মাঠে দাঁড়ালে
গোটা মাঠটাই নেই হয়ে
যায়।
সবসময় এই-ই ঘটে।
যেখানেই থাকিনা কেন,
সেখানকার একমাত্র নেই
বস্তুটা হলাম - আমি।
বাতাস ছিন্ন করে করে
হেঁটে যাই যখন,
সাথে সাথেই বাতাস
জড়ো হয় - আমার
শরীর এইমাত্র ফেলে এল
যে জায়গাটুকু।
ক্রমাগত হাঁটার জন্যে
আমাদের প্রত্যেকেরই আলাদা-আলদাভাবে
অসংখ্য যুক্তি আছে।
...
উৎসর্গঃ অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ
অন্য পথে হেঁটেছিলে তুমি সব সময়,
যে পথে ছিলো পথিকের বড্ড অভাব,
অভিমানে যে পথের বুকে ঘাস জন্মেছিল একটু একটু করে।
অলৌকিক ইষ্টিমারে চেপে
ঘুরে বেড়িয়েছিলে তুমি
এই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে।
তুমি নষ্ট করতে চেয়েছিলে
জেগে উঠা এক
বিষাক্ত অপ-পাকিস্থানের ভ্রুণ,
লাল নীল দ্বীপাব...
রক্তের ভেতরে অনুভব করছি নিঃশব্দে এগিয়ে আসছে ব্যাধ ।
না আমি সরে যাই!
বোধের ভেতরে আত্নহত্যার অনুরূপ এক প্রবণতা খেলা করে ।
না তুলে নিই কোনো বর্ম!
তোমাকে যে জেনেছে ও হারিয়ে ফেলেছে কেবল সেই এখন বুঝবে
আমার এ মনোভাব ।
চারদিকে গ্রামগুলো উজাড়,কঙ্কালে পরিনত স্বপ্নের সারস,
পড়ে আছে খড় ও পালক ।
গাভির বাথানে এখন অনবর...
এই ঘন ঘোর শীতে প্রেম বড় কম,
শৈশবের শরতের চরে
কাশবনের কথা মনে পড়ে
কুয়াশা বন্দী নগরে- সে রকম
চাইছি তোমার উষ্ণতারই ওম।
কিংবা এই শিশ্নতাপে গলে গিয়ে ভয়
করেছে ঘেরাও ঢের সহিসেরে
স্বভাবে নগ্ন পুরোবসনার ঘরে
লালসা লিপ্ত অধরে- চাইছি তোমায়
হেলেনের ন্যায় পরকীয়াময়।
এই দেহ পুরে যাক-
এই শীতের ভোরে প্রেম হয়ে থাক
ভরা ...
বাস স্টপে ভ্যাবদার মতো দাঁড়িয়ে আছি
চারিদিকে যখন হট্টগোল
কোলাহল
জ্বালাও পোড়াও আকাশের ঋণ
আমি তখনো ক্লান্তিভরা ভ্যাবদা রফিক
দাঁড়িয়ে আছি বাস স্টপে ভুলে স্বপ্নের দিন
তোমরা এত কিঁচির মিঁচিরে
অবসন্ন তিমিরে
বেসুরো পৃথিবীর সাথে সখ্যতা গাও
আমি দেখো চলে যাই
অশোরে অগোচরে অবৈধ স্বাধীনতায়
নাড়িটা কেটে গেছে...
বোবা আদালতে বিচারকগন বধির ।
শিকারী কুকুরের লালা ঝরছে আর
মহামান্যগনের চোখের সামনে ঝুলছে
কালো নিগারের পাথুরে শরীর ।
শুনেছি ভীষন অপরাধী,ভয়ংকর খুনী
অবশ্য তাহারাই শুনিয়েছেন সব,দন্ডিতজন
নির্বাক নিয়মতান্ত্রিক, নির্বিবাদে ।
নিথর দুপা বাতাসে দুলছে যেনো কাকতাড়ুয়া,
কাক কে ত...
এরপর
উচ্চতর সিঁড়িতে দৃষ্টি হানে শরীর,
শব্দের পঙ্কিলতায়
রি-রি করে ওঠে নাগরিক হৃদয়,
খুব উঁচুতে উঠে হারিয়ে গেছে যে
বেলুন -
তার মতো সবকটা চিন্তা,
বর্ণক্রীড়া.
নগ্নিকার চেয়েও সুন্দর পংক্তির ছবি
আর
স্তবকের নিষ্প্রাণ চেয়ে থাকা, - দূরে
সরে যায় - আমার হাতের মুঠো হতে
সিঁড়িটির
প্রথম ধাপে পা দিতে যাব কি-না বুঝত...
কবিতার নাম:
আমার জিয়ন কাঠি
সাদা কিংবা সবুজ
ঘাস ওঠা পথের দুধার বেয়ে
চলে গেল সারি সারি
কুণ্ডলিত মেঘ-সম্ভাবনা।
পেছনে সুস্থির
কয়েক শত নির্মল চোখ।
ছেলেটি কাঁদছে:
আগে জেনে দিগন্তের কথা।
আমি বার বার কারণ খুঁজে আটকে যাই
কালোত্তী...
হর-হামেশা আসতে পারি-
তোমার কাছে।
একটু খানি অভয় দিলে
দু'হাত দিয়ে টানতে পারি-
বুকের খাঁজে।
একটি দুপুর স্বপ্ননীলে
মেঘের ভেলায় ভাসতে পারি-
মনের মাঝে।
একটুখানি সুবাস নিতে
মুখখানি তাই ঢাকতে পারি-
চুলের ভাঁজে।
একটি বিকেল সন্ধ্যা হলে
অন্য কিছুও চাইতে পারি-
ঈষৎ লাজে।
একটু বেশি মাতাল হয়ে
হয়ত দু'জন নাইতে প...
যে কাল পিছনে ছিলো
সে কাল সমুখে ফিরে আসে-
অবগুন্ঠিত মুখে তারকাখচিত পট্টবাসে-
কে তারে ভূষণ দিল, দিল অলংকার
ক্ষণস্থায়ী ঐশ্বর্য্যের বসন্তবাহার?
স্পর্শহীন স্রোতে তার রূপহীন আবেগে অতুল
কে ফোটাল ফুল?
শূন্যের সমুদ্র হতে নিমিষে নিমিষে ধরে কায়া-
বেলাহীন বেলাতটে তরঙ্গের মৃত্যুময়ী মায়া।
------------- মৈত্রয়ী দেবী
মি...