--দেখছিলি তুই কাল বসে কী ?
--বলব কী আর কালবোশেখি
আসছিল ঝড় ওদিক থেকে...
মেঘের পাহাড় হঠাত্ বেঁকে
দেখছি গেল সাগর হয়ে,
গহীন গভীর ডাগর হয়ে
কাকের কালো চোখের মতো,
মেঘের ওপর মেঘ যে কতো!
কিংবা ধরো মারার আগে
আম্মু যখন ভীষণ রাগে,
মুখটা তখন হয় যের...
ঘাসের জলে পা ভেজে, ভেজে না কখনো হাত
শীতের মতো তীব্র উপেক্ষায় কাঁটে দাঁতে দাত;
সরব থেকে নীরব আছো ঘনাচ্ছো কতো দুখ
অনন্তবীথি দুঃখজলে ঘুমাচ্ছে একবুক।
মনোছন্দের নীড়ে বলছো- আছো অপছন্দে
সরছি জেনে- আমার তো সব আছে এখন মন্দে!-
পাঁজরখোপের ...
গীতবিতানের পাতায়
গোল্ডলিফের গন্ধ
মিশে গেলে
স্মৃতি নড়ে ওঠে
গীতবিতান আর গোল্ডলিফ
কেউ এক খামে রাখে
রবীন্দ্রনাথ তখন
স্মৃতি ঝেড়ে
পাশে এসে দাঁড়ান
গোল্ডলিফটা আজকের
অনেকদিন পর
এই ব্র্যান্ড বদলে যাবে
থাকবে স্মৃতি
এক কবি
আর গী...
মৃত্যুকে মুক্তি দিয়ে
ফকির ইলিয়াস
================
প্রতিরাতে ঘুমের ভেতরে আমরা একেকটা
মৃত্যুকে মুক্তি দিয়ে যাই ,কিংবা প্রতিদিন
একেকটা নিঃশ্বাস উড়িয়ে আমরা নীরবেই
করি মৃত্যুবন্দনা - জানো না সেকথা তুমি
তা, বললে কি মানবে কেউ! একাকী আধাঁর
চি...
/সুখের কাব্য/
অনুল্লেখ্য নুনের কোন শ্বেতপত্র হয় না,
অনিবার্য উপস্থিতি না হলেই বরং উল্লেখযোগ্য হয়ে ওঠে তা।
এর দৃশ্যমানতা কোথায় ! মাছ মাংস সব্জি
নিদেন মসলার আড়ালে চোখ কি জিহ্বার সম্পূরক হয় ?
নুনের মতো দুঃখ নিয়েও কাব্য করার কিছু ...
কখনো পাব না ছুঁতে নীহারিকা এটা বুঝে গেছি, বুঝে গিয়ে কাগজে লিখেছি তার নাম, এরপর হাত দিয়ে মুখ দিয়ে নানাভাবে ছুঁয়ে গেছি তারে, যেমন খুশি তারে পেরেছি বাজাতে, সরোদে গিটারে বা বীণার ঝঙ্কারে যখন যেভাবে চাই, হাত দিয়ে সেইমতো সুর তুলি, সুরের প...
লিখেছেনঃ পলাশ দত্ত
পরাস্ত হইছি আমি বর্ষার কাছে
সবুজের ওপর এমন বৃষ্টি
কখনো আর
পড়ে নাই এইভাবে
কে কবে ভাবছিলো
জীবনে এমন বিষন্নতা
বৃষ্টিও দিতে পারে
পাখি, এ-পৃথিবীতে র্বষা, জেনো
আমাদের পায়ে-পায়ে একাগ্র
মন খুলে বেমালুম শত্রুত...
আবার কাল, আজকে আর নয়
আবার কাল আসব
সাথে থাকবে বিভ্রান্ত বর্ণমালারা,
ঝড়ে মৃত বক কিছু,
আর এই আমি ফকির ।
আবার আসব কাল
কিছু লজ্জ্বা
ক্রোধ
কিংবা হাহাকার চিবুতে চিবুতে
অথবা অন্ধ কিছু কান্না নিয়ে
যাতে ভিজবে না চিড়ে ..
আমি জানি
তবু কিছু...
না রে স্বদেশ,
এখন থেকে তোর সাথে আর একটুও মিশব না...
খেলার মাঠে দেখা হলে মুখ ঘুরিয়ে নেব,
তুই কাঁধে হাত রাখলে ঝটকা মেরে সরিয়ে দেব সেই হাত...
তোর মতো বন্ধু একদম দরকার নেই আমার!
তোকে ছাড়াই তো আমি দিব্যি আছি!
দিন তো বেশ কেটে যাচ্ছে আমার
দুপ...
রূপসনাতন
জ্যোত্স্নাজারিত জলে শেষ করে ক্রীড়া
ডানাদোষে উড়ে গেলে পবিত্র পরীরা;
একটি জন্মান্ধ ঢেউ-
সজল সাঁতারে আসে নিভৃত নৌকার কাছে,
ফিসফিস করে বলে-
এই দ্যাখো আমার বুকের বামদিক
ভিজে আছে অপার্থিব রূপের রেণুতে।
-ইনান