যা চাই বলতে
পথ ধরে চলতে
তা-ই বলা দায়,
প্রদীপের সলতে
চায় যদি জ্বলতে
শুধু নিভে যায়।
এই তুমি আছ পাশে
মন তার-ই সুবাতাসে
হারাতে যে চায়,
যেভাবে হারায় নদী
সাগরেতে নিরবধি
বড় অসহায়!!
রিভস। একজন আমেরিকান কবি ও গল্পকার। এইচ বি ওর 'ডেফ পোয়েট্রি জ্যাম' এ নিয়মিত তাকে দেখা যায়। TED.com (টেকনলজি, এন্টারটেইনমেন্ট, ডিজাইন - একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, যেখানে এই তিন ক্ষেত্রে বিশ্বে আলোকবর্তিকাধারী ব্যক্তিগন তাদের সাম্প্রিতক কাজ ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন) এ উপস্থাপন করা তার একটি কবিতা দিয়ে আপনাদের কাছে তাকে তুলে ধরতে চাই। তার কবিতার বিষয়বস্তু বহূমুখী, আর তা বহুস্তরে সজ্জিত ...
কিছু মৌলিক ভাতঘুম
মৌলিক নিয়মে করে নিয়মিত সন্ত্রাস
যুগ যুগ ধরে,
ছোঁড়ে বল্লম
গাঁথে সময় ..এফোঁড় ওফোঁড়ে
বড়ই চাতুর্য্যে,
বড়ই খেয়ালে।
মহাকাল মরে হয় পুরাণ
কিন্তু পুরাণ কত পুরান?
আমিতো দেখি এখনো কত ভুত
বুক খুবলানো কত প্রমিথিউস
বাঁজ খাওয়া বেলেরোফোনেরা যত
বাঁচে আর উড়ে আজও কত
হার্পি আর জিউসের ভীড়ে,
যেচে ভাগে তারা পিঠ কাঁধ
নিভৃতে শত চুপ এটলাস
এসে তুলে ধরে নতশিরে
আজও হেসে, এই পৃথিবীরে।
'ভাষার জন্য মোরা'
ডা. মো. মাহফুজুল হোসেন
Email:
মোরা বাংলা মায়ের মুক্তির লাগি
বাংলা ভাষার টানে
জীবনপাতের উতলা সাগরে
সাহসী নোঙর ফেলেছি,
শান্তির তরে অন্যায় রোধে
যুদ্ধের পথে নেমে
বন্ধ খাঁচার শৃঙ্খল খুলে
মুক্ত-গগনে উড়েছি,
পরাধীনতার সব গ্লানি মুছে
স্বাধীন স্বদেশ গড়েছি,
সবুজের বুকে নব সূর্যের
বিজয় পতাকা তুলেছি।
মোরা স্বীয় সত্ত্বার সীমানা আঁকিতে
বিশ্ব-ম্যাপের মাঝে
একুশে...
কবিতা পড়ছে কবিতা। আর এই নান্দনিক মহাকাব্যের পেছনে দাঁড়িয়ে
পুড়ে যাচ্ছে কবি। কনুইয়ে ভরকরে হাতের রেহেলে রেখেছে কিতাব,
লম্বালম্বী ভুটহয়ে শুয়েছে কবিতা, বুকের তলে বালিশ, ঢেউয়ের মতো
অথৈশরীর। আভাসে ইংগিতে বলল কবিতা : চন্দ্র এসে চুম্বন করতে
গিয়ে গোপনে চূর্ণ হয়েছে ওর খোলা-চওড়াপিঠে। এখানে তাই
আসক্তি একটু বেশী! একটা দুটো পাতা উল্টিয়ে কবিতা খুঁজছে কবিতা।
আর এই নান্দনিক মহাকাব্যের পে...
আমি একটি শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।
বারান্দার আলো চিরে ক্রন্দনরত শিশুটির চিৎকার
কুয়াশার ঘের ভেঙে
একটানা বেসুরো শব্দে ভেসে আসছে...
