আমি কবি নই তবে কবিতার কথা আমার ভালো লাগে। মনের অজান্তে হয়ত কখনও কখনও জেগে উঠে পংক্তিমালা কিন্তু তারা কবিতা হয়ে ঝরে পড়ার অবকাশ পায় না, তার আগেই ঝরে যায় মন হতে। তবু যে কথাগুলো আজ গোছাতে পেরেছি নিজের মত করে তাদেরকে আজ সঁপে দিলাম আপনাদের হাতে কবিতার নাম করে। যদি ভাল লাগে কৃতার্থ হব।
একুশ
একুশ মানে কি কেবল কথামালার ভীড়
একুশ মানে কি ভাষাশহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী বলে
নগ...
যে আমি দু’কদম হাঁটলেই ভীষণ ক্লান্ত হয়ে যেতাম,
অথচ প্রভাতফেরির উন্মুখ সচল ভীড়ে হাঁটতে হাঁটতে...
এক বিস্ময়কর উত্তেজনায়
একটুও কষ্ট হতো না আমার।
দু’পাশ আগলে রেখে বাবা আর মা,
মনে হতো
মাঠ-ঘাট-নদী-বন বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত পেরিয়ে
অনায়াসে যেতে পারি হেঁটে- কুয়াশা-সুদূর ওই-
আকাশের নেমে আসা প্রান্ত-সীমায়।
দু’হাতে মুঠোয় ধরা স্মিত-রঙ ফুলের স্তবক-
গুটি-গুটি-পায়ে হেঁটে যাই ছোট্ট আমি,
পাশে বাব...
ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে জীবনগ্রস্ত হয়ে আছো মন
ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে মৃত্যুসম্ভব...
বাঘের সামনে কাঁপা-কাঁপা জীবনমুখ
অন্য আরেক বাঘভয় নিশ্চিন্তে করে সম্ভোগ
ভিতরে বাঘের ভয়, হাতে লুন্ঠনস্পৃহা:
লক্ষ্য করছে সবই আকাশগণিকা।
বনেলা চিৎকারে ছিলো শার্দুলচেতনা
বোবা-দিন বাড়ি বাড়ি বদ্ধ দরোজা।
*মুহম্মদ ইমদাদ*
নিত্য যে ফুল ফোটে
তার দিকে তুমি কখনো ফিরেও তাকাওনি।
তাই সে অবাঞ্ছিত ঘাসফুলগুলো
তোমার একটু স্পর্শের জন্য উন্মুখ থেকে থেকে
একসময় সারা জনমের হাহাকার বুকে নিয়ে
আপন অস্তিত্ব লুটিয়ে দেয় ধুলিগর্ভে।
তুমি কখনোই বুঝতে পারো না
তাদের হৃদয়ের গহীন গোপন আর্তি।
অবলীলায় দলে যাও সেইসব তৃষিত সজল চাহনি।
হৃদয়ের সবটুকু আবেগ, উচ্ছ্বাস আর বিহ্বলতায়
তুমি কেবল ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখো নার্সিসাস, ক্রাইস...
যখন ক্লান্ত ছিলাম
কাজে ও অকাজে
সময় চলছিল বা চলছিল না
নিজেরই নিয়মে
আর আমি
মনে হচ্ছিল যেন কোন টুলের উপর দাঁড়িয়ে
উকিঝুকি দিচ্ছিলাম ইতিউতি
অনাগত কোন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায়
শিশুর মত
খুঁজছিলাম বাবাকে
বাবার কাধটাকে
এখনো খুঁজি
ক্লান্ত হই যখন
যখন দুঃস্থ ছিলাম
ছুটছিলাম পেটটাকে হাতে করে
থুথু আর খিস্তি মুখে
বিশ্রী সময়ের বাঁকে বাঁকে
হঠাৎ খুশি নিয়ে এসেছিল এক দেবশিশু
যার আসার কথা ছিল ...
