স্নায়ু যুদ্ধের দিন শেষ, কাউকে ভাগ দিতে হবে না,
পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ এখন ঈশ্বরের পুত্রকন্যাদের!
জবাবদিহিতার প্রয়োজন কোথায়,
কাকে জবাবদিহি করতে হবে ?
এই মন্ত্রে দীক্ষিত জাহাজ, ছুটছে হণ্যে হয়ে
ভিড়ছে বন্দরে বন্দরে ।
গণতন্ত্রের জাহাজ,
গণতন্ত্র বোঝাই জাহাজ
গণতন্ত্রের নবীদের জাহাজ ...
গণতন্ত্র এখন রফতানি যোগ্য ? গণতন্ত্র এখন,
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লাভজনক ব্যবসা ?
বরাবরের মতই তোকে বাসে উঠিয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম
বাসের গেটটা বন্ধ হতেই তুই দৌড়ে এলি
দরোজা ধরে অস্পষ্ট চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলি
কন্ডাক্টর বেশ বিরক্ত হল
একটা গালি তার গলা পর্যন্ত উঠে এসেছিল
নেহাৎ তুই বলেই হয়তো মুখ অব্দি এলো না
বাস থেকে নেমেই তুই আর আমি
মানে, আমরা---আবারো হাঁটা ধরলাম
নীলক্ষেত থেকে সংসদ ভবন
সংসদ থেকে নীলক্ষেত
রাউন্ড এ্যাণ্ড রাউন্ড, রাউন্ড এ্যাণ্ড রাউন্ড
রাধাকৃষ্ণের নৌকাবিলাসে
জলের চোখের জলে
ভেসে যায় ঘর-ফেরা পাখিদের মিছিল।
আকাশের নিশ্চুপ মুখমণ্ডল দ্যাখে
সুহাসিনী সন্ধ্যারাত মিটিমিটি হাসে
এবং আমাকে বলে দ্যাখো দ্যাখো
মাটি ও মানুষের প্রেম দ্যাখো।
তোমাকে একবার বলেছিলাম
তুমি আমাকে দ্যাখাও -
পাথর আর আগুনের সঙ্গম
কুয়াশা জন্ম নেয়ার ঝাপসা দৃশ্য
এবং শরীরের অচেনা গতিপথ।
সুহাসিনী সন্ধ্যারাত আমায়
মাটি ও মানুষের প্রেম দ্যাখায়,
নোনা ব্যথা ফেরে সচল চিত্রে
নীরব তারা ফুটে অদূরে কোথাও
আকাশ ভেঙে পড়ে
কেবল আমি দাঁড়িয়ে-
কাঁচা আলোয় ভেজা মৃত্যু অবশেষ।
যতোটা লুকাই ততোটাই ধরা পড়ে যায়
রাস্তায় এসে দাঁড়াও তুমি
আমি ঘুরে তাকাই
আরো বেশি ধরা পড়ে যাই- তোমার মতন আর কেউ নেই-
শুধু বলতে গেলেই যতো সংকোচ! অথচ আমার কিছু কথা ছিলো!
মাথার মধ্যে বেঁচে আছে
লতার ঘ্রাণ নদীর স্রোত
এখনো বনফুল
আমাকে চিনতে পারছো
আমি সেই বনচারি
উৎসের কাছে মানুষ ফেরে
আমি শুধু বলতে এসেছি
এই বনবিথিবাহারে গোলাপে কাঁটার কৃষ্টি
বেঁধে যদি বুকে আর দুফোটা অশ্রু
সেই তো পরম প্রাপ্তি
মুখটা ময়লা না মেঘলা
ঠিক মতো বুঝিয়ে না বললে
কী করে বুঝব- বলো হে সবুজ পাতা
মুখটা ময়লা না মেঘলা ?
২৬.০৭.২০১৩
অথচ সংজ্ঞা জেনে ভালবাসিনি,
বুঝিনি তো আমি ভালবাসার কী মানে!
সূত্র মেনে ভালবাসা যায় বুঝি?
কামসূত্র বাজারে বিকোয় জানি,
বদঅভ্যাসে প্রেমসূত্রও খুঁজি!
এসব হালকা রোমান্টিকতায় বুড়োদের কোনো কাজ নেই।
…
১।
ইচ্ছে হয় অন্ধ হই
সম্মোহনের সিঁড়ি পার হতে হয়
ইচ্ছে হয় বৃষ্টিস্নান
জ্বলন্ত দুপুর ডাকে সকল সময়
২।
হাত তুলে দেই হাতে
অদল বদল করি হাতের রেখা
হাত তুলে নিই হাতে
আমার সকল ভুল
তোমার ভুলের চোখে দেখা
৩।
এত দেখে শিখিনি জীবনের রঙ
কীভাবে বৃষ্টি নামে-মেঘের স্বনন
এত এত ঝড় গেল-ঝরা পাতা আসে
ঘুম ভেঙে পা রাখি
সকালের ঘাসে
৪।
উড়বার দিন
দিকভ্রান্ত
আকাশ অসীম
৫।
বনের গহনে
বিশাল বৃক্ষ থেকে
সবুজ পাতার উপর
ঝাঁপিয়ে পড়ে রোদ
ছায়া হয়ে গেছে
যেন অভিমান
ঝোঁপের ভেতর
সর্পের মতো দলা পাকিয়ে আছে
ছোট ছোট কাঁটা
কীট পতঙ্গ বুনোগন্ধ
আর ছায়ার আঁচড়ে হৃদয় আমার
ভরে ওঠে রক্তে
ছায়া যেন সাকার দেবতা
একেই কী বলে অবহেলা
...
২৬.০৭.২০১৩
যাঁরা বড়ো হয়ে গেছেন তাঁদের জন্যে নয় কিন্তু !
.