১৯৭৯-৮০ সালের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও আর্ট কলেজেই বেশি ঘোরাফেরা। শরীফ মিয়া-রমজান মিয়ার ক্যান্টিনে আড্ডা থেকে শুরু করে হবু-আর্টিস্ট বন্ধুদের সাথে আউটডোরে যাওয়া পর্যন্ত কিছুই বাদ যেত না। বলা বাহুল্য, অনেকেই পছন্দ করত না তাদের কলেজে এই বহিরাগতের আনাগোনা, যেখানে কিছু মেয়েও জুটেছিল বন্ধু হিসেবে। ওখানেই আমাদের এক বন্ধু ছিল, নাম কামাল। ওর প্রিয় কবিতা ছিল শঙ্খ ঘোষের 'আর...
কুয়াশায় ঢাকা নিঃসঙ্গ ল্যাম্পপোস্টের মত
এ নগরীর আমি এক নির্বাক প্রহরী ।
জাপানী কাঠপুতুলেরা, জ্ঞানের কুসীদজীবী,
আলকাতরা মাখা চশমাওয়ালা,অথবা চন্দ্রগ্রস্তদের
কোলাহলের ধাক্কা আমাকে স্পর্শ করে না ।
যদিও ভাঙনের শবযাত্রী শব্দেরা ,
আমার চারপাশে আহাজারি করে ফেরে ।
হাসির আড়ালের নোনা জলছাপ,
শতচ্ছিন্ন হৃদয়ের প্রতিধ্বনি ,
আমার কুইনাইনের কাজ করে ।
মরচে ধরা কলমের গা বেয়ে অস্বস্তির ঘা...
ভরা কলস উপুড় করে সরিয়ে রাখো না দূরে
পুরুষকে তিয়াস দিও না মেয়ে
এমন অন্যায় রকমের
চুপসেতো যাবেই একদিন দেহ-মনের চন্দ্র
না হয় যাও সহজ সরল ভাবে
অবগুণ্ঠন বিলুপ্ত ঘোষণা করে
সে কী ভাবে আর কারও কথা এমন মধুর করে
কাননে ফুল শুকিয়ে গেলে
কার এমন মহাক্ষতি হয় বলো হে প্রিয় নারী
পুরুষ কাঁদুক একটু দরজা জানালা ধরে
নিজের সাথে নিজের পাপে
এমন অন্যায় রকমের তিয়াস দিও না মেয়ে
কাব্যকে কলঙ্কিত করে ...
আয় অশান্ত
এই প্রশান্ত
সাগর উঠুক মেতে,
আয় দুরন্ত
এই নিভন্ত
আগুন জ্বলুক তেতে!
আয় দুর্বার
ভেঙে চুরমার
নব সৃষ্টির সব লক্ষ্যে,
আয় স্রষ্টা
দিকদ্রষ্টা
আলোহারা যত চক্ষে!!
অনেক সাহস করে উইলিয়াম ব্লেক'এর A Poison Tree কবিতাটি রূপান্তর করে ফেললাম, কেমন হল কে জানে !
বিষবৃক্ষ
উইলিয়াম ব্লেক
রাগ হয়েছিল এক বন্ধুর ’পরে
বলে কয়ে দমি যেই রাগ গেল ঝরে
রাগ হল ফের এক শত্রুর উপর
চুপ থাকি, দেখি সে বাড়ে তরতর
ভয়ভরে জল দেই তারে প্রতিদিন,
প্রতিরাত, আঁখিজলে নিদ্রাবিহীন
হাসি তাপে গড়ি আমি তারে প্রতিক্ষণ
কোমল ছলনাতে সে বাড়ে সযতন
দিনে রাতে ...
