তুমি পুষ্পিত-পূজিত পুষ্পাভরণ
তুমি ঈশ্বরের সুন্দরী
কবি বা সন্ন্যাসীর ঘর লাগবে না ভাল তোমার
তাই লিখিত রেখেছি আগেই
কিছু শিশিরের পংক্তি, মুখ ধুয়ে দিতে তোমার
কেননা শিশিরে স্নাত হয়ে পুষ্প ফোটে
সতেজ-শুভ্র হয়ে ওঠে ফুলের সৌন্দর্য
বাতাস আর রোদ, আগেই কথা হয়ে আছে
ঝিরিঝিরি ছায়ার পাতায়
এঁকে দেবে তারা, তোমার মুখের আল্পনা
আর হৃদয়ে এখন আমার তাজা মেহেদির সুগন্ধ
তুমিঃ রাত ফুরুতেই স্বপ্নটা ভেংগে গেল, জানালার পাশে এসে দাড়ালো ভোর।
আমিঃ রাত হচ্ছে আমার স্বপ্নসংগীনি, রাতের সাথেই আমার জেগে থাকা।
তুমিঃ কাল ভোরে শিশির এর উপর যখন হাঁটতে ছিলাম, তুমি আমায় এমন করে জড়িয়ে ছিলে কেন?
আমিঃ এখানে ঝিঁঝি পোকার অত্যাচার নেই, আমার কথাগুলু অদ্ভূত নিরবতায় হারিয়ে যায়।
মাঝে মাঝে নানারকম ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খায়, কিন্তু ভাবনাগুলোর ঠিক আগা মাথা পাই না। মাঝে মাঝে ভাবনাগুলো লিখে ফেলতে ইচ্ছে করে, কিন্তু আমার ভাবনাগুলোকে ধরার মত ভাষা ঠিক খুজে পাই না। লেখালেখিতে আমার বিস্তর দূরবলতা আছে, কিন্তু ভাবাভাবি তো বিরাম মানে না, আর এই লেখার দূরবলতার জন্যে অনেক এলোমেলো ভাবনা হারিয়ে যাচ্ছে। তাতে কারও কোন ক্ষতি হয়ত হচ্ছে না, কিন্তু মাঝে মাঝে কি আর নিজের এলোমেলো ভাবনাগুলোকে জমিয়
নিশিকবি অদ্য
ভাবিতেছে সদ্য।
তৈরীতো হয়নি
কবিতার বয়নি।
তবুও ভাবখানা
আল্লাদে আটখানা।
কলমের নিবখানি
ভাবে রাজরাণি।
করিবে প্রসব
কাব্যের রসদ।
সাহস হয় না তবুও বলি— তোকে বন্ধু ভাবলেই
ভোগদৃশ্যের ভেতর জেগে ওঠে এক চোখের জরা
গোপনে অন্য চোখের সমর্পণ, আহা টাঙানো নিয়ম
শূন্যদিনে খুব কাছে জেগে ওঠা সর্বপরিচিত ঋণসহ
বিবশ-করা দেহের পুরনো বিশ্বাস
চোখের স্বভাবে চারপাশ ঘুমিয়ে পড়ে মধ্যরাতের আগে
অনিচ্ছাগুলো অন্ধঘরে ক্রমশ ধ্বস্ত করে শিয়রে দাঁড়ায়
আমি কেবল লুকিয়ে রাখছি ভাবঘুম, মাদুলীশব্দ আর
তুমি তো চেয়েছিলে একমুঠো ঘুম
ও একটি আস্ত জ্যোৎস্না রেখে যাবে
কোন মৃত সাদা কাগজে নয়
..................হয়ত কোন এক ফুটন্ত পদ্ম পাতায়
গুলিয়ে নিয়ে এক আলতো আকাশ
বৃষ্টির রঙে ভেজা তোমার স্মৃতির শিরায়।
অথচ সূর্য ডুবন্ত
তোমার চোখে কোন নির্দিষ্ট কথা নেই
শুধু মিথ্যের দশ পিপড়ে
বাঘবন্দী প্রেম খেলছে জীবন নামের কাগজের নৌকায়।
কলমের ডগা দিয়ে ছলোচ্ছল যোনীভাঙা রক্তের উচ্ছ্বাস
ধুয়ে নিচ্ছে কামের কলঙ্ক
কালামের ঠোট বেয়ে চুঁয়ে পড়ছিলো মদ
মদের গন্ধ, ভুড়ভুড়ে গন্ধ, ফুরফুরে মন নিয়ে
মদ
যেনো কৈলাসের জল, বলছিলো নেপাল ফেরত সগির
আর আমাদের পরিচিত বাতাসেরা, আহা, তাহাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল
মুমুর চুলে দোল খেয়ে
ধরা পড়লো দশদিন জেল খাটা কালামের চোখে
বনদীপ
পাখিগুলো ডেকে উঠে হঠাৎ সান্ধ্যরাগে,
আর কাউকে কী খুঁজতে হবে ?
দূরতম অতীতে কোন অধ্যয়ের উপমা খুঁজতে,
স্মৃতির পথ জুড়ে প্রদীপের খোঁজে খোঁজে
আমি বনভূমির ভেতর দিয়ে হেটে যাচ্ছি একা ...
এই পথটাই কী ঐ কথাগুলোর সাকার চেহারা ?
বনভূমির বিশালবৃক্ষ সূর্যের আলোকেও আটকে রাখতে চায়
তবুও কিছু আলো ঠিক্রে এসে পড়ে বনের গভীরে।
রাতের শয্যাটা সাজাত যে মোমের শিখা জ্বেলে ...
ধারণা থেকে বানিয়ে নিচ্ছো ব্যথা; ধন্দযত চিন্তা পোষাক
ব্যথার ভার শরীর থেকে মনে হয় আরো তিনহাত অধিক
এই ধরো, প্রতিদিন আমি হাঁটছি কেবল নিজ ছায়া মেপে
এই যে ওনারা, মানে আমার ছায়ারা কেন দ্বিধায় থাকেন?
সবই দেখি; কত ইচ্ছাই-না দূর থেকে তোতলান দৈনন্দিন
তাকিয়ে দেখো, ব্যবধান অপ্রত্যাশিত হলেও আমি ঝুলে আছি
একটু বেশি আশা করে ডুবুসন্ধ্যায় চিবুকে টেনে রাখছি আরো
১
মুখ ও মনের মাঝে থাকে
ব্যস্ত অনুপাত
জেনেও আমি তোমার ভাল-
বাসায় হলাম কাৎ!