বোশেখ এসে কড়া নাড়ছে স্মৃতির দরজাটা একটু খুলি?
ফোন বিল এলো, একাশি টাকার
গতমাসে এসেছিলো, তার আগের
মাসে, তারও আগের মাসে, প্রতিমাসে
একটা করে, প্রতিবারই একাশি টাকা...
মূলত, একা মানুষের ফোন থাকতে পারে
হয়তো, কথা বলার কেউ থাকে না
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে, নীতির গুন্টার গ্রাস এর আগেও সব তীরের নিশানা করে ছিলেন নিজেকে। আমার অর্থলিপ্সু জাতির জন্য আমি লজ্জিত। এমনই বাক্য ব্যয়ে আয় করেছেন অযুত-নিযুত সমালোচনা। কী বর্মে তাঁর আচ্ছাদন তৈরী! সেটা তিনি নিজেই জানেন। কিন্তু আমি অবাক হই কী মানবিক শক্তিতে সব কিছুকে এত তুচ্ছ জ্ঞান করেন তিনি!
বহু দিন আমি শব্দের বড়শি ফেলে
কাঁঠাল গাছটারে
স্মৃতির অতল-দেশ থেকে তুলে আনতে চেয়েছি
যে-গাছটার ডালে বসে
আমি তার সাথে পাখিদের মতো বচসা করতাম
আর খুনসুটির মঞ্জুরী ফুটে উঠতো পাতায় পাতায়
আর শিখতাম বার-মাস-বছর আর বডি পার্টস-এর নাম
সে-একটা গাছ ছিলো আমাদের
স্কুলের পাশেই, খালের কিনারে
একটা সবুজ অতিকায় পাহাড়ের মতো
একটা নিরীহ শামুকের মতো
সবুজ গাছটা এ-প্লাস-ডাবলু, এম-প্লাস-এস,
বৃষ্টির ঘ্রাণ পাচ্ছি,
জলের ঘ্রাণ পাচ্ছি,
জলমগ্নতায় কার অতল হৃদয়ের
কলরব শুনতে পাচ্ছি ।
এ কার নুপুর-নিক্কণ সকরুণ সুরে
আজো কাঁদে করোতোয়ার কচুরীর দামে?
রেণুকা? সে তো চৌদ্দ বছর আগেই
ভোকাট্টা হয়ে গেছে গোলাপী ঘুড়িটার মতো!
সেই ঘুড়ি, সেই নিরুদ্দেশ ঘুড়ি কতবার ছলে-বলে
আছড়ে পড়েছে রেনুকাদের ছাদে।
যতবারই কুড়োতে গিয়েছি
ততবারই বিদ্ধ হয়েছি শান্ত গভীর দু’চোখের মায়ায়।
এক।
আলুবাজ
কবি বড় বাজে
বড় বাজে কবি
শব্দের পর্দাটা সরালেই আ-কথা কু-কথা
ছায়া-প্রিয় গাছটার নাম ভুলে গেছি
সেই বেনামী গাছটা ছায়া-সর্বস্বই বটে
না-আছে পাতার ছিরি
না-ভালো গায়ের ডাল-পালা, শাখা-কাণ্ড;
ওই এক ছায়া -
ওটুকুই আছে তার -
ডালে-আবডালে।
গাছটা এখন বিশ;
কাহারোল গ্রামে ছায়া-খোঁজা মানুষের হাত ধরে হাঁটে
মাঠ-মাঠান্তরে,,,
যতটুকু রং আর প্রাকৃত জীবন
--------------------------------------প্রখর-রোদ্দুর
হলুদে বিদায়ী কোন সুর যদি পুঁতেছে প্রকৃতি
তবে সবুজেই আছে মিশে আগমনী ট্রেনের হুইসেল।
চন্দনগন্ধ মেখে রোজ সন্ধ্যা প্রাগৈতিহাসিক কাশ্মীরী শাল
সুহাসিনী রুপসী ঘ্রান মাখে বনস্থালী, নুড়ি আর পাথরে।
শিশুবেলায় পুতুলবিয়ের সাজ মানেই হাজার পিনেকারুকাজ, তবু
উত্সবে পাখির নরমবুক ছোঁয়া পরিতৃপ্ত সোনালি বালিরেখায় বয়স
বাড়ি যাচ্ছি
বরিশালের বরগুনায়
অথবা বরগুনা নয়, নামহীন কোন দ্বীপে
কমা, দাড়িহীন এক জলজ পথের টানে
স্রোতে ভাসা কচুরিপানার মতো, ভেসে ভেসে
স্রোতই এখানে কান্ডারির ভূমিকায়
এমন কখনো নিয়ন্ত্রনহীন হয় মানুষ অথবা
হতে হয় তাকে বেলা-অবেলায়
বাড়ি যাচ্ছি
একটা লাশবহনকারী-এ্যাম্বুলেন্সে
এখন অনেক রাত
শেওলা-সবুজ-পথটা অসীম অসীম অসীম,,,