তোমার হাসির আরশি ভাঙা সার্সি জাদু
আমার বুকে হাত বুলিয়ে হঠাৎ করে
কলম থামায়, হৃদয় ঘামায়, পলক নামায়
আয়াস ছাড়া দেয় ভুলিয়ে ণ-ত্ব বিধান
ষ-ত্ব বিধান আঁকড়ে ধরে ষন্ডা আমি
তালের পাতায় আঁচড় কেটে পদ্য খামি
মাখাইজোখাই, তবুও ভুলি মধ্যপথে
হ্রস্ব ই আর দীর্ঘ ঈ এর কী হয় নিদান
তোমার হাসির ফার্সিকোমল জার্সি খোলা
নগ্ন হাসির ঝঙ্কারে তাই বানান ভোলা
কী ছাই লিখি মুখের ফোড়ন বুকেই কাটি ...
এখন বলো, বিস...
আদ্যন্ত আকাশ দেখে খুলি পুঁথি 'হালতে আদম'
হাওয়ার কাহিনী শুনি বিজয়া মুখার্জির মুখে, দম
নিয়ে ফুঁক দিই কালের কল্কিতে আর রাখি হাত
সমুদ্রশরীরে। ধীরে বয়ে গেছে যে স্রোত তার হঠাৎ
ছন্দপতন হলে মাটিও কান্না জুড়ে দেয় নবম ঋতুতে
কে কোন পথ হারিয়ে জুড়ে নতুন সংসার ,মুগ্ধ বিদ্যুতে
সাজে ও সাজায় । কিংবা বাজায় মন্দিরা দুহাত খুলে
আমি ঠিক সেভাবেই এই নগরে এসেছি গন্তব্য ভুলে
ছায়া চেয়ে ,বিপরীত অনুপ্রাস...
সেদিনো ব্যর্থতা ছিল আমার, ছিল সেই অসহায় বিধ্বস্ত হৃদয়
হঠাৎ অস্তিত্বে আর্শীবাদ, সামনে তুমি দাঁড়িয়ে-এক অবিশ্বাস্য বিস্ময়!
আকাশের পাঁচিল বেয়ে বৃষ্টিরা নেমেছিল; দিয়েছিল স্ফটিক শুদ্ধতা
আমার চোখে মাদক বিহ্বলতা, তোমার দৃষ্টিতে নিষ্পাপ শুভ্রতা।
স্তব্ধ সম্মোহনে দেখেছি ধীরে ধীরে তুমি হলে দূর্লভ পাতা
চারপাশে অস্থিরতা শুধু তোমাকে ঘিরে এক আশ্চর্য স্থিরতা।
একে একে জল নিলে তুলে, সেই ...
গুড মর্নিং
মনিংংংং
কি করছো?
এইতো তোমার ফোনে জাগলাম।
হুমম, কি করবে সারাদিন?
সারাদিন, উমম কি করবো? কি আর করবো বলো, যা করি তাই করবো। দিন নেই রাত নেই, তোমার কথাই শুধু ভাববো।
মিথ্যুক।
ওহ সাড়ে সাতটা বেজে গেছে? শোনো ফোন ছাড়ছি, আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে, রাতে কথা হবে।
কাল যে তোমাকে গানটা মেল করেছিলাম, শুনেছো সেটা?
না এখনও শুনিনি, তবে ডাউনলোড করে রেখেছি, আজ শুনবো। শোন ছাড়ছি, রাতে কথা হবে।
আমাদে...
কবিতার সাথে পার্থক্য করার জন্য আমি এ ধরনের কবিতার নাম দিলাম ক্কবি্বত্তাহ! আমার বন্ধু ও জানি দোস্ত বিব্রত রাসপুটিন লোপেজ আমার এই গোছের কবিতাগুলিকে অনেক বাহবা দিছেন। পাশাপাশি উনি আমারে কইছেন, মুখু, কাজকাম না থাকলে আয়া পড়, এক লগে বাসন ধুই। আমি কইছি না দাদা, আম্রিকা আমার ভাল্লাগে না। আমি দ্যাশে থাকি।
তো যাই হোক, ঐ গল্প আরেকদিন কমু আনে। এখন ক্কবি্বত্তাহ শোনাই।
ইতিহাসের পাতায় ...