(আজকের সকালে হঠাৎ করেই বৃষ্টি এসে সব ওলট পালট করে দিল...)
খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গা চোখ হঠাৎ জেগে,
বন্ধ দোরের অন্ধকারে একটু আলো-
বাইরে দেখে নরম হাওয়ার পরশ লেগে
অসময়ের জলের ধারা সুর লাগালো।
আকাশ তখন অভিমানের ছদ্মবেশে
মুখ লুকিয়ে আড়াল থাকে নীরব প্রেমে,
মাটির বুকে ঘুম ছোঁয়া ঘাস ধুলোর দেশে
মৌনমুখর জলের ধারা আসলো নেমে।
শীতের শেষে পাতার মনেও আগুন লাগে,
বাস্তবতায় অনাগত ইচ্ছে জুটে,
মেঘলা মনে...
১
মাঝে মধ্যে দুপুরগুলো খরচ করি
জিন্স ও সার্টিনে সাজিয়ে নিজেকে
সিগনালে থামা গাড়ির জানালায় টোকা দিয়ে বলি
আন্টি লাগবে....
বাজারদরের সাথে মেলাতে পারিনা আঙুলের হিসাব
২
একজন আমাকে মাঝে মধ্যে তুলে নেন
তার নিঃসঙ্গ ধবধবে ফ্যাটে
সামনে বসে আধ ঘন্টা কাঁদেন
ফুরিয়েছে আজকাল কাঁদবার ফুরসত
৩
আরেকজন শহর থেকে দূরে
নিজেই ড্রাইভ করে নিয়ে যান
বাগান বাড়ির পেছনের বারান্দাটা তার খুব পছন্দ
কথা ...
ইচ্ছা ছিল এককালে কবি হব... অনেক ট্রাই করে কিছু অখাদ্য খাতায় বন্দী করসিলাম... তারই একটা
দিগন্তের দিকে হাত বাড়িয়ে
উপলব্ধি বারবার
আরেকবার-
ঐ দূরে সারি সারি
অনেক সবুজ
নীল নীল গাছ আকাশ ছুঁয়ে.. তবু
সন্ধ্যা রাতে আমি
তারা হতে চাইবনা;
বছর বছরের ধরে রাখা জল নিয়ে
গাছের সাথে মিশে যাব.....অণুতে অণুতে
সালোকসংশ্লেষিত হয়ে
ছুঁয়ে দেব রোদ.... সবার শেষে...
খুব দেরিতে...
অগ্রন্থিত শব্দেরা মিছিল করে-
ধূলি-ধূসর রাজপথে, অলিতে গলিতে।
দিনশেষে ঘরে ফেরা ঘর্মাক্ত মানুষের মুখে মুখে
ফেরী হয় তারা, মাঝে মাঝে কুঁড়ে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে আঙ্গিনা ছেড়ে
আদিম আক্রোশে মাথা ঠুকে দুর্গম প্রাসাদের প্রাচীরে প্রাচীরে।
শব্দগুলি শানিত ফলার মতো ঝলসে ওঠে দুপুরের তপ্ত রোদে,
রক্তবীজের ঝাড়ের মতো তারা পালে পালে উঠে আসে
মহাকালের অতল গহ্বর থেকে, অজানা ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্য...
তোমরা বৃষ্টিতে হাত ধ’রে ঘোরো
প্রেমের জ্ঞাতসারে।
তোমাদের আকর্ষ
বাড়িয়ে দেয় আমাদের দ্বিধা-দুঃখ
অসহ বন্ধনের আনন্দে
গায়ে-পড়া-বৃষ্টিকে
তোমাদের আজ
মনে হইতেছে বাতাস-
যেখানে সীসা নাই মেশানো
ডুব দিয়ে শ্বাস নেয়া সহজ
প্রেমবিদীর্ণ দুর্ধষ অধিকারে
এখন তোমাদের প্রেম
পার হয়ে যেতে-যেতে আমরা
কী ভাবতেছি বলো তো?
প্রেম, বীর এক ক্যাপ্টেনকে হারায়ে
আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে;
খুঁজতেছি তারে
...
