রাত্রির নিঃশব্দ চাদর পেরিয়ে,
আহা, তবেই না তারাদের হৈ চৈ ।
আমরা হেঁটেছি যূথবন্দী যাত্রায় –
নক্ষত্র ফোঁটা উজলা রাত বুকে ভরে
আমাদের শ্রান্ত ও ক্লান্ত ভালোবাসায় সিক্ত
হতে হতে নারী শেষ ফসলের ঘ্রানে মাতাল,
হৈ্মন্তী বাতাসে তির তির নদীর শরীর,
আর, মৃত্তিকার সঞ্জিবনী সুধায় চারদিক মৌতাত ।
এইসব শরীর খুঁড়ে ভালোবাসা বপন,
শ্রাবণ ও প্লাবনে উথাল-পাথাল
সর্ষের শীর্ন দোলায় শালিকের কামরাঙ্গা ...
শব্দরা প্রতীক্ষায় আছে দিনমান।
প্রতীক্ষার পালা শেষে,
সন্ধ্যেতে একটু একটু করে সাজতে বসে তারা।
পায়ে রূপোর খাড়ু,হাতে কঙ্কন,চোখে কাজল,
লম্বা বিনুনিতে জড়ানো বেলফুলের মালা,
ঘুরিয়ে পড়া শাড়ির নীল আঁচল-
তম্বুরার তরঙ্গায়িত ঝংকার
সে কি জলসা বসবে নাকি?
নাঃ নাঃ ! নাহ্ !
আমি সমঝদার লোক নই মোটে!
আমার এসব পোষায় না,
আটপৌরে চাই,একদম ঘরোয়া,
ঘরময় ছুটোছুটি করো,ধুলো,ঝুল,কালি
মেখে সামনে এসে দাঁড়াও;
ফা...
জলসূত্রি মেঘের ডানায় চড়ে স্বপ্নগুলো ক্রমশঃ নিসর্গের ভেতরে ঢুকে পড়ে;
ক্যানভাসে আঁকা অসমাপ্ত ছবি...................................................
সারাদিন টেলিফোনের তারে আর গলির মোড়ের
গাছের ডালে হুটোপুটি করা ফিঙে,শালিকগুলো
অস্তাচলে--- কেমন বাসায় ফেরে
কেমন তাদের নীড়
কতটুকু স্বপ্ন-তৃণে বুনে রাখে সেই ঘরগুলো ;
কোনদিন দেখা হয়নি।এমনি
হাজার অজ্ঞানতা নিয়ে একটি সম্পূর্ণ জীবন কেটে যায়।
প্রতিদিন চশমার পাওয়ার ব...
আমার প্রেম আনন্দ নয় মীমাংসিতও নয়
মিলনের সাথে
দু:খের হাত ধরে হাটে
একাকী পথে নির্জন রাতে
শাওনের সুর হয়ে বাজে
এখানে এসে থমকে দাঁড়ায় যে আকাশ
তার নীল নেই কোনো হাতে
ভেড়ে যে মেঘদল
তার রঙ নেই কোনো খানে
রাতের পাখি ভুলে যায় গান
শাওনের স্বরে
আমার আকাশ অশ্রু দিয়ে
মুছে যায় প্রেম
বোঝেনা প্রিয়তমা
প্রিয়তমার প্রতিভা
অবচেতন অহঙ্কার
শেষ কথা নেই জানা
পথের পর পথ হাটা
শেষ কথা নেই জানা ...
বোদলেয়ারে বিশ্বাস নাই, ব্যাটা ভণ্ড প্রতারক
আমাদের চোখে আশ্চর্য মেঘদল গুঁজে দিয়ে
বেকুব মরণের ওপারে চলে গেছে চুপচাপ।
আমরা কতিপয় অসহায় সংহার তার
বিস্ফারিত চোখে খুঁজি ফাঁকা নীলাকাশ,
তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমাদের আকাশ
নীল থেকে ক্রমশ ধূসর হয়;
এবং আমাদের অমনোযোগে
চামড়ায় রেখাপাত,
প্রবল বাতের টান পূর্ণিমায়,
আর গিঁটের অশক্ত কাঁপন জমতে থাকে।
আমরা বেখেয়ালী তবুও আকাশেই মেলি চোখ
নিষ্পলক ...
