আজি আমার প্রথম যাত্রা এখানে। শুরুটা কবিতা দিয়েই হউক তবে
_____________________
অবিমিশ্র দুঃখের জল মিশে থাকে শৈবালের গায়
অহর্নিশ স্পর্শে শৈবাল অস্তিত্ব হারায় জলের তলায়
অন্তর্জলে ডুবন্ত প্রাণ একটি একটি করে অনিত থেকে অগুনিত হয়।
পৃথিবী ডুবে থাকে জমাট ব্যর্থতায়
একদিন নিবিড় দুঃখের উৎস থেকে জন্ম হয় সবুজ বিস্ময়
জানিয়ে দেয় বিশ্বকে কিভাবে ভেসে থাকতে হয়।
পাতারা জাগে এক অদ্ভুত চেতনায়
নিজে বাঁচ...
একই ক্যাম্পাসে, হয়তো কখনো
হেঁটে গেছি পাশ কেটে, লক্ষ্য করি নি,
হয়তো ক্যাফেটেরিয়ায়,
কিংবা লাইব্রেরির লম্বা টেবিলে
বসেছি একসাথে - জানতে পারিনি।
বুঝতে পারি নি, হবে না পরিচয়
আর কোনও দিনও, শুধু
অনুভবে তীব্র হবে টান,
ভাবতে পারি নি, যাবে
এ জগত পিছে ফেলে,
পথ চলা হবে অবসান।
যেখানেই থাকেন, ভাল থাকুন...
পরিত্যক্ত প্রেমের মতো...
ঘাসের মতো নির্বিকার দাড়িয়েঁ আছি
পরবর্তী দলিত হবার অপেক্ষায়
শিশিরের স্নিগ্ধতায় চাঁদ পোহাই
পৃথিবীরে মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয়
এইখানে ঘাসের বুকে অযুত সুঘ্রাণ
পরিত্যক্ত প্রেমের মতো উল্লেখযোগ্য স্মৃতি
হয়ে জমে থাকে
* পৃথিবীরে মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয়- জীবনানন্দ থেকে চুরি করা
** আর লিখতে ভাল্লাগতেছে না...
*** আসলে পারি না...
তুমি কোথায়?
শহরের অনেক খবর তোমাকে জানানো দরকার
তুলোউড়া মেঘে ছেয়ে গেছে পুরোটা শহর
সোনার দামে মিলছে শীতের শবজি।
সামনে ইলেকশন-দুঃখ ঘুচে যাবে হাড়জিরজিরে মানুষের
তারা পরিণত হবে সুমো কুস্তগীরে।
কদিন পর ফুটবে আমের মুকুল
আনন্দে হাসবে বুড়ো রবীন্দ্রনাথ
বজরা ভাসাবেন গড়াই নদীর বুকে।
জমে উঠবে জলসাঘর শহরের বনেদী এলাকায়
বাঈজীর নাচে মাতাল হবেন
শহরের বনেদী সন্তানেরা।
এই তো কদিন পর ...
প্রথম যৌবনের কেশোদগমের মত বাঙালি যুবকদের কবিতাও গজায়। বিডিআর-এর একটা ব্যক্তিগত মেসেজের উত্তরে কী কুক্ষণেই না এগুলোর কথা বলেছিলাম। তারপর থেকে জ্বালিয়ে খেল একেবারে। অথচ ভীষণ লজ্জা লাগছে। মনে হচ্ছে পিতৃত্ব অস্বীকার করি। কিন্তু বিডিআর আর আমাকে আস্ত রাখবে না- এই ভয়ে প্রথম যৌবনের সেই স্খলনগুলো এখানে পোস্টাতে রাজি হয়েছি। সেই যুগের পর অবশ্য আর কখনো কবিতার আশেপাশে যাইনি।
ঈশ্বরের ...
ও আবহাওয়া, পূর্বাভাসে কেনো এই কথা বলা হয় নাই!
