খুন যখন চাপে মাথায়, মাতন ওঠে রক্তে, আমরা কি করি?
আমরা ব্লগে লিখি! আমরা প্রকাশ করি!
আমাদের প্রকাশ বড়ো বেশি নিবীর্য, বড়ো বেশি কাগুজে।
ভবি, সে তো এতো সহজে ভোলার নয়!
এতো অল্পে রক্ষা হবে না
যা ছিলো আদরের।
নিয়ে যায়, নিয়ে যায় আমার আদরের বাচ্চা আমারই কোল থেকে শেয়ালের পাল। টেনে হিঁচড়ে ভাঙা ঘরের বেড়া ছিড়ে নিয়ে যায়।
আমরা তবুও শুধু ব্লগে লেখি, আমরা ঢোড়া সাপ মানববন্ধন করি।
...
৪র্থ ভূত নামাতে অনেক অনেক দেরি হল। এবার কথা কম বলে সরাসরি চলে যাই ভূত কথনে...
ভূতের পদধ্বনি
***
মাটির ঘন্টা উঠল বেজে লাঠির বাড়ি লেগে,
ঘুমিয়ে থাকা ভূতগুলো সব আবার ওঠে জেগে।
কেউ বসে, কেউ ঘামতে থাকে, কেউ বোশেখেও কাঁপে,
কেউ বা আবার ভূতের বাবার বুকের ছাতি মাপে।
দরজা খুলে পর্দা তুলে দিচ্ছে যে কেউ উঁকি,
ভেংচি কেটে নেয় কে আবার প্রাণ হারাবার ঝুকি?
ঘাস পুড়িয়ে শুঁকছে বসে, খাচ্ছে বাদাম ভাজা,
সবা...
শুয়ে থেকে, চোখ বুজে, মনে মনে হাঁটি-
কাজহীন, সাথীহীন, একঘেয়ে ছুটি।
দলছুট, পরাজিত, একগুঁয়ে আমি-
ভাবি ফিরে- জীবন কি আসলেই দামী?!
[০৬/০৪/২০০৭, অন্নপুর]
_ সাইফুল আকবর খান
কথা কিছুই ছিল না । না অংগীকার - না শপথ
মন্ত্রনালয় নিয়ে কোনো ভাবনাই ছিলোনা আমার।
যন্ত্রনালয় নিয়ে ভালোই ছিলাম। শালপাতার ছাউনি
আর খড়ের বালিশে এক ঋত্বিক সময়ের জালুয়া
ছিলাম আমি। জাল টাও ছিলো অন্যের। ধার করে
চাঁদের কাছ থেকে আলো, কাটিয়ে দিতে পারতাম
রাতের গহীনতা। দুর্বার দূর্বাঘাসের ডগায় জাগতো
যে ভোর , তার দিকে তাকিয়েই দেখে নিতাম , ভাঙা
একটা টিফিনে কিছু খাবার নিয়ে আমার জন্য কে
একজন আ...
পাপেরসাগরে তীরহারা মাঝি এখনো মেলেনি চোখ,
পাপের সংগা ভাংতে ভাংতে
উপরে ফেলেছে বোধ।
কোথা হতে শুরু, কোথায় শেষ, কে আছে বোঝাবে তারে,
বোধ করি তার, তীরে ফেরা আর
হবে না এ সং-সারে!
পূর্নচন্দ্রার পূত আলোকের দাম্ভিক পবিত্রতা,
শ্যেন হয়ে বেঁধে বুকের পাঁজরে
না শামিলের আকুলতা।
একঘরে আজ অচ্ছুত মাঝি বাইছে বৈঠা হায়,
নিজেরেই আজ ফেলেছে লুটায়ে-
বসি বাতায়নে নিরুপায়।
কে আছে, কে আছে তুলে পল্লবী, উঠে
...
ইংরেজি অনুবাদ : রবার্ট এলসি
কবিতা
কবিতা,
আমার মাঝে তোমার পথ কীভাবে খুঁজে পেয়েছিলে?
আমার মা আলবেনীয় ভাষা ভালো জানতেন না,
তিনি নির্বিকার চিঠি লিখে যেতেন যতিচিহ্নহীন,
আমার বাবা যৌবনে সমুদ্র ভ্রমণে যেতেন।
কিন্তু তুমি এসেছিলে,
আমার লুপ্ত পাথুরে নগরীর কঙ্কর বিছানো পথ মাড়িয়ে,
আমার ত্রিতল বাড়ির ১৬ নম্বর করে দরজায়,
কম্পমান তুমি কড়া নেড়েছিলে।
এ জীবনে অনেক কিছু ভালোবেসেছি ঘৃণাও কর...
তোমার জন্য ভাত
প্লেটে সাজায়ে দিলো না
আমার মা
যার জন্য সাজাবে
অসুখে আগ্রহে
সে এ-দুনিয়ায় থাকে না
তোমার জন্য ভাত
আমিই বেড়ে দিই
আলো থাকায় তুমি
আজ এ-দুনিয়ার ভাত
মুখে তুলতে পারো না
তোমার জন্য ভাত
সাজায়ে রাখতেছে
তোমার এ-দুনিয়ার মা
ঋতু বদলাইতেছে বলে
মাযের প্লেটে-বাড়া-ভাত
আর কখনোই
তুমি দেখতে পাবে না!
বন্ধ্যাশরীরেরও প্রতিটি কোষের কালচার থাকে
পানির অভাবে মরে যায় না কোনো স্বেদগ্রন্থি
কালো কালো ফসলের গাছগুলো যেনো হৃদয়চাষের রক্তাক্ত পানি
দ্বারা পুষ্টি পেয়ে পেয়ে প্রতিনিয়ত রক্তবর্ণরূপ-
অ্যানিমিয়া-শরীরেও কি এমনটি দেখা যায় না?
নিস্ফলা মাঠের কৃষকেরও হয়তো পানিপিপাসা তরতরিয়ে যায়
ফেটে যাওয়ার মাঠের প্রতিটি খাঁজের ভেতর।
কোনো শরীরই বঞ্চিত নয় ফসল বোনার অধিকার থেকে
কোনো মন-মনান্ত...
আজ যারা চিরঘুমের দেশে যাচ্ছো
তোমরা যারা আজ রাতে যাচ্ছো চিরঘুমের দেশে
প্রিয় মানুষের কাছ থেকেও দূরে অনেক দূরে
কাক্সিত হাতের স্পর্শ ঝরবে না কোনোদিন পাশে
অনন্ত শূন্যতা শুধু তোমাদের প্রতিবেশ জুড়ে ।
জেনে রাখো তোমরা তবু নি:সঙ্গ নও আজ
পৃথিবী সইছেতো তোমাদের অশ্রু দহন,
কারো জন্যে দুই কিংবা এক রাতের সাঁঝ
কারো জন্যে হয়তো পুড়বে সারাটা জীবন।
বাতাস
খামখেয়ালীর কোনো সহচর নেই,
বাতাসে...
বাধের কাছে যেতে
ইচ্ছা করতেছে খুব।
পারে দাঁড়ায়ে দেখবো
কেমন ভাঙে পানি
বারবার
বাতাসে চুল উড়তে থাকায়
ভুলে যাবো তেড়ে
আসতেছে তুফান
আমাদের বিনোদন হবে-
ব...