Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কবিতা

[ কবিতার অপমৃত্যু ]

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতি রাতে একটি করে কবিতা আত্মহত্যা করে আমার বারান্দায় ।
আমার ভাবনা গুলোকে যখন আমি
কবিতার খাতায় বন্দী করতে পারিনা,
তখন ভাবনাগুলো আমার অজান্তে
সুসজ্জিত হয়ে কবিতায় রুপ নেয় ।
তারপর আমার বারান্দায় ফুলগাছটির ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করে ।

আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি,
কবিতার মৃতদেহ পড়ে আছে আমার বারান্দায় ।
বিকৃত অবস্থায় ।

সে কবিতার চেহারা আমি মনে করতে পারিনা


নীরবতা পাঠ

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ তোমাকে নির্লিপ্ত চাঁদ হাতে রাত্রি আনতে বলিনি
কালো তিলখানি আয়না হোক বিবিধ নকশার
দৃশ্যপাট পালটে গেছে-আবার বলছি
শিউলি তুষার ফেলে চলে গেছে সকালের ট্রেন,
ঝাউবনে দোলনা ছিলনা বলে অভিমান স্থির থেকেছে
এইবার আর চোখ থেকে তন্দ্রা মুছিনি
শীতের বাতাসে বরং লিখেছি
জলোচ্ছ্বাস

দৃশ্যপাট উলটে গেলে, দেখ
বনবেড়ালের ঠোঁটে
রক্তের বদলে লেগে থাকে সবুজ শান্তি!


অদ্বৈত!

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১১/০৯/২০১১ - ১০:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হতবাক জারুল পেয়েছে তৃষিত ঝিনুকের দেখা, সম্প্রদান বাকি -
প্রথমের যথাভাব, দ্বিতীয়ার প্রণতি স্বভাব - উপমায় এলো-কি!
যতটুকু বলা হলো, দ্যোতনা প্রকাশ পেলও সশব্দ অক্ষরে -
তাতে কার কতখানি, হয়ে গেলো জানাজানি, কবিতার হাত ধরে!

গেলো-কি জানা, দু’জনার কোথায় ঠিকানা অথচ দূরত্ব অতিক্রান্ত,
হলোকি খোঁজা- কতদূর জানাবোঝা, খুলেছে নিজস্ব সীমান্ত;
তারপর নীরবতা, বলে গেছে যতকথা, তার বেশি দিয়েছে শ্বাস-


আমার জীবন ক্যানভাসে

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৯/২০১১ - ৬:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অসাবধানে যেই না ছুঁলো আমায় তোমার আংগুলে,
কে যে আমায় খাইয়ে দিলো চরম নেশার ভাং গুলে।

প্রেম জগতের আংগিনাতে ছিলাম বড়ো নিঃস্ব রে,
কোন পূণ্যে তোমায় দিলেন মিলিয়ে আমায় ঈশ্বরে।

হৃদয় আমার একটি কথা বলছে প্রতি নিঃশ্বাসে,
এই জীবনের, এই শরীরের, এই আত্মার হিস্যা সে।

বাতাস যখন জমায় খেলা তোমার কালো কুন্তলে,
আমার সকল হৃদয় জুড়ে প্রেম রাগিণীর ধুন তোলে।

তোমার ঠোঁটের কূল ভাংগলে আনন্দে কি উচ্ছ্বাসে


পাতার অন্ধকার

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৯/২০১১ - ৪:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অন্ধকার এসে বসেছে পাতায়, মনে হলো অভিমান,
খানিক আগে সংসারে দেখেছি। ঢেকে যাবে রাত ধীরে
এই গাঢ় সবুজ, ধুয়ে দেবে শিশির। তার আগেই পাতাগুলো
মাথা ঝাকিয়ে বলল তপ্ত-ধরণী, পথিকও ক্লান্ত বুঝি ; এতদিন

পর মনে পড়লো? যেমন বলেন এই অর্ধেক সংসারের- অধিষ্ঠাত্রী,
অন্ধকার করে মুখ। কে কতটুকু পারে, কাকে কতটুকু দেওয়া যায়?
মহাক্ষুদ্রসময়! আসলে আমি বলতে এসেছিলাম- হে ধরিত্রী নিষিক্ত হও।

....