পানিতে থাকলে পানি দ্যাখা যায়-
জলদস্যূর ঘরে কোনো সীমানা নাই-
সে রবিনসন ক্রুসোর মতোন;
একলা বটে, ওইরকম বুদ্ধি আর কোথায় পায়?
পানির ভেতর ডাকাত পড়ছে
বঙ্গোপসাগরে চুরি যাওয়া শেষ ট্রলারে আমি
আর আমার জাল
বন্ধুরা শ্রদ্ধার গালিতে লিখে ফেলতেছে সব কথা
বোকা জলদস্যুরা না-বুঝেই আমাকে দিছে পানিশাস্তি
আমি ভিজে যাচ্ছি
কিন্তু আমার জাহাজ কই!
জাহাজ ...
প্রান্তরে লুটেরা জ্যোৎস্না চাঁদের রক্তপাত মুছে নেয় ঘাসে
নক্ষত্রেরা ম্রিয়মান
জোনাকিরা সব লুকিয়েছে ফসলের মাঠে
মৌনী পাহাড়ের গায়ে দূরের কুয়াশার ঢেউ
ভেঙে পড়ছে... ভেঙে পড়ছে যেমন
মেঘপুঞ্জের রোশনাই রূপোলী ঝিলের জলে
নরোম তরঙ্গের মত ভেঙে পড়ে ধীরে
জনপদ ও বনস্থলীর সন্তানেরা শোনো
আজ ষোড়শী চাঁদের নীরব দস্যুতা হবে
রক্তের ডাক এলে ছুটে এসো প্রান্তরে
শিরায় উপচে উঠুক জ্যোৎস্নার বিষ
মৃত...
যদি দেখ মরে গেছ তো খুন হয়ে যাও
মৃত্যুর অনেক উপায় আছে - তুমিও জানো
শুধু বেছে নেবে পছন্দমতো
নীরব মৃত্যু চাইতে পারো
নৈঃশব্দের ছন্দপতন ঘটাতে যে আসে
কিংবা দগদগে ক্ষতের মুখে নীল মাছি
ধমনী দিয়ে বেরিয়ে আসছে উড়ন্ত রক্ত
সাদামাটা দড়িতেও ঝুলে পড়তে পারো
ইচ্ছামৃত্যুর রঙ বাছাইয়ের স্বাধীনতা ঈশ্বর দিয়েছেন
আর স্বর্গীয় উদ্যানে মাতাল হবার রসদ
পৃথিবীটা অনেক পুরনো
শত শত বছর ধরে এখানে জন্মের প...
১। মনের মধ্যের ছবি বদলাই
ছবি বদলাই
তোমার ছবিটা মুছতে চাই
মুছতে চাই ।
২। পানিতে পড়েছি
কি হয়েছে ?
পানির মধ্যেও প্রাণ আছে !
৩। ঘড়ের মধ্যে আরেক ঘর
সেই ঘরেতে ভোমরা আছে
তার শরীরে গন্ধ আছে
বাহিরে যাবার গন্ধ আছে ।
প্রতি ভোরে শিউলিরা ঝরে যায় যতটা ভোরে তুমি জাগো না... মঞ্জরীর বিচ্ছেদ দেখে তুমি অভ্যস্ত নও। হঠাৎ কখনো চোখে পড়ে কিভাবে বৃন্তচ্যূতি ঘটে ফুলের... উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে থাকে রাস্তায় কিংবা ঘাসের উপর... যদি শিশিরে ভেজা থাকে ঘাস তবে খুব নরম নয়তো কেবলই নিষ্প্রাণ ভেবে পায়ে দলে একাকী কোন কাঠবিড়ালি হেঁটে যাবে এলোমেলো... অথবা তুমি খালি পায়ে ছুঁতে গিয়ে মাড়িয়ে দেবে কিছু রক্তিম বৃন্ত তবু হাতে ছোঁয়া কোম...