ঝড়ের মমতা নিয়ে আসে ভোর কালের বোশেখে
আবার প্রণয় সূতে হবে দেখা নদী মোহনায়
যারা যায় ভাটিপথে নাও বেয়ে সবুজ প্রভায়
তারাই দিগন্ত দেখে আঁকে ছবি বিবিধ নিরিখে।
সামন্ত হলুদ ছুঁয়ে এরপরে আগামীর পথে
হাঁকে ফের , এসো ছুটে হে নবীন বুকের পাঁজর
...
বনভূমির পথ
সুর ছিঁড়ে গেছে কোথাও।
দিগন্তে পদযুগল রেখেছে বিকেল।
স্বর-সুরহীন পথের বেহালা বাজাবে সন্ধ্যা।
পথে-পাতায় লেপ্টে যাবে অন্ধকার।
নীরবঝিঁঝিঁ, পাখিরা ডাকবে। কীটের আরতি হবে
চন্দ্রিমার সান্নিধ্য পেয়ে। তার-ছেঁড়া জীবনের
...
রুদ্র রোষের পবন হাঁকে
ঘূর্ণি এল পথের বাঁকে
আকাশ জুড়ে সোনার ঝাঁক
এল নব বৈশাখ।
(শেষ)
কমপক্ষে ৬-বছর আগের লেখা। প্রথম প্রকাশ সচলায়তনে।
ঘ্রাণের গণিত
ফকির ইলিয়াস
=========
ডাকো মেঘকেও আরো কাছে। প্রভাত প্রসূত বৈশাখের ডানা
হয়ে উড়ে যাবো আমরা তিনজন। তুমি, আমি , মেঘ।
একদিন বজ্র ভাস্কর্য হয়ে তারপর ঝরে পড়বো শিলং
শহরে। হয়তো কেউ কুড়িয়ে নেবে- পালক ভেবে, তুলে
রাখবে বিস্মৃত বিরহ...
মনে পড়ে ছেঁড়াঘুম
মেঘডাকা নিরালা দুপুর,
উঠানে হাঁসের ডাক,
দক্ষিণে সবুজ পুকুর--
পুকুরে গাছের ছায়া,
হিমকালো জলে মৃদু ঢেউ,
ভেসে আসে ধুলো হাওয়া...
শ্বাস ফেলে গেল যেন কেউ!
জানালার ফ্রেমে আঁটা
আকাশের নিচে আছে ঘর,
শয্যা বিছানো শুধ...
ঝরা গোলাপের পাপড়ি
আমি কেন হঠাৎ পথে দাঁড়িয়ে পড়লাম?
ঝরা গোলাপের পাপড়ি
ভোরের বাতাসে পথে পড়ে থাকা আমার হৃদয়।
মাড়িয়ে যেতে পারিনি
পারে কেউ, আপন জুতোয়?
আমাকে এতোটা বিশ্বাস দিয়েছে ভালোবাসা :
হাজার বছর ধরে
আমি পথের পরে
দাঁড়িয়ে থাকত...
দেখো, গরীব দুঃখিনী মায়েরা পায় না খুঁজে কচু-ঘেচু-শাকপাতা
পতিত জমিন নেই আঁচলে ভরবে হেলেঞ্চা, কলমি, বাইতা শাকের ডগা
বিলের শাপলা, শালুক, ঢেপেরা গেছে রূপকথার দীঘিতে ভেসে
বাড়ির পেছনে জংলা ঝোপঝাঁড় গাছেরাও নেই কোনো আজ
পেটের ক্ষুধায় কিশ...
অঙ্গুলির নির্দেশ
যার অঙ্গুলির নির্দেশ থেকে পথে নির্গত আমাদের পদযুগল
সে-ই এখন অঙ্গুলি গুটিয়ে নিয়ে বলছে :
এই, এই বারোটা- বছর ;
যতটুকু পথ হেটেছো, তার সবটুকুই ভুল ছিল।
প্রতারণার এই পর্বতপ্রমাণ যোগ্যজন একমাত্র জীবন!
জ্ঞানত আমি জ্...
চারপাশে কয়েকটি জবাফুলের পাপড়ি। ছেঁড়া সুতোয়
জড়ানো স্মৃতি। গোপন চন্দ্রের জ্যোতি নিয়ে টুকরো
চাঁদ। সবটুকুই রেখে দিয়েছি , তুলে -সাজাবো বলে
নবম আস্তানা । খরাঝড়ে মিলিত ঋতুর মোহনায়।
তারপর ঋতুবতী নদীর কাছে জানতে চাইবো
তার ভেসে যাবা...
কতোটুকু বিসর্জন দিলে হবো সফল মানুষ
কতোটুকু পেরুলে বন্ধুর পথ এক এক করে শেষে
চলে যাবো ওই কাঙ্ক্ষিতচূড়ায়?
অবুঝ শৈশব ফেলে বগড়ীবাড়ির তপ্ত পিচঢালা পথে
হাঁটি নরম বালির এক চরপাড়া গ্রামে থেমে
উদাস দুপুরে কাকপক্ষী কেড়ে নেয় যে হাতেধরা ...