বারবার পেছনে তাকাই-
না, কেউ নেই! তবু যেন কেউ আছে, কিছু যেন আছে,
আমার সর্ব অস্তিত্বের সাথে রক্তাক্ত-জোঁকের মত লেগে!
আর একান্ত বান্ধব কেউ নেই জেনে, যদি রাতে
অস্থির সিগারেট জ্বালাই, তখন সে এসে দাঁড়ায় আমার
গভীর বাম ন...
ভালবাসা, তোমায় আমি ভালবাসি
এপথ-সেপথ ঘুরেফিরে
অচেনা সব মুখের ভীড়ে
চেনা তোমার কাছেই আমি ফিরে আসি।
বড় আমি অনেক এখন
মনের কথা এখন আমার বলতে বারণ
ব্যস্ত থাকি নিজের কাজে
আজেবাজে
খুব অকারণ
বাসতে ভাল আর কি সাজে?
মাঝেমাঝে বড় হওয়ার দুঃখ আমায়
গ্রাস করে নেয় হঠাৎ করে
জেগে থাকা রাতের ভোরে
আমায় ভাবায়
কারণ ছাড়া
হাসিখুশি ভাল আমি হঠাৎই হই দিশেহারা।
ভালবাসা, খুঁজে ফিরি তোমায় তখন
পুরনো সব স্...