উর্ধ্বমুখি, চোখা
ধারালো পেন্সিলের মতো
প্রাচীন-প্রসিদ্ধমাথাটা
ঘোলা-কালিবর্ণ মেঘের মধ্যে ডুবিয়ে
কী লেখে অই গীর্জা?
অকাল-অন্ধকারের চাপে :
মাথায় তখনও পাওয়া যাবে
ছিন্ন কিছু মুকুল- জীর্ণ কিছু পাতা
আর দু’একটি কীট, কীটের ঝরা-পাখ...
মিথ্যে মানুষকে দাও প্রশান্ত প্রশ্রয়
জোড়া দাও ভাঙা ঘর- ভাঙা কপালের দাগ
আত্মগত অন্ধকারে ঢালো আলোর ধারালো প্লাবন
অন্য জন্মের গেটপাসে ভিন্ন জীবনে ঢুকে পড়া আমি এক ভ্রান্ত মানুষ
আমাকে প্রমাণ করো- সত্যায়িত করো
চিহ্নিত করো দস্তখতের...
একমাত্র মরণেই পারে/ শেখ জলিল
একদিন মরণে শুধবো ঋণ-
কর্ষণে কর্ষণে যে তোমার জমি করেছি উর্বরা
সুঠাম দু'হাতে লাগিয়েছি শস্যবীজ ফাঁকে ফাঁকে
অকালের খরায় পুড়েছে তার সোনালী বৈভব।
সব কৃষকেই আশা করে ফসলের
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজেও সে হয় ...
কাছে টেনে নিয়ে আমায় দূরে সরিয়ে দিয়েছে আমার আমি
কষ্টার্জিত কিছু অলস সময় করে তাকে সময় দিয়েছিলাম!
সতেজ সময়গুলো নিয়ে হাজিরা দিলাম ভালোবাসার কাছে
অবহেলায় তুচ্ছজ্ঞান করে দূরে ঠেলে দিলো, কী যে অহম!
আপন সত্ত্বার কাছে নতমুখে পরাজিত আম...
রাস্তায় বেরিয়ে ভালোবেসে ফেলি হঠাৎ রোদ্দুর।
আমার পদচারনা আপামর জনতার বিরাট মিছিলে
আমার দাবী লাখো মানুষের বাঁচার চিৎকার
আমার রাস্তা শেষ হয় গিয়ে দারিদ্র্য সীমায়
তবু
বেরিয়ে রাস্তায় ভালোবেসে ফেলি হঠাৎ রোদ্দুর।
চারিদিকে দেখে ...
কবিতার ঋণ কত জায়গায় থাকে? "ছোটখালার যাওয়া" লেখা হয়েছিল ১৯৯৭/৯৮ সালে, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বাইরে এই কবিতার আবহটি তৈরি হয়েছিল তিনটি শিল্প-উপ...
একাত্তরে বাংলা যখন ভীষণ রকম ক্রুদ্ধ
অত্যাচারের প্রতিবাদে করল শুরু যুদ্ধ।
সেই সময়ে বাংলাদেশের অল্প কিছু লোক
মনে প্রাণে চায়নি কভু বাংলা স্বাধীন হোক।
নিজের দেশের কথা ভুলে পাক বাহিনীর সাথে
স্বাধীনতা রুখতে তারা নামলো রণের মাঠে।
...
জানিনা কোন মহাধাম থেকে আসে। এই অধমের শয়নকক্ষে
ফুলের ঢেউগুলো ঢোকে। যেভাবে সমুদ্র :
বেলাভূমিকে প্লাবিত করে,
স্নানরত মানুষের পায়ের তলা থেকে বালুরাশিকে টানে,
তেমনি ঢেউগুলো আমার মধ্যে আসে
কী যেন রাখে, আবার
সরিয়ে নিয়ে যায় ; কেউ চায়...
চন্দ্র দিন/অন্তোজ
বেজার সন্ধ্যার আলসেমি সময় পেরিয়ে
শীতল পাটির রেখা পিঠে জড়িয়ে
পুকুর পাড়ের স্নিগ্ধ বাতাস হালকা স্বস্তি
বড় কোন জলোচ্ছাস নয় কোন অশান্ত প্রকৃতিও নয়
বুকের ভেতর জেগে উঠা বালুময় চর
আজ মনের কোনে চন্দ্র দিন।
রাতের ক...
এসো, আলোর ঝরনাধারায় এসো।
এলো চুলে ধরতেই গান,
অশরীরী হাওয়া এসে
একমুঠো রোদ্দুর দিল ছুঁড়ে।
দিশেহারা আমি নেমে পড়ি রাস্তায়।
রাস্তায় রোদ্দুর আমার সর্বাঙ্গে ঝরে পড়ে।
চুঁইয়ে, চুঁইয়ে আলো গড়ায়
আমার চুলে চোখে মুখে।
আমি রৌদ্রের ঝরন...