সুবর্নরেখা
--------------
শূন্যতার গল্প বলি;
কান পেতে শোন গ্লাসে শব্দ হয়ে গড়িয়ে যায়
তরল জোহান্সবার্গের
উপচে পড়া মেঘ গ্লাসের কাঁচ বেয়ে বেয়ে
সিরামিক বাটি
ঝাঁঝালো চানাচুর,
এবং গোলাপি নখ;
জল না হোক, যতটুকু মেঘ ঠোঁটের কার্নিশে
আমার শূন্য গ্লাসে ঢেলে দাও -
বৃষ্টির গান শোনাই।
হ্যাংওভার
---------------------
কালো প্যান্ট
সাদা শার্ট
ম্যাচিং টাই
রিমলেস গ্লাস
আলোর সারপ্লাস
"I walked into a cocktail party..."
মানে একটি চিড়িয়াখানা
পুশি ক্যাট, টমি ডগ
ম্যাচিং কাপল
কাপল ম্যাচিং,
মিস্টার সেন, মিসেস ইসলাম
সাদা হাত
কালো হাত
মাল্টিকালার হাত
সব আলিঙ্গন বদ্ধ এবং একাকী
"I ate a sandwich of pure meat; an
Enormous sandwich of human flesh"
ধনুক এর ছিলায় টান টান হয়ে
এক বিষণ্ণ তীর
তার তো পাখি হওয়া মানেই অপরাধ
ভুল খোঁজা নীড়
তার জন্য রাখা বুলস আই , অন্তত বিদ্ধ
এ শহরে সব নিয়ম নিঃপাতনে সিদ্ধ
ক্লান্ত ধনুক, একের পর একে
দিকভ্রান্ত তীর এর ছুটে চলা দ্যাখে
ক্রমাগত ইলাস্টিক ফ্যাটিগ
তাকে, করে তোলে বৃদ্ধ
এ শহরে সব নিয়ম নিঃপাতনে সিদ্ধ
- অপ্রকৃতিস্থ
জীবন কি থামে কখনও
অস্তাচলের পথে?
প্রাণোৎসবে উচ্ছল,
বহুমাত্রায় বর্ণিল জীবন কি থামতে পারে কখনও!
যেমন থামেনি ৫২, ৭১, ৯০ এ।
মানুষ যখন অমানুষে পরিণত হয়,
মরণকামড় দেয় হিংস্র শ্বাপদের মত
জীবন এগিয়ে চলে তখনো।
পায়ে না পারলে হাতে,
হাত অচল হলে গড়িয়ে গড়িয়ে
সুমহান কিছুকে ছোবার আশায়,
অজানাকে জানার আশায়,
কখনো স্রেফ হতাশাগ্রস্ত ভাবেই- এগিয়ে চলে।
জীবনের সার্থকতা কোথায়?
বিক্ষিপ্ত কবি-তা (তালগোল)
-----------------------------------
(১)
একদিন রকে বসে বেজে ওঠে ঠোঁটের শিস!
হৃদয় আর এখানকার দূরত্ব শুধুই কি শব্দ নয়?
(২)
একটি কবিতার জন্যে সে কি দীর্ঘ প্রতিক্ষা,
আমি বসে থাকি অনন্তকাল আঙ্গুলে কলম চেপে
একটি রূপকও ধরা পড়েনি স্বর্গ ভ্রমন শেষে!
সাদা পাতা
কবিতার খাতা
(১)
সূর্যের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বালিকা
ঠোঁটের আঁচড়ের দাগ মুছে ফেলে লিপস্টিকের ছোঁয়ায়,
এমন ই সে -
চুম্বনের আনুপাতিকতায় দ্রবীভূত হয় না হৃদয়;
চন্দ্রের গর্ভে শরীর লুকিয়ে
তাকিয়ে থাকে জলের শরীরে,
বিচ্ছিন্ন দেহের ক্লান্তি জড়িয়ে...
(২)
আমাদের নৈমিত্তিক ব্যাবহার্য জিনিসের আড়ালে
লুকিয়ে থাকে পাপ।
সবুজ অন্ধকারের গা বেয়ে নেমে আসে সাপ
লিকলিকে শরীর আলিঙ্গনে জড়ায়
সেক্স অ্যাপিল্ - ২
------------------
স্বাগত জানাই আজ রাতে পৃথিবীর
যাবতীয় তাপ;
আর্কিমিডিসের ঘনত্ব নিয়ে যারা
ভালোবাসা বুঝতে চায়, প্রেমিক শব্দ তাদের মাথার
মুকুটে শোভা দিক!
গভীর রাতে বুকের লবনগুলো বেয়ে নামুক
আর্দ্র চোখ,
ঠোঁটের ভাষায় নিয়েছি দখল, ছোঁয়া-অছোঁয়া
পকেটের বুকে অনেক পুরনো
দৈনিক পত্রিকার মতো
বিরহের গোল্লাছুট
-------------------
নিঃশ্বাসে অস্পষ্ট যে বিপরীত প্রতিবিম্ব
জলের নীচে কাঁজল গাঁয়ে
স্রোতের মরা রঙ
বেসিনের নদীতে ঝরবে বৃষ্টি হয়ে
পালসবিটে শব্দ বুনো
বুনো তৃষ্ণা;
দেয়ালের ফাঁটলে ছক কাটে সোনালী রোদ
যেন কাঁচের গ্লাসে সোনালী মদ!
জানালার কাঁচে
----------------
জানালার ঘোলা কাঁচে দেখেছি গড়িয়ে পড়া জল
টুকরো নীলে
থোকা থোকা মেঘ;
দমকা হাওয়ায় ভেসে যায় মৌসুমী পাতারা
উড়ে যায় কবুতরের সাদা পালক
জানালার কাঁচে ঘোলা দেখেছি মুখে বিষন্ন চোখ
একটানা অবিরাম সবুজে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে থাকা
পাথরের রাত।