সহজ প্রেরণা নিয়ে পথে হেঁটে যাই, বসে থাকি।
সবারই প্রেরণা আছে, প্রেরণা বুঝেছে যারা তারা জানে;
প্রেরণার অপর নাম ভালোবাসা, অথবা প্রেম? যেভাবে যে নামেই ডাকোনা
কেন, প্রেরণারা তাড়া করে ফেরে, মহৎ স্বপ্নের জন্ম হয়, স্বপ্নেরা আশৈশব বেঁচে থাকে।
প্রতিটি স্বপ্ন মানে বিবিধ জীবন, জীবন কেবলইমাত্র একটি জীবন, ভালোবাসার তবুও মৃত্যু নেই;
আমি এভাবেই গড়েছি আমার জীবনের সংজ্ঞা।
খামখেয়ালি
-------------------------------------
আমাদের কিছু কথা এভাবেই থেকে যায়
চোখের কার্নিশে
গড়িয়ে নেমে যায় জল হয়ে, জল
আমার জন্য তোমরা কেউ কোথাও দু:খ পেওনা
আমি অনেক ভালো আছি। মেঘের উপরে হাত
রাখতে পারি, ভাসতে পারি শূন্যে বলতে পারি :
আমি দু:খহীন এক তরণী
ছায়াপথে তারা-নদীর যাত্রী,
ভারহীন যা"িছ ভেসে। শুধু,
যে কজন কাচাবাজারের ব্যাপারি
কবিকে মাপতে চেয়েছিল দাঁড়িপাল্লায়
ওদের তোমরা বলেদিও- তাদের বাটকারা নাই।
আমি এতোটা হালকা।
এখন,
মেঘের সাথে থাকি
(আগের পর্বের পর...)
...
ভর্তৃহরির রচনাবলী
শৃঙ্গারশতক, নীতিশতক ও বৈরাগ্যশতক- এই শতকত্রয়ের কোথাও ভর্তৃহরির নাম লেখা না-থাকলেও তিনিই যে শতকত্রয়ের রচয়িতা- এ ব্যাপারে সকলেই প্রায় একমত। তবে কারো কারো মতে অবশ্য ভর্তৃহরি শতকত্রয়ের রচয়িতা নন, সঙ্কলয়িতা মাত্র। তিনি অন্য কবিদের রচিত এবং লোকমুখে প্রচলিত শ্লোকসমূহ বিষয়বস্তু অনুসারে তিনটি শিরোনামে বিন্যাস করেছেন বলে তাঁদের অভিমত (-Dr.Bohlen Ges Abraham Roger)।
.
এছাড়া শতকত্রয় ব্যতীত ভর্তৃহরির নামের সঙ্গে আরও কয়েকটি গ্রন্থের নাম যুক্ত করেছেন কেউ কেউ তাঁদের গ্রন্থে। সেগুলো হচ্ছে- ভট্টিকাব্য (বা রাবণবধ), বাক্যপদীয়, মহাভাষ্যদীপিকা, মীমাংসাভাষ্য, বেদান্তসূত্রবৃত্তি, শব্দধাতুসমীক্ষা ও ভাগবৃত্তি। এগুলোর মধ্যে প্রথম দুটি যে শতককার ভর্তৃহরির রচনা নয় সে সম্পর্কে ইতঃপূর্বেই আলোচনায় এসেছে। অবশিষ্ট গ্রন্থগুলি সম্পর্কে পক্ষে বা বিপক্ষে যথার্থ কোন যুক্তি বা তথ্য এখনো অজ্ঞাত বলে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা এখনি সম্ভব নয়।
(জ্বর জ্বর ভাব নিয়ে কীবোর্ডের সামনে বসা বিপজ্জনক। তেড়ে ফুঁড়ে প্রকাণ্ড অকবিতা বের হয়ে আসতে পারে। )
কোন পরিকল্পনা নাই
বলি, চলো! মাভৈ।
ঘুমোচ্ছে বড় ছোট দালানকোঠা সব
ছায়াও ঝিমাচ্ছে রাস্তায়!
