শুরু কবে হয়েছিল ঠিক জানা নেই। নৃত্যসমগ্র পড়তে গিয়েই
দেখেছি মুছে যাওয়া মংগলের ছাপ । পৃথক পাখিরাজ্যে পড়ে
থাকা লাল-নীল পালক আর ধ্বনির দ্বৈত দিগন্ত। কোন আশ্রম
থেকে এসে এই উপত্যকায় বাউলেরা বানিয়েছিল পাতার বাঁশি,
তারপর বাজিয়েছিল ...
ঠিক মাটি নয়, ঘাসের ওপর শোয়ানো শবদেহটা প্রথমবারেই মনে করিয়ে দিলো- ঝামাটে আত্মাটা আমার অনেক আগে থেকেই ঘাপটি মেরে বসে আছে ওটার ভেতর। আর একটু আগেই আমি পড়িয়ে এসেছি আমার ছাত্রদের- জীবনের স্বরূপ আরো অনেক গভীর, এবং জীবন্ত!
সুপিক অলিকুল অলিখিত
সুপিক অলিকুল অলিখিত
লোকাতীত দেহ
চুপিচুপি ঢুকছি
নন্দন কাননে দেখি পারিজাত হাতে নগ্নমূর্তি
জিজ্ঞেস করলাম
বলল মেনকা
আর তোমার
বলতে পারো
মন্দাকিনী
কিন্তু এভাবে গেয়ে-বয়ে কোথায় যাচ্ছো শুনি
তোমাদের পোশাক-...
ভালোবাসি জীবনের মুগ্ধ প্রজাপতি
ভালোবাসি অনন্ত ঢেউ সুখের সাম্পান
জোয়ারের টানে ভাসে স্নিগ্ধ নদীকূল
জীবনের ঝাপটা লাগে পালের গহীনে
সময়ের টান পরে নায়ের রশিতে
স্রোতে ভেসে যায় দেহ, ভেসে যায় নদী
গোধূলী আকাশে ভাসে ভাটিয়ালী মেঘ
জলর...
একটি পাখির জন্য পথ চেয়ে থাকি
হঠাৎ চমকে উঠি দিগন্তে তাকাই
হেমন্তের ডাকবাক্স রোজ খুলে দেখি
এলো কিনা সেই পাখি, শূন্য, শূন্য, শূন্য...
অপেক্ষার শেষ নেই চোখে তন্দ্রা আসে
বিশখালি নদী হয় অনন্ত যৌবনা
রশি হয় টান টান পালে লাগে হাওয়া
সময় ...
এক এক করে সব গিঁট যাচ্ছে খুলে
কোথাও থাকছে না বাঁধন ঠিকঠাক।
কৈশোরের বন্ধুও যেদিন হলো শত্রু
প্রতিঘাতের আকাঙ্ক্ষাও গেলো উবে
যেদিন রক্তের সম্পর্কের স্বজনেরাও দেখালো বিষদাঁত
বুঝলাম একা হতে যাচ্ছি, খুলছে পারিবারিক বন্ধন।
এক যু...
১
কতদিন রাখিনা পা
এই সুরমার পাড়ে
কতদিন হাটিনা আর
কীনব্রীজ ছায়া ছুঁয়ে
রুপহীন ধুসর বর্ণের উচ্ছাসে
ছুঁইনা তা-থৈ জলের উঠান
কতদিন খুঁজিনা পথ
হাওয়া মাটি নদীর বিলাপে
২
যে গান খুঁজতে আমি
এই বালুপথ ছাপানো পাথর
হেঁটে হেঁটে বৃষ্টিতে ...
দেয়ালে ঘড়ির ছায়া সময়ের নকশার মতো
জাগে অবিরাম -
মেঘের গম্ভীর ডাকে বিষধর পায়রার জলে
অশুভ প্রণাম ।
দুচোখে ঘুমের ঘোরে অগণিত অজগর এসে
আঁকে চারুকলা -
প্রবল প্রাণের স্রোতে সেই প্রিয় ঘড়িটার কাঁটা
ভীষণ উতলা ।
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
akhter_bs...
হে ঘাস, হে বসন্ত
বেশ একটু গূঢ় ব্যাপার, লতার মতো পেঁচিয়ে সেদিন
একটা ফুলবতীবৃক্ষের কাণ্ড বেয়ে
সর্পের মতো উঠে যাচ্ছিল আমার মন :
তাকেই দেখছিলাম চুপচাপ চেয়ে।
তখন হাওয়ায় দুলে-দুলে বাগানের কচিঘাস
বসন্তের ফুল আর
সবুজপাতাগুলো মুখ ন...
অমরত্ব চায় কবি ও কবিতা, তাকে ডাকে পচনশীল মরণ!
ভাঁগাড়ের ময়লার স্তূপ, ড্রেনের আবর্জনা, গলিত মানুষ
দেখেছে পচতে সে প্রতিটা দিন, প্রতিক্ষণ, প্রতিরাত
পচনশীল খাবার দেহে প্রতিনিয়ত দেয় যে পুষ্টি
সেই পুষ্ট শরীর কি হবে অমর অক্ষয় কোনোদিন?
ব...