সাথে যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধ্বনি;
শব্দের গোপন উৎসগুলো মিলিত হয়ে
রচনা করছে শর্বরীর আবহসঙ্গীত
অবিশ্রান্ত বর্ষণের মত।
কান্নার শব্দ কি বলে, মানুষ কেন কাঁদে?
কেমন হয় ক্রন্দনের স্বরলিপি যে খুব আপন না হলে
কেউ বোঝে না ত...
নিকোটিনে হলদে হয়ে যায়নি আঙুল
পারিনি তুলতে গড়ে সাম্রাজ্য ধোঁয়ার
তাইতো থামেনি চলার পথ আমাদের!
এ কেমন নির্মম ভালোলাগা আবেশ
শেষ চুম্বনের পরও অপূর্ণতার রেশ-
পরিণতিতে নিঃশ্বাস বেদনা অশেষ।
আমি দেখি
ধোঁয়াশায় ম্রিয়মান আকাশ
ধোঁয়াময়...
ধোঁয়ায় ধূলি হয়ে হারানো।
ধোঁয়া উড়ে অনুপান চায়ে
কখনো বা
মূত্রসদৃশ পানীয়ের স্রোতে।
অগুন্তি ভাইরাসে আক্রান্ত মস্তিষ্ক
নিউরণে নিউরণে ব্যর্থ অনুরণ...
ভয়ানক তুষার পড়ছে আজ এই নগরীতে
দয়ার দরজা জানালা জমে আছে শীতে
তবুও বেরিয়ে পড়েছি পথে
কেবলই যাচ্ছি আর যাচ্ছি
কেননা তুমি ডেকেছো
জানিনা কোথায় আর কতদূর যেতে হবে
সমুখে একটা বিশাল ফাঁকা মাঠ
এক গভীর তুষারময় অন্ধকার পথে
রহস্যের ভেতরে
আমি হারিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ
দাঁড়িয়ে পড়েছি
বিলের ভতরে আমারই হৃদয় রাজ্যের তুষারঝড়
যেন বা তুলোধুনা করছে আমার হৃদয় কোনো ধুনকার
তার পাশকেটে তুমি হেঁটে ...
রঙএর এক আবরনে আবৃত দেহ
ভালবাসে কেউ, ভয় পায় কেহ,
সে যে চীর শ্বাস্বত
যুবার নয়নে সতত,
লালসায় দগ্ধ করে ভ্রাতৃত্ব বাঁধন
হিংস্র সন্তানেতে হয় তিক্ত মায়ের মন।
মনের গহীনে তোমার সর্বদা সহচর
কুৎসিত প্রবৃত্তি এক প্রায়শ অকপট,
তবু অনুতাপ কর থেকে যায় বাকি
তাই চোখ বোঁজ, শোনাই চমক আজি –
সুন্দর, সেতো রিক্ত
সুন্দর, সেতো স্বাধীন
সুন্দর, তো ভালবাসেনা
সুন্দর দ্বারা বিবস্ত্র আমি।
সে জানালো গন্তব...
শিশু হে, তোমাকে সামনে পেলে
এ-দুর্দিনে মানুষের মন
নির্ভার হয় একটু
ভাত-মাথার ছাদ
সব অস্বস্তি ভুলে
নির্দোষ ফ্যান্টাসাইজার
হয়ে উঠতে পারে
ছেলেধরার সাজে সে,
তোমাকে পার করে
চেনা সব ফেরিঘাট
তোমার সঙ্গে যাচ্ছে ব'লে
আসলে সে নিজে
লুকায়ে পড়তেছে
এই আজকের
সমস্ত দুর্দিন থেকে
শিশু হে,
তোমাকে সামনে পেলে
আরো ফ্যান্টাসি হতে পারে
দুঃখী এ-মানুষগুলির
বেঁচে যাওয়ার কৌশলে