শুধু দুই মহল্লার মধ্যেখানে
জেগে আছে পুকুর;
আমি সাঁতার জানি কন্যা।
এতোটা পথ
পথের কোলাহল সরিয়ে
একা একা, একলা দুপুরে
এসেছি আজ মাতবো
তোমার নেশায়, নেশার উৎসবে!
আমার দুপুর কাটে তোমার আলোয়
বিকেল ও কাটে তার রেশে,
দুপুর রাত্রে যখন
উৎসব ফের ডাকে- আয় আয়!
আমি অসহায়!
নিরুপায় রাত্রি
ভর্তৃহরি
.
সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য রক্ষিত না হওয়ায় সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম কবিশ্রেষ্ঠ ভর্তৃহরির জীবন-চরিতের জন্যে জনশ্রুতি-নির্ভর হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। বিভিন্ন জনশ্রুতি-প্রসূত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতককে ভর্তৃহরির অধিষ্ঠানকাল হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিংবদন্তী অনুযায়ী- ভর্তৃহরি ছিলেন মালব দেশের অধিবাসী এবং জাতিতে ক্ষত্রিয়। রাজপরিবারে জন্মগ্রহণকারী ভর্তৃহরির পিতার নাম ছিলো গন্ধর্ব সেন। গন্ধর্ব সেনের দুই স্ত্রী। প্রথমা স্ত্রীর পুত্র ভর্তৃহরি এবং দ্বিতীয়া স্ত্রীর পুত্র বিক্রমাদিত্য- যার নামে ‘সম্বৎ’ সন বা ‘বিক্রমাব্দ’ প্রচলিত। উল্লেখ্য, বিক্রম সম্বৎ গণনা শুরু হয় ৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে।
স্বপ্ন ছিল উথাল-পাথাল
আকাশ চেরা
স্বপ্ন ছিল মনের ঘরে-
হয়নি ফেরা |
এখন দেখি ডুকরে কাঁদে
সে স্বপ্নেরা,
তারা এখন উল্টো পথের
শেকল ঘেরা |
পড়ন্ত এই ধুসর দিনে-
স্বপ্ন এখন বিবর্ণ এক পলেস্তেরা !
- ঈষিকা
প্রাচীন নীতিশাস্ত্র
.
প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে ‘নীতিশাস্ত্রম’ নামে একটি বিভাগ স্বীকার করা হয়। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়- নীতিশাস্ত্র। নামের মধ্যেই যেহেতু শাস্ত্র কথাটি যুক্ত রয়েছে, তার উপর আবার সংস্কৃত ভাষা, তাই ধারণা হয় নিশ্চয়ই এতে মারাত্মক সব জটিল তত্ত্বের সমাহারে ভয়ঙ্কর সব শাস্ত্রীয় কপচানিই থাকবে। এবং যার ফলে, এ বিষয়ে বিরাট পাণ্ডিত্য ধারণ করা না-গেলে এই শাস্ত্র উপভোগের শুরুতেই সহজ-সরল সাধারণ পাঠক-মনে প্রথম যে ইচ্ছেটাই গজিয়ে ওঠা স্বাভাবিক, তা হলো- থাক্ বাবা! এ রাস্তায় এগোনোর চাইতে পাথর চিবানোও বুঝি সহজ কর্ম ! ভাগ্যিস এগুলো আসলে সে জাতীয় ভয়ঙ্কর কিছু নয়। এবং এগুলো যে মোটেও রসকষহীন কিছু নয়, বরং অধিকাংশই মনোগ্রাহী কাব্যধর্মী রচনা, এর উদ্দেশ্য থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ, এর উদ্দেশ্য হলো আকর্ষণীয় উপায়ে কিছু সদুপদেশ বিতরণ বা কাঙ্ক্ষিত কিছু নীতির প্রচার।
তোকে নিয়ে ভাববো বলে
ভাবনাটাকে আসতে বলি
হঠাৎ কোন দুপুরবেলায়
যখন আমায় একটুখানি
ছুটি দিয়ে বিদায় নেবে
নিত্যদিনের টানাপোড়েন