সেদিনের বিকেলটা ছিল বেগুনিগন্ধা।
তুমি বলেছিলেঃ পাগল!
বেগুনি রঙের গন্ধ কি করে হয়?
আমি তোমার সোনালী শরীরে মৌমাছির দাগ এঁকে বলেছিলামঃ
এবার গন্ধ নিয়ে দেখতো পিপিলিকা!
তুমি ভয় পেয়েছিলে সবাই জেনে যাবে ভেবে!
প্রতিশোধও নিয়েছিলে।
ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে
শাকিলদের সেই বাড়িটা এখনো আছে।
তুমি জানো, তোমার নাম একটা হঠাৎ উচু জায়গা?
সামনে পড়লেই অপ্রস্তুত, হোচট্ খেতে হয়
তোমার নামটা - শহর, বাড়ি, জন্জালের মধ্যে
আচমকা গাঢ় সবুজ!
থমকে যেতে হয়
চেয়েছি আলোর সাথে দ্রুত হেঁটে চলে যাবো
অপূর্ব শুঁকবো মাটি। বর্ষা আসার আগে
রূপার সহাস্য ছুরি নিতে চাইব ব্যর্থ দুহাতে
ক্রুদ্ধ জলের সাথে ভেসে আসতে পারো তুমি-
এখন সময়!
তীক্ষ্ণ রহস্য এসে অব্যয় সময় নিয়ে গেলে
দ্বিধা হয় শরীর আমার
ছিঁড়ে যেতে চায় দেখ বিশ্বাসের আমূল শেকড়
হাঁটুর ওপরে মুখ-বিষন্ন তুমি বসে
আমাদের ভাবনাগুলো ভেঙে ভেঙে খাও
পাখিরা কেবল জানে কেমন আন্তরিক আমি
অল্প পাজি বস্রা যারা, একটু রেগে নাম কেনে,
দুচার দিনেই আমরা সবাই, ধাতটা তাদের যাই জেনে।
অল্পে রাগে, অল্পে চেঁচায়, হয় সে খুশি অল্পেতে,
চা, সিগারেট, মুভির টিকেট, তেল লাগানো গল্পেতে।
তারেই বলি অল্প পাজি, আসল পাজি দেখবে কে?
(দশ দিনেতে ফেলবে পাতা, সেই বসের-ই রূপ দেখে।)
চেঁচায় না সে যখন তখন, রাখবে সে যে রাগ পুষে,
অ্যাপ্রাইজালের সময় এলেই, নেবে সবার খুন চুষে।
ক্ষুব্ধ কলম থেকে যে সমস্ত শব্দের উত্থান
ওগুলো কবিতা নয়, ক্ষোভ নয়--
যন্ত্রণার ইতিহাস যতটা কলমে থাকে
তার থেকে অধিক্ষণ থেকে যায়
স্পর্ধিত ঝড়ের লজ্জ্বায়।
ওগুলো যন্ত্রণাও নয়, তাই বলি
আমার অতীত থেকে যতকিছু গুল্ম-বৃক্ষচয়
সমূলে সামনে আসে; তার সাথে
মৃত মানুষের সহবাস
শ্যাওলায় মুখ ঘষে
উঠে আসে যেই সরিসৃপ
উঠে আসে গুপ্তঘাত, পরিতৃপ্ত যত পূর্বাপর
তাকে তুমি নিজের পায়ের পাতা থেকে
আমি দুই চোখ ভরে দেখি
ঘাসের ঠোঁট ঘুরেঘুরে
ঝরছে সকালের শিশির।
তোমায় ক্ষমা করলাম।
যতটা দুঃখ দিয়ে তুমি
আমার বেঁচে থাকা কেড়ে নিলে
তার জন্য কিছুই বললাম না !
তুমি তোমার সোনার হরিণ নিয়ে
বেঁচে থাক চিরকাল
নিত্য নতুন গান নিয়ে
আর ছুটে আসব না !
আজ পহেলা মে। মে দিবস, মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের জন্য এদিনটি শ্রমিকদের মুক্তিগাঁথা হলেও বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য এটি প্রহসন ব্যতীত আর কিছু নয়। ১৯৭১ সালের পূর্বে পরাধীন কালের কথা বাদ দিলাম, স্বাধীনতা অর্জনের ৪২ টি বছর চলে গেলেও আমাদের শ্রমিকদের কোন স্বাধীনতা নেই, মুক্তি নেই; তারা আজও পুঁজীবাদ আর কর্পোরেট বাণিজ্যের শেকলে আবদ্ধ।
বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির একটি হল সমাজতন্ত্র। এটি প্রচলিতভাবে সংজ্ঞায়িত সমাজতন্ত্র না হলেও ন্যূণতমভাবে রাষ্ট্র রাষ্ট্রের সকলের জন্য সমান দৃষ্টি রাখবে সে দাবিটি রাখে। কিন্তু এ দাবিটি বাংলাদেশের জন্য বারবার অসার হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে। গরিবেরা বরাবরের মতনই নিগৃহীত, শ্রমিক শ্রেণিটি আরো বেশি অবহেলিত।
আসুন, আমরা এই নিভৃত চাঁদের ছায়া থেকে
কিছুটা ব্যবস্থা করি হেঁয়ালী সবুজ
কিছুটা আশ্রিত হোক সুখ ও সম্ভোগ
নেশার মতন তীব্র রাত
চেয়ারে অথবা শূন্যে
কিছুটা নিঃশব্দে বসে থাকি
নিশুতি পাহাড়ে বসে
প্রথম মহুয়া পান হলো
অন্ধকার- তার সঙ্গে বসবাস করা
সুশ্রী মাধুর্য নাচে চন্ডালিনী কিংবা
মাতাল হাতির পাল-- বীরভূমে
আসুন কিছুটা করি রাজনীতি
সামাজিক চিন্তাভাবনা
অথবা প্রেম, শুভ কিছু রচনার পাঠ