[justify]আমি কবি হতে চেয়েছি সবসময়। কবিতায় যাপন করতে চেয়েছি জীবন। বাউল হতে চেয়েছি। নগ্ন পায়ে হেটে যেতে চেয়েছি খোলা প্রান্তরে, রাত আর চাঁদকে নিয়ে পাড়ি দিতে চেয়েছি আমার সারাটা জীবন। সেসব কিছুই হয় নি। কারন নিজের ভেতরের আমিকে আমার বাইরের আমি কখনই ছাড় দেয়নি। সংসার ভালো লাগে না আমার তবু গৃহেই বসবাস। এই বৈপরিত্ত অথবা ভণ্ডামী নিয়েই আমার নিত্যদিন।
তোকে আমি ধরে রাখতে পারিনা
অনিচ্ছাতে নিজের দোষে হারাই
ছুঁয়ে দেখব তোর চিবুকের মায়া
জলের মধ্যে কেবল জলের ছায়া
বদ্ধ পাগল দুরন্ত দিন কাটে
ছায়ার শোকে রোদের দুঃখ বাড়াই।
অগোছালো পথিক পথেই থাকি
হয়তো কোথাও শিশির রাখে পাতা
আধেক জীবন বিষন্ন বল্কল
শীতের চাপে জমতে থাকে জল
সবুজ নামের আনন্দ থামে না
চেনা নদী সকল খরস্রোতা।
তোকে যখন পেয়েছিলাম ভোরে
কোলাহলের মাঝেও অথই একা
কষ্টগুলো একাই নিলি তুলে
অনেকদিন পরে আবারো ক্যাকটাস। আর এবারের ক্যাকটাসগুলো বেশ দুষ্ট। কতটা খোঁচা লাগবে সেটা পাঠকই বলুক!!
***********************************************
মানুষ নেবে বিদায় মানুষের কাছ থেকে
মানুষের হাতে জন্মাবে ধারালো নখর !
অসহায় বোধ যাবে বাণপ্রস্থে, নাও শিখে
শ্বাপদের হিংস্রতা... রক্তের স্বাদ প্রখর !
************************************************
১.
_________________________
শান্ত, স্নিগ্ধ, স্রোতময় জলধারা তুমি
নীলাকাশ যেনো মিশেছে নতজানু হয়ে
তোমার পায়। আমি মুগ্ধ কিশোরের মতো
তোমারে দেখি, আমি তোমার কোমলে ভাসাই নিজেরে...
আর বড় অসহায় লাগে, যখন দেখি তোমার ষোল আনার
দখল নিয়েছে পাইক-পেয়াদাতে, আমি এক বোকালবাব, জলকাতর,
ভালোবাসারও যার নাই অধিকার। তবু তুমি জেনে রাখো রেনুকা,
তোমারে ভালোবাসবে না আর কেউ আমার মতো, আমি ছাড়া আর
নাই কোন যোগ্য প্রেমিক তোমার...
কোমলতাকে অধিকার করতে চেয়েছিলাম বলেই ধরতে চেয়েছি মুঠোভরা জোৎস্না।
কিন্তু দূষিত রক্তের ধারা যেখানে আমার একমাত্র প্রাপ্তি, বিশুদ্ধতা সেখানে অধরাই!
নষ্ট বীজবপনে ক্লান্ত আমি এখন আর তারুণ্যের উদ্দামতায় হারিয়ে যাবার উৎসাহ পাই না!
অন্ধকার রাতের মাঝখানে এক চিলতে আলো এখন আর আমাকে বিমোহিত করে না,
এতটুকু সাহায্য আর যৎসামান্য আলোর জন্যই আমি জোনাকির আশ্রয় চাই!
১।
পাহাড়ী পাথর ধরে প্রস্রবণ,
অথচ প্রস্রবণেও থাকে পাথর শীতল সব।
ব্যাপারটা বেশ কঠিন ও কোমল,
নাকি এতোটা পথ একা যাওয়া ঠিক নয়,
গন্তব্যে পৌঁছালে যখন সকলেই আবার একাকী একলা।
২।
একবার কোন নদীকে ভালোবাসো
দেখবে আর কাউকে ভালোবাসা সহজ নয়।
একটা নদীকে ভালোবেসেছিলাম,
তাই তোমাকে আর ভালোবাসা হয়ে ওঠেনি,
তুমি কাছে এলেই মনে হতো কতো জনপদ
ঘুরে তবে জলেশ্বরী এসেছিলো কাছে -
ওরা আর কতটুকুই জানে?
শুধু আমিই জানি ভ্রমের বিলাস,
মুখের মুখোশ, নিত্য বাহাস।
আদ্যপান্ত জানা আমার
অজানা নয় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমা
কত হাত বদলাও, কত হাতে হও জমা!
ওরা আর কিইবা জানে?
কেবল আমিই জানি ভিতর-বাহির,
রঙের খেলা, ভুলের তিমির।
মুখবন্ধ জানা আমার
এই দিচ্ছি লিখে শেষ পাঠ।
…
(১১)
বালিকার নদীটাকে ছুঁবো বলে আমি
ডুব দিতে বারবার ভুল জলে নামি !
কোথায় বালিকা তুমি যাও কোন্ নায়ে-
দেখোনা নদীর দাগ মেখেছি এ গায়ে !
.
…
(০৬)
ভেজা হাতে ডাকি নি তোমায়-
সাঁতার জানো না বলে;
পুকুর শুকিয়ে কাঠ-
তবুও আসো নি তুমি জলের ভয়ে !
ভালোবাসার গান
মূলঃ এ্যান স্যাক্সটন
অনুবাদঃ কল্যাণী রমা