জল-মাটির গন্ধে সবজি তরতাজা থাকে
তুমি হাসলে সবজি বাজারে আগুন চড়ে
তারপর ক্রেতারা কিনে থলিতে ভরে
রান্নাঘরে দা-বাটির তলে হাত-পা
কেটে জবাই, খাবার টেবিলে গৃহিনীর
তেলে ভাজা কড়াই, এ টুকুই চাই...
রাত আর বিভ্রমের গল্প করতে আর ভাল লাগে না,
যদিও আমি আদ্যপান্ত এক বিভ্রান্ত মানুষ!!
আজ আমি তোমাদের মত নিশ্চিত স্বরে কথা বলব,
আমার গল্পে প্রাকাশিত হবে তৈজস পত্রের স্বপ্ন।
আমিও আবাদী হব,
দেহ কিংবা জমি কর্ষিত হবে অবিরত।
কোন এক নবান্নে উৎসব হবে, শিশূদের কোলাহলে ভরবে উঠান।
ঘরের দাওয়ায় বসে, সুখি সুখি মানুষের মত সংসার অভিনয়ে মত্ত হব আমি,,
সংসার জানুক আমিও পারি!!!
অতঃপর পূর্ণিমা আসে,,
সইকত থেকে বহুপথ হেটে
আমাদের বিষন্নতার শহরে আজ সমুদ্র এসেছিলো -
এসেছিলো লবনাক্ত বাতাস,
ঝিনুকের গায়ে মুক্ত-বালির স্বাদ,
আর ঝাউপাতার র্দীঘশ্বাস,
আমাদের বিষন্নতার শহরে আজ সমুদ্র এসেছিলো।
হে আমার বিষন্ন শহর,
তুমি কি জানো
প্রতিটি ঢেউই তটরেখায় রেখে যায় নিজস্ব চিহ্ন সব,
প্রতিটি তরংগ চুমু খায় হৃদয় মৃত্তিকার,
আনে যতো জলজ যাপনের স্মৃতি,
প্রতিশ্রুতি দেয় সায়ন্তনি সূর্যস্পর্শের,
একটা যুদ্ধের নিশান দিয়ে ঘরমোছার কাজে হাত লাগানোর পর
আমি এবং অন্য অনেকে
পৃথিবীটাকে দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যেতে দেখেছি।
অনেক গর্ভবতী তাদের গর্ভের সন্তানটির যোদ্ধৃবেশ কল্পনা করে
শিউরে উঠে এবং মসজিদে মাজারে মোমবাতি দেয়ার হিড়িক পড়ে যায়।
বীর্যবান পুরুষ যারা,
জুয়োর আসরে হাত পাকাচ্ছে তারা।
আধ খাওয়া সিগারেটের শ্বাস টেনে নিতে নিতে ভবঘুরের দল
এক অলৌকিক ধর্ষণের স্বপ্ন দেখে,
ঘন নরম ঘাসের চারিদিকে গাছের সংসার
তৈরি করে দৃশ্য, ভোরের ফেনায় ভেজা রোদ্দুর
মেঘেরা স্নান করে কালো চুলের বিছানো পথে
সূর্যকে কাছাকাছি টেনে এনে বন্দী করে প্রেম
তরুণ ফলের চোখে ধরা দেয় উষ্ণ অক্ষর ...
কাজ আর ঘরের ব্যবধান ঠিক পাঁচ মিনিট
ঠিক সাড়ে তিন মিনিটে একটি সিগ্রেট পুড়ে
ফেলা যায়; অথচ যে পথ দিয়ে প্রতিদিন ঘরে
ফিরি; পথের ধুলো পা জড়িয়ে-প্যাঁচিয়ে থাকে
ধুলোর ঘ্রাণে ভরে উঠে ড্রয়িংরুম, চায়ের কাপ
শাদাজামার ভাঁজে লেগে থাকে ছাইপোড়া ঘ্রাণ
হ্যাপি বার্থডে সবুজ পাতা
১
চোখ থেকে ঝরছিল শিশির…..
মাতৃ জরায়ু হতে নামহীন সবুজ পাতা ।
প্রথমে আমরাই তাদের ডাকলাম
কাউকে কেনারাম
কাউকে খেলারাম
কাউকে ভোলারাম বলে
ভালো থাকা কোন অলৌকিক আশ্চর্য বিষয় নয়,
বড় হতে হতে আদিগন্ত সকলেই জেনে যায় কিভাবে ভালো থাকতে হয়,
আমিও এখন ভালো থাকি।
এই যে দেখছো ফিনফিনে ফতুয়া,
এক কিশোরী দিয়ে বলেছিলো, ভালো থেকো;
অথবা এই যে চোখে রোদচশমা- কালো,
এক তরুণী দিয়ে বলেছিলো, কষ্ট পেওনা, ভালো থেকো;
আর এই যে দেখছো ক্যামন উদ্ধত মোরগের মতো হেঁটে চলেছি,
এক নারী বলেছিলো, কখনো মাথা নত করোনা, ভালো থাকবে।
আমার এখন বৃষ্টিও আর ভাল্লাগে না
গ্রীষ্মরাতে ঝুম বৃষ্টি মন টানেনা
তোমার আশায় অষ্টপ্রহর কষ্ট পেতে ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না।
তোমার স্মৃতি অষ্টপ্রহর আমায় কেন জাগিয়ে রাখে?
আটপৌরে দুপুর-বিকাল বিষণ্ণতায় ভরিয়ে রাখে,
তোমার মত গন্ধগুলো কষ্টপ্রহর বানিয়ে রাখে।
বৃষ্টি এলেই জমাট বাঁধা কষ্টগুলো কাদার মত নরম হয়ে -
আবার শুকায়, জমাট বাঁধে আবার যখন, অন্য কোন আকৃতি পায়।
আমার পিতা -
একজন মৃত্যুপ্রিয় মানুষ ছিলেন।
তিনি তাঁর মৃত্যুকে আকাঙ্খা করতেন -
হারিয়ে যাওয়া, কোন এক প্রেমিকার মতো।
কিন্তু যেদিন,
তিনি তাঁর প্রেয়সীর সাথে মিলিত হলেন -
আমার বুকের ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গেলো।
আমার পিতা -
একজন স্বতঃস্ফূর্ত মানুষ ছিলেন।
তিনি সমবেত মানুষ পছন্দ করতেন,
কোলাহলে নিজেকে মুখর রাখতে সক্ষম ছিলেন।
অথচ যেদিন আমাদের আঙিনায়