মাটির মানুষ/ অধঃপতন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৯/২০১১ - ৮:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাটির মানুষ
শুনেছি কবিতার শব্দের মতো পাতারাও মহৎ
তাদের সর্পিল ক্ষুধা নেই,
এমনকি জিরাফাকৃতি ক্লান্তিও নেই
তারা ভ্যাম্পায়ারের মতো রক্তপানও করেন না
কিংবা কারো মুন্ডু চিবিয়ে পরম উল্লাসেও মেতে উঠেন না রাক্ষসের মতো।

আমরা পাতা নই
হিংস্র নখরের দলা অলৌকিক মাটির মানুষ
আমাদের অসীম ক্লান্তি
নখর সবল রাখতে সকাল বিকাল পাতাদের রক্ত চাটতে হয়
আমাদের ক্ষুধাও অনেক,


অন্যমুখ

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৯/২০১১ - ৭:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবী তোমার প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি
সমুদ্রের কান্নাও তাই শোননি ভেতরঘরে
ঈশ্বরের অভিশাপ অমাবশ্যায় হারিয়ে যেতে গিয়ে
আটকেছিলো শিশিরের বিন্দুতে
তাকে তুমি সেইখানে দেখে আশ্চর্য-চিনেছিলে
দৃশ্যের অন্তরালে সে তোমাকে নিয়েছে পর্বান্তরে
যখনই খুঁজেছো বাতিঘর, ;যখন
হাতের তালুতে নেচেছে অহংকার
এক মুহূর্ত থেমেই
স্মৃতির পরীক্ষায় তুমি হেরে যেতে থাকো, হেরে যাবে।

কোনকিছু নয়, কোনকিছু নেই


বিষণ্নতা বিষয়ক

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: বুধ, ০৭/০৯/২০১১ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিষণ্ণতার শহরে এসে
হ্যামিলনের মনে হলো একবার বাজালেই বাঁশি
বিষণ্নতা সব ঝাঁপ দেবে নদীতে,
মনে হলো নতুন এক সুর তুললেই
এক লহমায় শহরে চমকাবে আনন্দের কিংখাব।

হ্যামিলন, বিষণ্নতা কোন শৌখিন আলোয়ান নয়,
যে ছুড়ে ফেলে দেয়া যায়,
বিষণ্নতা আমাদের শখ বা রোগ নয়,
বিষণ্নতা আমাদের সহচর, নিত্য প্রেম,
বিষণ্নতা আমরা আমাদের বুকে পুষি,
চোখে পুষি, পুষি আমাদের স্বপ্নে।

আমাদের মানিব্যাগ খুলে দ্যাখো,


মতিহার

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৯/২০১১ - ৪:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এটা বরেন্দ্র ভূমি, প্রাচীন ইতিহাস।
আর এই বুঝি বেদম মতিহার ঃ এক
দঙ্গল পা, সবুজ গালিচা বেছানো চত্বর
হেঁটে আসছে, আমিন হাদী নূরুল দীনু বুলবুল।
শিশির মাড়িয়ে আসছে, মুক্তি মিতা লীনা বেবী বেলা
আর মুন। আমাদের পলাতকা যৌবন। সকালের স্বর্ণময়
সূর্য কিরণ উদ্ভাসিত করছে এই তারুণ্যের শহর, ধীরে
ধীরে জাগ্রত হচ্ছে এক আমলকী বয়স। খুলে গেছে রবীন্দ্র
কলাভবন, নজরুল উৎসব মঞ্চ আর সব বিদ্যানিকেতনীর


চোখ তাঁর চোরাবালি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৯/২০১১ - ১২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কপালে সে পরেছিল ভোরের সূর্যের মতো লাল টিপ