Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কবিতা

আবর্তন

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ৩০/১০/২০১১ - ৮:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধান কাটা হয়ে গেছে শেষ―
বিরান ধানের ক্ষেতে
টুথব্রাশের গুচ্ছ গুচ্ছ ব্রিসলের মতো আটকে আছে
কবন্ধ নাড়ার অবশেষ;


পিকনিকে

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: শনি, ২৯/১০/২০১১ - ১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পিকনিক ব্যাপারটা বেশ ঝক্কির,
বাস ঠিক করো, জায়গা ঠিক করো, মেন্যু, বাবুর্চি, রাফেল ড্র –
তারপরো আছে নানান হ্যাপা, এই ধরো ক্যামেরা, চাঁদা, মেয়েদের বাথ্রুম ইত্যাদি।

ড্রাইভার যদি রাতে খ্যাপ দ্যায় তো পাশে জেগে থাকো,
ডিমটা ঠান্ডা ক্যানো চেঁচিয়ে বলে কেউ একজন,
একটা হাসি দিয়ে তাকে ঠান্ডা করো, সে যখন বউয়ের আঁচল ধরে
ফেরার বাসে উঠে যাবে তুমি জানো তখন তুমি ডেক তুলবে বাসের ছাদে।


নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখেছি - ০৩ (নবান্ন)

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১০/২০১১ - ১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখেছি . . (সনাতন)

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২২/১০/২০১১ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রস্তাবনা

একফোঁটা দিয়েছিলাম শিরোনাম শেষে অবারিত বিষ - একফোঁটা নিয়েছিলাম শ্বাস - একফোঁটা ইতিহাস, অস্ফুট পাপ! আজ এসো ঝাড়বাতি সরিয়ে ফিরিয়ে আনি - ফিরিয়ে আনি লন্ঠনে লন্ঠনে জাগা বেহুতাশ চলে যাওয়া অভিমানী-ছায়াময়-স্থিরতা - সনাতন নাম তার সনাতন ---


পশ্চিম আফ্রিকার কবিতা-১

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/১০/২০১১ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পশ্চিম আফ্রিকার অনেকগুলি দেশই এই কিছুদিন আগ পর্যন্ত ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। দেশগুলির সরকারী ভাষা ফরাসী। ফলতঃ এ অঞ্চলটির সমৃদ্ধ সাহিত্যগুলো রচিত হয়েছে ফরাসী ভাষাতেই। কোত দিভোয়ার বানিজ্যিক রাজধানী আবিদজান থেকে কয়েকদিন আগে আফ্রিকান কবিতার একটি সংকলন কিনি। সেখান থেকে কিছু কবিতা চেষ্টা করব মাঝে মাঝে অনুবাদ করতে। ক্যামেরুনের কবি রনে ফিলম্ব( ১৯৩০-২০০১)-এর বিখ্যাত কবিতা L'homme qui te ressemble সচলের কবিতা অনুরাগী পাঠকদের জন্য চেষ্টা করেছি অনুবাদ করতে।


শিরোনাম নেই

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/১০/২০১১ - ৭:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেউ জানেনা আমি খুঁজে পেয়ে গেছি
চকচকে সোনালী ঈভের আপেল,
নীল ধুঁপের গন্ধ হৃদয়ে ভরে
আরো চকচকে কোন রূপালী ছুরির অপেক্ষায়,
আজীবন কাটিয়ে বনেদী সিন্দুকে
অতীতের গহন থেকে বর্তমানে
বোরাকের মতো লাফিয়ে উঠেছে -
সোনালী চকচকে আপেল সে এক।

আমার সোনালী আপেল
আমারো চেয়ে বেশী ভালোবাসে বুঝি
ঘাতক ছুরির সহিংস চুম্বন,
রক্তপাত নিশ্চিত জেনেও কেন তার কোন ভয় নেই
জিঘাংসায়? আহ, জানে সে


ছায়াস্বপ্ন

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/১০/২০১১ - ৪:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুনরায় ফেরার আগে কি এমন
ছোট্ট-ছোট্ট কথা বলার থাকে যে
তোমাকে বারবার বলতে ইচ্ছে করে
অর্ধেক হৃদয়!
হিয়ার ভেতর আমাকেও জাগাও কান্নায়
হারানো দিনে পুরনো কথাও সন্দেহ জাগায়

পথে ঘুরিফিরি সহস্র মুখ ভালো লাগে ছায়ায়
পুনরায় ফেরার আগে তুমি বলো—
সব ছায়া কি আর একসাথে ভালোবাসা যায়?


নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখেছি .

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/১০/২০১১ - ৩:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তুমি কিংবা তোমাকে লেখার চাইতে বরং এইসব কথা - নিজস্ব কথোপকথন নিজস্বতার সাথে। নিজস্বতায় নিজেকে মেলানোর চাইতে বরং তুমি নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখো - আমাদের অনন্যতর নিজস্বতা অনন্য কোন অভিন্নতা খুঁজে পেলো কিনা ----


কী এক সার্কাস!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ১০:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কী এক সার্কাস!
লিখি প্রেম, ঠোট থেকে খসে নগ্ন বিষফল উত্তাপ
পিছল দেহ ছুয়ে পৃথুলা প্রিয়তীর সবুজ নিঃশ্বাস
ঘুমের সুতো খসে অধোমুখ, মাংসল লকলকে চাকু
রাতের বরণকুলো উষ্ঞ পালক গোজে অন্ধ আয়নার ভেতর।

নিরীহ রোদ্দুরে হাঁটে ফিকে রং পাতাদের সবুজ বিকেল
পাতার সবুজ রক্ত চাটতে চাটতে মানুষ হাঁটে নামি
মানুষ! শান্তির ফেরীওলা! শান্তি ফেরী করে
হাতের তালুতে ছেলে ভুলানো লাটিম কোমল রোদ্দুর ছিড়ে খায়।


নামহীন - তিন

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৬/১০/২০১১ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
দেখেছি পাখীর ডানা আসলে ততটা কোমল নয়
আসলে ততটা কোমল নয় জলবতি নদী
কিংবা একটি রজনীগন্ধার আদ্যোপান্ত শরীর;
আমাদের অনুভূতির মত কোমল আর কোন কিছু নেই!
------------- ১৫.১০.২০১১ বরিশাল

২.
সব কথা যায়না বলা, এমনকি সব অনুভূতিও প্রকাশ করা যায়না!
বন্ধু, এতদূর শুনে ফেলো আর এত গভীরে দেখো বলে
তোমার শূণ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে যায় -
অসহ্য বিলাস!