অনেক অনেক আপন ছিলেন যাঁরা,
নেই যাঁরা আর এই পৃথিবীর 'পরে-
আমরা যেমন তাঁদের ভুলেই বসি,
তাঁরাও ভোলেন ঠিক তেমনি করে?
হঠাত্ কোন বিষাদ ভরা দিনে,
স্মৃতির তাঁরা মনটাকে যান নেড়ে-
এমনি করে তাঁরাও কি আর ভাবেন
কেমন তারা যাঁদের এলেন ছেড়ে?
যেমন করে ওঁদের নানান কথা
আড়াল ছেড়ে চোখের কোনে ভাসে,
তেমনি ওঁরাও দেখেন কি আর ফিরে?
সেই স্মৃতিরা ওঁদের মনেও আসে?
যেমন করে সব মানুষের ভীড়ে
পলায়নে দক্ষ চাঁদ
তোমার সঙ্গে আমি হাঁটি
স্বস্ত্যয়নে যেই দেশে চাদর পেতেছ
আমি যাই অশরীরি একই বৈদেশে
আমিও তোমার সঙ্গে হাঁটি;
আমিও তোমার সঙ্গে
পুরানো বিচিত্র কিছু চিত্রণ রেখেছি
নিজের নূপুরে আমি সরিসৃপ ডাকি মাঝে মঝে।
তুমি যে পতঙ্গ জেনে আমিও পতঙ্গ হই
তুমি যে ধুলার বাস্প
জেনে আমি মাঝে মাঝে
আয়নায় নাম লিখে মুছি
তোমার শব্দাবলী ভুলেও কখনও আমি ব্যক্ত করিনা
স্মিতহাস্য সক্রেটিস পুত্রবৎ বন্ধুদের কহিলেন -
“ প্রজ্ঞার অন্বেষণে, চষিয়াছি জ্ঞানী জনে;
দেখিলাম কাহারো অজ্ঞেয় কিছু নাই,
যখনই জানিতে চাই
কি আছে অজানা আর কিবা অজ্ঞেয়,
তাহা জানেনা কেহ।”
অতঃপর ক্ষণকাল নির্বাক রহিলেন।
নিষ্পলক চক্ষুদ্বয়, চাহনি সুদূর,
কহিলেন - “কিছুই হইলোনা জানা,
জ্ঞান সসীম নহে অসীম সমুদ্দুর,
আমি তাহাতে মাত্র ক্ষুদ্র বালুকণা”।
হেমলকে মরে নাই প্রজ্ঞা, ঢের বিকশিত
একটা চিঠি লিখতে ভীষণ ইচ্ছে করে।
আট প্রহরের কান্না-হাসির শব্দে সুরে,
কাঠপাথুরে শহরতলীর বৃষ্টি,রোদে,ধোঁয়ায়,ধুলোয়,
সাদায়-কালোয়,
আলোয় কিংবা অন্ধকারে ...
একটা চিঠি লিখতে ভীষণ ইচ্ছে করে।
সেই চিঠিটা পৌছে যাবে তোর জানালায় -
যখন আমার ধূসর আকাশ লাটাই বিহীন একটা সাদা ঘুড়ির শোকে নীল হয়ে যায়,
যখন আমার পাতার মত সবুজ বুকে কয়েক বিন্দু আষাঢ়-শ্রাবণ,
যখন আমার একটা দু'টো বিষণ্ণতার আলতো কাঁপন -
[এ লেখাটা যাঁর জন্য তাঁর মন আজকে অসম্ভব খারাপ। মন খারাপ কখনো কখনো ব্যাখ্যাহীনরকম সংক্রামক। মন তাই আমাদেরও খারাপ। হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি আবারও হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠুন, কায়মনোবাক্যে তাঁর জন্য এই শুভকামনা।
...তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে....। মঙ্গল হোক সবার।]
এমনি করেই বিদায় যদি হয়,
হয় কি তবে থাকার কোন মানে?
নাই যদি কেউ বুঝলো কিছু কথা,
মূল্য কি আর রইল কোন খানে?
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের বুকে ভালোবাসার বোকাটে লাল পাতা
হেমন্তের আধখাওয়া রোদ, কিংবা এক একটা ঘূর্ণিপাক
বাস করে। তবু কোথায়ো পুড়ছে সংসার, তারো গভীরে জ্বলছে আগুনদাহ।
যতটুকু প্রাণ পুড়ে হয় অনির্বাণ শিখা, তারো বেশি
বিচিত্র বিন্যাস আমাকে আশ্রয় করেছে। আর, ক্রমাগত
শুদ্ধতার ধোঁয়া আমার আবেগের কন্ঠ ছুঁয়েছে
ভাটার মত পিছিয়ে পড়তে পড়তে জেনেছি- এর নাম গতি।
তীর থেকে, বিশুদ্ধ বালুকার বুক ছেড়ে
ভালো যদি বাসবেই কাউকে
তবে বাসতে কবিতাকে,
জানি, কবিকে জেনেছো অদ্ভুত জীব এক,
জেনেছো মোদোমাতাল, জেনেছো ভাবের হাটের ফকির,
জেনেছো কাছে গ্যালেই ক্যাপ্সটানের গন্ধ,
হয়তো গোসল খাওয়া কোনটাই হয়নি,
অথবা ঘুমিয়েছে আর্ট কলেজের বারান্দায় – এমন,
কিন্তু কবিতা তেমন নয়, কবিতা যেমন জানো
তারো চেয়ে গোছানো অনেক,
তোমার ড্রইংরুমে দামি কথা বলতে পারে
এমন সুশীল, নিমিষেই বলে দিতে পারে তোমার
[justify]দেখলাম সঙ্গীত মানুষকে কেমন মোহনীয় করে তুলতে পারে, দেখলাম একটি পাখি উড়ে গেল ডানা ঝাপটিয়ে-- আর ছড়িয়ে যেতে যেতে শুনিয়ে গেল কোনো এক অচিন দেশের গান-- ভুলভুলাইয়া।
এসব মোহগ্রস্ত দিনলিপি অন্যকেউ লিখে গেছে আগে, লিখে দূরে চলে গেছে একাকী--হাস্যলিপিকার। শুধু তার হর্ষধ্বনি ইতি-উতি লেগে আছে। দূরে সরে যাওয়া ভালো, রমণীর গভীর নাভীর মতো নির্জনে পড়ে থাকার চেয়ে দূরে সরে যাওয়া ঢের ভালো।
স্নায়ূতে শব্দশূল
হাড়ের মজ্জায় পথভ্রষ্টের ক্লান্তি
মট্! ভাঙে কোথাও কিছু একটা
নিমেষেই খুন
ঘরফেরা ভাবনা রক্তস্রোত-নদী
১।
আমি তো পথের মাঝে রথের শেকড় দেখি
বড় বেশি আগে থেকে ভেঙে আছে চাকা
বড় বেশি আগে থেকে স্রোত মুখস্থ বলে
জোয়ার ভাটাতে খুব অমিল দেখিনা
আসে যায় একই জল এক বিষখালি
কার বাড়ি কার খড়
কে রেখেছে নিরুদ্দেশ গ্রামটির নাম
বয়স তো তাতে কিছু যোগ করে না!
২।
খুলিনা পুরান পৃষ্ঠা
পুরান কথার ভাঁজে আটকে গেছে
সামাজিক তত্ত্বহীন পতংগ হৃদয়।
৩।
আগুন নিভেছে বলেই স্ফুলিংগ ভুলে যাওয়া যায়?
৪।