তোমার নখগুলো সুন্দর
কেননা সে আয়না হতে পারে
গোসলের পর পাঁচজোড় জ্বলজ্বলে আয়না।
তাতে বিম্বিত হতে পারে তোমার সুন্দর মুখখানা
যা আমার সবচেয়ে প্রিয় দেখতে চাওয়া।
তোমার নখগুলো সুন্দর
ছাউনি দিতে পারে আঙুলগুলোকে
অলংকৃত করতে জানে হাতজোড়া।
তোমার নখ্গুলো আমার চোখের মধ্যে
উড়তে পারে অনায়াসে প্রজাপতি হয়ে।
সূর্যের সাত রঙের যে রঙগুলো আমার পছন্দ
সেই রঙের স্বপ্ন দিয়ে তৈরি তোমার নখগু...
হস্তশিল্প
রাসেল 'ও নীল
১.
নেই তো কারো অপেক্ষাতে
আত্মতৃপ্তি নিজের হাতে
২.
আজ কাল হাতেরা প্রায়ই অভিযোগ করে
গোপনে গোপনে আর কতোকাল সাবান কোম্পানীর
ব্যাবসা বাড়াবে?
৩.
সমৃদ্ধ ফসলের মন্ত্র জানা
কৃষক এক টুকরো জমির অভাবে
অকাতরে নিঃশেষ করে যায়
প্রতিদিনের অনাগত ফসল
৪.
৬০ কিংবা ৭০ কিংবা ৮০ দশকের
কিংবা আমাদের সময়ের
ডাক সাইটে রূপবতী আজ ম্লান, ম্রিয়মান
কিন্তু আমার হাত আজো নিজ দায়িত্ব প...
ছেঁড়াটাকা
পৃথিবীর লোকেরা দুই দলে বিভক্ত, চালাক আর বোকা
আমি মনে হয় বোকাদের দলেই পড়ি
রিক্সাওয়ালা, দোকানদার প্রায়ই হাতে গুঁজে দেয় ছেঁড়া টাকা
বেখেয়ালে পকেটে ঢুকিয়ে নির্বিকার বাড়ি আসি
স্ত্রী নির্বুদ্ধিতার এই পুনরাবৃত্তিতে হতবাক হয়ে যায়
পড়ার টেবিলের ড্রয়ার ভরে ওঠে ছিন্ন মুদ্রায়
ধরা পড়ে যাওয়ার লজ্জ্বায় সহজে চালানোর চেষ্টা করিনা
মাঝে মাঝে নতুন নোটের ফাঁকে অথবা স্কচটেপ ল...
শুরুকথাঃ তখনো ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে পড়ার ঝোঁকটা মাথায়। ৮ টা ক্লাস নেয়া হয়ে গেছে; টুকিটাকি ইংরেজী কবিতা লিখছি। একটা কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় আগ্রহ বেড়ে গেল সাতগুন। বাংলা কবিতা তখনো আমার পড়া এবং লেখার আমার চৌহদ্দির বাইরে। রবীন্দ্রনাথের গদ্য ভাল লাগে কিন্তু কবিতা টানেনা। এরকমই চলতো যদি না আমি জীবনানন্দ দাসের কবিতা পড়তাম। আমি যার কাছে চিরদিন ঋনী হয়ে থাকতে চাই তাঁর লেখা থেকে অনুপ্রা...
দক্ষ লোকের খেলা ফুটবল। মন যেদিকে চায়
ঠেলে নিতে হবে পায়ে। মনের কথা মন
নিজেই শোনে না, তায় আবার পা
হাতে হলে সহজ যেমন মুঠভরা টাকায় পাকস্থলীর সান্ত্বনা
আসলে বল-কন্ট্রোলই সব, শক্ত হলে সাক্ষী ছাড়াই সহজ
আটকানো যায় সব বিপদ
পদে-পদে ছড়ানো সম্পর্ক-জালে
প্রিয় মানুষ গোল খেলেও আনন্দ তো হয় প্রতিপক্ষ-গ্যালারি
রেফারি পক্ষপাত করতে পারে যদি সে দর্শক এই খেলার
কিন্তু জন্মেই তুমি হেরেছিলে টস
সৌ...