গোপনীয়তা ধরে রাখতে পারে কতজন, কতজন থেকে যেতে পারে গোপনীয়তার কাছে গোপনীয়! গোপন থেকে দেখেছি মানুষের আড়ম্বর বড় বেশি!
প্রতিষ্ঠা নয়, প্রশান্তি চাই, চাই জীবনের আস্বাদ প্রতিটি মুহূর্তে। সাধারণ মানুষ দেখেছি শুধুমাত্র চোখে খিদে নিয়ে খায়না কখনো একনলা ভাত। বেঁচে থাকা হোক মনের তাগিদে প্রশস্ত জীবন কাটানো।
প্রস্ফুটিত ফুলের মতোন কথারও বিভিন্ন রং আছে
কখনও গোলাপী, কখনও জবাকুসুম, কখনও হাসনাহেনা
নিখাদ ভালোবাসায় ফুটে থাকে ফুল হৃদয়ের আঙিনায়
ফুরফুরে মৌ সহসা খুলে দেয় মনের জানালা।
চুপিচুপি এসে যেদিন হঠাৎ বললে- ভালোবাসি তোমায়
বুকের বাগান ভরে গেলো সুবাসিত ফুলে ফুলে
সুনীল আকাশ মেলে দিলো উদার দিগন্ত
আরেকটি বিকেলের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলো
ধূপছায়া অহংকার আমার সময়।
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ
ঘুমের ভিতর কিংবা বাইরে আঁধার কেবল--
মেয়ে কি তুই আমার ধ্রুবতারা হবি?
তোর নিশানায় অমরাবতীর পথে যেতাম!!
সন্ধ্যার চোখে চেয়ে দেখি জেগে যায় সন্ধ্যামণি।
মানুষের এতো ভিড় থাকে! এতোখানি ভিড় নিয়ে এতোসব পথ হাঁটে, বেঁচে থাকে একজন মানুষ!
বাক্যের ভিড়ে ভিড়ে বেড়ে যায় আমাদের সারাংশ জীবন! আমরা কত কথা বলে যাই, কতভাবে বুঝে নিতে চাই একে অপরের নীরবতা যতো; স্তব্ধতার কাছে এলে পরে জানা যায় নীরবতা পাঠে কতখানি নীরবতা ছিলো;
একটু থেকো একলা ক্ষণের পাশটি ঘেঁষে
রুগ্ন দিনের হলুদ পুঁজের বিকট ক্ষতে
সিরোসিসের কীট মেতে রয় মহোৎসবে
আমার সময় চিতার মতই হিংস্র কালো
তোমার ছোঁয়ায় শুদ্ধ না হোক তপ্ত হবে।
শেষ রাতের ট্রেনটিতেই ঠিক ফিরবো আমি।
কোন অপেক্ষায় থেকোনা। অপেক্ষার প্রহরের
রিক্ততা আমি ভালভাবেই জানি। আমন্ত্রনটি
ছিল বসন্তের কাঠবিড়ালিটার।তার সখ্যতায়
ঝাড় লেজ, অভ্যর্থনার বাধায় শুধু শীতটি।
তোমার দোরে ফিরছে দূরের গাড়ির ঘোড়া
তোমার বাবা ঘোড়ার পায়ে পরাচ্ছে নাল
একটু দূরে জ্বলছে আগুন, কয়লা কালো
দেখছে তোমায়, পুড়ছে, জ্বলে হচ্ছে সে লাল
তোমার কুটির খুঁজছে দূরের অন্ধ নদী
চাইছে বুঝি বাঁকের হদিশ তোমার কাছে
একটু দূরে চুপটি ঝোলে একলা বাদুড়
তোমার পোষা অন্ধকারে হিজল গাছে
কিছু বুঝি না— চোখ কেন যে এত দূরে তাকায়
আর্তচোখ জানে! স্ট্যাচুর মত দাঁড়িয়েছে পাহারা
স্পর্শহাত প্রায়শ আশ্রয় খুঁজে না-লেখা কবিতায়
বাসস্টপ, শ্মশান, কিছু গাছ-গাছালির শব্দ ছাড়া
চোখে পড়ে শুধু কৃত্তিম ফুলেরটব, উঁচা-উঁচা দালান
সিটিপার্ক, মাঠ, শপিংমল, নাইটক্লাবগুলো দৃষ্টিনন্দন
বয়সের চোখে কেন যে এত চাহিদা, বুঝতে পারি না
চোখের চাহিদাও নিকটে আসে না অ-পরিচিত হলে
একটি নামের পাশে আর একটি নাম লিখবার
কোনো তাড়া নেই
আচ্ছন্ন রাতের পাশে মুখর দিনের অসঙ্গতি
লিখে রাখবার কোনো তাড়া নেই
লেকশোরে সন্ধ্যায় বাদামী গাছের গায়ে ডুবে গেছে
জীবনপিয়াসী যেই চাঁদ
তার জন্যে দীর্ঘশ্বাস না রাখাই ভালো
নাম লিখবার হলে লিখে ফেল দোয়াতে কলমে,
কালো কিংবা লাল, কি আসে, কি যাবে-
নাম লেখ তালপাতা শ্লেটে পেন্সিলে।
মুখোশ লুকাতে কেন চাও
মুখোশ তো স্বস্তিকর আসল মুখের চেয়ে
পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গিনি। সে দেশেরই প্রখ্যাত নাট্যকার এবং কবি আহমেদ তিদ্জানি সিসে। ফরাসীতে লিখিত এখানে অনূদিত কবিতাটির নামMonsieur Robert, pollen et pleurs কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
রবার্ট সাহেব