দুই বেলা তোর চিবুক ছূঁয়ে বলতে ইচ্ছে করে
এই বোকা শোন তোর লাগি মোর পরান কেমন করে'।
উল্টো হাতে ঠোঁটের কোনের আধলা একটা ঘাম
ইচ্ছা করে মুছায়ে দি হয় যদি আরাম।
তিন বেলা রোজ পাশে বসায় নলায় গরাস তুলে
ইচ্ছা করে খাওয়ায়ে দি, লোক সমাজকে ভুলে।
চাঁদ কপালে হাত বুলায়ে ঘুম পাড়াবো রাতে
বুকের মধ্যে পিষে রেখেই ঘুমাবো তোর সাথে।
ইচ্ছারা রোজ মিছিল করে তোর এলাকায় ঘুরে
আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম প্রবলভাবে
এই প্রচণ্ড আকুতিই আমায় নিয়ে গিয়েছিল বনের গহনে-
অন্য অনেকের মত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নয়,
নতুন মডেলের গাড়ী নয়,
বাড়ী, এমনকি সুন্দরী বান্ধবীও নয়-
আমি শুধু বাঁচতে চেয়েছি প্রবলভাবে
মুখে রোদ, বৃষ্টি, বাতাস, তুষারের বুনো স্পর্শ নিয়ে।
আমি বাঁচতে চেয়েছি-
উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনার মাঝে,
সংগ্রাম ও প্রতিরোধের মধ্যে।
তোমাদের এই নোংরা ধূসর কড়িকাঠের শহর ছেড়ে
গলি
-----------
ঠায় দাড়িয়ে থাকি
যেভাবে রোদের মাঝে হেটে আসে রাত, ভাবি
প্রতিফলনে স্পর্শ নেই
প্রতি ফলনে জন্ম নেয় একটা করে মৃত্যু;
খুব অন্ধকার; খু-উ-ব
গলিত লাশের গলিতে একটা ল্যাম্পপোস্ট
আর কিছু আলো
ওরা জেগে থাকে বাতি ঘরে, ঘোরে
ঘোর
বৃষ্টি নামবে; আরো বিশটি চোখ জুড়ে
বিষ ধুয়ে যাবে
প্রতি ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি, মাঝের শূন্যতায়
ঠায় দাড়িয়ে থাকি।
কিছু কিছু শব্দ আছে যাদের কথা মনে আসলেই
বিষন্ন মেঘগুলো মূহুর্তেই উধাও হয়ে যায়।
এই যেমন ' কোমল গান্ধার ' শব্দটি মনে আসাতেই
কোথায় যেন বেজে উঠল তানপুরা, কিংবা সন্তুর অথবা এসরাজ।
ব্যাথাতুর সুরগুলোকে তখন খুব আপন মনে হয়।
কখনও কখনও পড়তে পড়তে কয়েকটা অক্ষর
বইয়ের পাতায় বিদ্যুতের মত চমক দিয়ে যায়।
যেমন ' ল ' বর্ণটি দেখলেই মনে হয়
সারা ঘরময় খিলখিল করে হেসে হেসে
…
(২১)
বৃক্ষের বল্কলে নদীর চিহ্ন দেখে-
তুমি যে চমকালে হঠাৎ !
আমি তো খুঁজিনি এতো- কোথা কোন্ বৃক্ষদেহে
কে কখন রেখেছিলো জলমগ্ন হাত !
.
২১শে জুন' ২০০৪
----------------------
ব্রা এর কার্নিশে কালো তিল
হুক তুলে দেয়া জানালার পাল্লায়
কারা যেন লেপ্টে দেয় অন্ধকার; ওরা কারা
দশটার মাঝে চারটা
চোরের মতোন পেছন দরোজায়, চার এর মতো
আরো ছয়
খুব ঠান্ডায়
অতলান্তে ডুবে যায় যুবকের ক্যাফে, ভেসে যায়
২১শে জুন' ২০০৪;
ভেসে আসে বরফিত জলের কষ্ট গেলাস!
সময় গড়ায় যেন
ময়লা ছেঁড়া ফুটবল।
পথের আঁধারে দেখেছিনু তারে,
ঠিক যেমন হাজার বছর আগে, কালীদহের গাঙে
জোনাক পোকার ভিড়ে
নিভু নিভু আলোর মাঝে যখন সন্ধ্যা তারা জ্বলে পশ্চিম আকাশে
পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর যেন ঠাই নিয়েছিল একই মুখে!
বর্ণনা?
কবির কি সাধ্য আকাশ, সাগর, প্রকৃতির বর্ণনা দেওয়া!
না।
আর এতো তার চেয়েও মহত্তর- এক মানবী!
প্রেমিকের কাছে এক প্রেমিকা,
ভালোবাসার বহ্নিশিখা যাকে পোড়ায় অষ্টপ্রহর
তাকে কি ভাবে প্রকাশ করি, বল?
আকাশ জোড়া বাউন্ডুলে মেঘের ছায়া
সেথায় ওড়াই মন খারাপের একলা ঘুড়ি।
আদুল উঠোন ঝেঁপে যখন বৃষ্টি নামে
তখন কে যায় আমার সঙ্গে মেঘের বাড়ি?
যেপথ ধরেই পৌঁছুতে চাই সুখের ডেরায়
পথ হারিয়ে হঠাৎ মেলে অন্ধ কুঠি!
ডাক পিয়নের চোখ খোঁজেনা এই ঠিকানা
ভুল ডাকে যায় তোমায় লেখা সকল চিঠি।।
কিছুই তেমন যায়না ধরা হাতের মুঠোয়
স্বপ্নের বীজ ভুল বাগানের ডেরায় ফোটে
আমি পাইনা ছুঁতে কারুর ইচ্ছে ফানুস