নীল
-------------------------------------------------------------------------
ঘুমন্ত শহর রেখে হেঁটে যায় রাত্রির পা
অন্ধকারের ভাষা টুটকা করে
অবলা নারী। তাদের আঁচলে বেঁধে নেয়
মন্ত্রের কৌশল-
ঘুড়ির মতো একটি চাঁদ ঝুলে আছে
বিধবা মেঘের ঠোঁটে!
অনেকগুলো বোবা হাসি শিস হয়ে
মিশে যাচ্ছে বাতাসে।
তাদের গন্তব্য অজানা
তারা জানে না
ঘুম থেকে জাগানোর মন্ত্র অজানা হলেও
জেগে থাকে দুটি স্তন আর অনেকগুলো
অশ্ব দৌড়ে যায় স্বপ্নের ধূ...
ঘোর লেগেছে পলাশ লালে
মন ছিল যে হাওয়ার দোলে
এক মনেতে জড়িয়ে ছিলেম
ভালোবাসার জালে
এমন সময় তুমি এলে
ভ্রমর কাল চোখটি তুলে
বললে হেসে
এবার আমি যাই।
মনে এল হঠাৎ করে
কাল প্রভাতেই বলেছিলে
সুর যদি আর নাইবা মেলে
চলবো একাই নিজের তালে
চমকে গিয়ে বিষম রকম থমকে গেলাম আমি
কাল বুঝিনি- সুরটি তবে কেটেই গেছে
ইচ্ছে করে অনেক আগেই হাত ছেড়েছ তুমি।
বোকার মত কেবল আমি
উড়িয়েছি ভালোবাসার ফানুস
ভালোবা...
এই যে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতরে অনুপ্রবিষ্ট আত্মাগুলো
আমার সমস্ত সমৃদ্ধি আর সম্পন্নতাটুকু তাদের কাছে ঋণী।
দ্বেষণার কেন্নো-কেঁচো আগলে রেখেছে পা
ঘিনঘিনে কেঁচো-নৃত্যে হাস্যকর তাল-লয়;
তোমার নুপুরের ভাঁজে এক পাল কৃমি-কীট
নেচে যাও, নাচলে পয়সা মিলে--নিদেন হাততালি।
তুমি কি জানো আমিওযে খুব কলা-কুশীলব
নাচের প্রতিটি মুদ্রা আমার আয়ত্ত?
ডিং ডং ডিং ডং
যেভাবে সন্ধ্যারতিতে গীর্জার ঘন্টা...
জীবন থেমে আছে আমার,
সময়ের পুলসিরাতে আমি আটকা পড়েছি ঠিক মাঝখানটায় ।
কতোজন চলে যায় অবলীলায় ;
কেবল আমি আর
আমার মতো অসময়ের কতিপয় মন্থর পথিক
অনেক ভয় সংশয় আর দ্বিধা নিয়ে
পড়ে থাকি রাস্তায় ।।
শূন্যে ভাসমান এই পুলসীরাতে যাত্রার শুরুটা ভালই ছিলো-
দুপাশে উঁচু রেলিং ছিলো-
আশা ছিলো, আশ্রয় ছিলো-
পথ দেখানোর দেবদূত ছিলো-
কোলে পিঠে করে যারা অনেক খানি পথ পার করে দিয়েছিলো ।
দেবদূতরা আমাকে আগলে র...
স্থির জলেতে ঢিল ছুঁড়ে সে
হারিয়ে গেল ওই
কুসুমকলি খুঁজছে তারে
পালিয়ে যাবে কই!
প্রতীক্ষাতে প্রহর গণে
দিনে রাতে সংগোপণে
কথঞ্চিতে চমকে ওঠে
বুকের ভেতর বল্গা ছোটে,
হৃদহরা তুই পালিয়ে গেলি কই?
কুসুমকলি মুখপুড়ি তুই
ভাবিস কি রে এত?
দেয়না জবাব কুসুমকলি
মুখটি করে নত।
চোখ দুটি তার ছলছল,
চোখের তলে কালি
ঘুম আসে না দিনে রাতে
কুসুম রে কই হারালি!
কুসুমের মা বুঝতে পেরে
কয় বাপেরে তাড়াতাড়ি
"সো...