তোমার সাথে পালিয়ে যাব বলে
প্রহর গুণে কাটিয়েছি সেই রাত
অশ্রু নয়ন ঢেকেছি কাজল এঁকে
শাসনের বেড়ী ভেঙ্গেছে এদুটি হাত।
তোমার সাথে পালিয়ে যাব বলে
মায়ের আদর সিন্দুকে দিয়ে তালা
বাবার স্নেহ ভেবেছি সুখের পথে
শাড়ীতে জড়ানো চোরকাঁটারই জ্বালা।
তোমার সাথে পালিয়ে যাব বলে
ছোট বোনের ভাবিনি ভবিষ্যত
শুতে নেইনি আদরের ভাইটিকে
পাছে মায়ায় আটকায় মোর পথ।
তোমার সাথে পালিয়ে যাব বলে
দেখিনি শখের ব...
এই মনিকা কেমন আছিস দিন কি এখন চলে
নাকি এখন রাত্রি হলে গুললু স্বপ্ন কান্না করে
এখনও গুললু সেই গল্পে ঘুমিয়ে কি পড়ে
যেই গল্প দেশজুড়ে এখন মাতন তোলে
তখন নাকি অনেক মানুষ- সত্যি মানুষ ছিল
গুললু তখন ছোট্ট ছিল আদর দিতিস কত
তোর আদরের গুললু তখন স্বপ্ন চোখে ঘুমাত
গোলা ছিল ভরা ধানে, তাই তখন স্বপ্ন ছিল....
স্বপ্ন চোখে নিয়ে গুললু তাঁদের হারানো স্বপ্ন বোনে
স্বপ্ন সাধের আশায় গুললু এদিক ওদিক চলে
...
পতিত প্রতিবেশ!
তোমার সাথে থাকে জানি অন্য একটি লোক।
একটাই পরিচয় জানি আমি তার-
তোমার সে সুভাগা সহবাসী।
লাখ-কোটির হিসেব জানি না,
জানি- সে যে তুমি-পতি।
পৃথিবীর আর কোনো পরিচয়ে
জানো এসে যায় না কিচ্ছুটি।
যতোদূর ঠাহর হয়-
একই পাড়ায় সুদিন আর স্বপনদেরও বাড়ি।
ওরা দু’ভাই কিচ্ছু জানে না,
জানো না তুমি,
খোদ খোদা-নির্মিত সুখনগর আবাসিকের
কাক কিংবা পক্ষী,
কেউই তোমরা জানো না-
তোমার জন্য নিদেন ক...
উৎসর্গ: শহীদ কাদরী
যেই বুকটা এগিয়ে বলো
একটুখানি মাথা রাখো,
সেই বুকে কি নদী আছে
নদীর কোন খোঁজ কি রাখো।
স্রোত জুড়ে তার পাখির বাসা
উড়াল দিতো মাছ,
জলের সাথে জমিয়ে দুপূর
আড্ডা দিতো গাছ!
নদীর সাথে বলতো কথা
নৌকা তুলে পাল,
দু'জন মিলে এঁকেবেঁকে
বুনতো মায়ার জাল।
ডাগর চোখের সজল নদী
গাইতো ভালো গান,
টোল পড়া ওই নদীর বুকে
মা করতো স্নান।
ডাক দিয়েছো তোমার বুকে
জলের কণ্ঠ কই?
ডুব দিলে কি শান...
নদীকে সামনে রেখে নদীর সাথেই কথা
আলাপের প্রমত্ত গলিতে কাটে নির্ঘুম সময়
উঠন্ত সন্ধ্যার কার্নিশে নির্লিপ্ত দিন।
এ সময় চোখের পাখিরা বড়ো বেসামাল
হৃদয়ের উদ্বর্তনে স্রোতের বিপাক
দূরতর আকাশের চাঁদে ফুসলে ওঠে জোয়ার।
আরাধ্য তোমার দিনকাল কোন্ স্রোতে ভাসে
মেহেদীর নিষিক্ত প্রলাপ কার হাতের ইশারা
তুমিও কি সাগর নিষিদ্ধ সময়ের টান?
দক্ষিণের নিমগ্নতা উত্তরের গৌরিশৃঙ্গে
আমারও সময় কাট...