নাকফুল
এখনো সবুজ রয়ে গেছে
ব্যক্ত হয়ে উঠেনি,
মিহিদানার মতো বুটি বুটি
কুঁড়ির এই সুপ্তরঙগুলো দিয়ে
ঈষদ বাঁকানো তোমার ভ্রূলতার কোমলে
আপাতত আল্পনা আঁকা চলে ...
চেরীফলের সবুজগুটিগুলো
সূর্যের দিকে মুখ করে আছে,
রঙ ধরবে একদিন ওদের শরীরে ?
গোপনে গোপনে সেই কাজগুলোই চলছে :
লাল-টকটকে, নীল-জবজবে হবে ওরা।
জানোই-তো মেয়ে, বসন্তের প্রভাবে
কৃষ্ণ আসে শরীর আর মনে!
তোমার নাসিকার জন্য এখনো
অশ্রুত কথার ছলে চেনা সুরে ক্ষণে ক্ষণে বেজে উঠো তুমি
হানা দাও, খুন করো, মৌনতা চিরে ফেলো নখের আঁচড়ে
রাজর্ষি রাতের জ্বরে পুড়ে যাই রুদ্ধবাক ঘোরের ভিতরে
একটু পাবো কি রেহাই ডুবে গেলে সবটুকু পাললিক ভূমি?
জলবতী মেঘে মেঘে গুণীর মন্ত্রের মতো মাতাল সিম্ফনি
নেব না নেব না আমি নেবুগন্ধী নির্জলা সন্ন্যাসী দিন
বেজে যদি যায় যাক অবিরত শূন্য হাত বিষণ্ণ ভায়োলিন
স্তদ্ধ নিঝুম কোন একখানে সরব মানুষেরা ছিলো,
ছিলাম এই আমি।
জীবনের কোন কথা হয়নি,
এলোমেলো কথাগুলো পায়নি প্রান।
চোখে নেমে আসছে অলসতা, পৃথিবী বড় উদাস তখন।
সে দুপুরে মনে হয়েছিলো -
পৃথিবীতে নির্জন পরিসর কোথাও নেই;
নির্জনতা বাস করে মানুষের ভেতর।
সেই নির্জনতায় কোলাহল নেই, আলোড়ন আছে,
কৃত্রিমতা নেই, স্বাভাবিকতা আছে।
একাকী সেই নির্জনখানে যেক্ষণে আসবো আমি
সেক্ষণেই শুধুমাত্র আমি আমার,
তোমার খুব প্রিয় তিনটি শব্দ বল...।।
- বৃষ্টি ,
একাকীত্ব
আর নীরবতা ।
আজও তোমার কথায় একটা উদাসী ভাব !
আচ্ছা ,তোমার কি স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগেনা??
-না ।
একসময় লাগতো,
যখন লাল-নীল,সাদা-কালো অনেক স্বপ্ন দেখতাম ।
একদিন হঠাৎ করে কেঁদে কেঁদে ,স্বপ্ন গুলি কোথায় যেন হারিয়ে গেল ।
আমি ওদের আর খুঁজে পাইনি ।
ওরা কেন জানি ,কোথায় জানিনা, হারিয়ে গেল ।
সচলায়তনের পাতায় অনেক কবিতা দেখি, কবিতার প্রশংসা দেখি। কিন্তু বিধাতা আমায় সে রসবোধ দেননি কবিতার রস আস্বাদন করার মত। আমার মত যাদের মেট্রিক বাংলা পরীক্ষার খাতায় কবিতার মূলভাব লিখ প্রশ্নের উত্তরে চোখ বুজে মুখস্ত উগড়ে দেয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না, তাদের কাব্য-প্রতিভাকে উৎসাহিত, উদযাপিত করার জন্য এই পোস্ট। মডুরা যদি ছাড়পত্র দেয় তবে আপনিও এর রস আস্বাদন করুন- রস-যোগ করুন। আর সচলের শ্রদ্ধেয় শক্তিমান
তোমাদের ব্যালকনীটা-
রোজ ভেসে যায় রোদে..
এক কোণে একলা বসে;
হয়তো হঠাৎ উচ্ছাসেতে,
উঠছো হেসে..
জানো কি?
হয়তো,
অন্য কোথাও..
তোমায় ভেবে;
রাঙিয়ে মন,
মন খারাপের রঙে..
আনমনা কেউ;
দেখছে হঠাৎ,
যায় জলে চোখ ভেসে..।।
বিষণ্ণ বাউন্ডুলে
দহন সমুদ্রের শেষে
এল মেয়েদের চুম্বনের মতো নরম বৃষ্টি
সে রাতে তুমি বললে চোখ বন্ধ কর
দগ্ধ চোখ দুটোকে আর খুজে পাইনি,
হৃদয়ের হলদে পান্ডুলিপিটা কেঁটে
কখন যে নিশিকুটুম স্বপ্ন বুনেছিল
এক মুঠো প্রেমের সৌরভে
অনুভূতির আঙুলও জানেনি।
এখন সূর্য চোখ খুললেও
আচমকা
জীবনকে রাত্রির মতো নিঝুম মনে হয়।
অথচ ঘুম খুজতে গিয়ে দেখি
ঘুম গুলো ডানা মেলে উড়ে গেছে
পাখি নয়
মনের পালকে নখ ডুবানো
ছাপা হলে, ফিসফাস -
এ কবিতার মেয়েটি কে জানো তো?
তুমিও জানতে সে কে,
বোধকরি বেশ খানিকটা গর্বও হয়েছিলো, বেশ
আধফোঁটা একখানা কবি পাওয়া গ্যাছে
আপত্তি নেই যার অনন্ত অপেক্ষায়
আমাদের দেখাও বড়ো অদ্ভুত
চৈত্র দুপুরে রক্তবর্ণ ওড়না উড়িয়ে তুমি এলে,
বললাম, তুমিতো বসন্ত নিয়ে এলে হে,
বলতে, আমি না এলে কোন বসন্তই আসবেনা।
ক্যামন চুয়ে পড়তো অহংকার সব
শিমুল ফুলের মতো রাঙা ঠোঁট বেয়ে ।
আকাশের কাছে শুধু যেতেই চেয়েছি, হে মুগ্ধতা
তুমি বিন্যাস করেছ নীল ছায়া
একচক্ষু চাঁদের আসরে শাদা মাধুরী ধরেছ
ভেঙেছি নদীর মত, এখনো তো ভাঙি
এখনো যে যেতে চাই
অর্থহীন নীলিমার,
অবোধ্য ঘোরের খুব কাছে।
ঠিকমত হাঁটতে শিখিনি, তবু
যেতেই চেয়েছি আমি
মোহ মুগ্ধতার কাছে-
ঠিকমত গাইতে জানিনা
কন্ঠনালী ছিঁড়ে তবু
জমাট রক্ত ওঠে, শব্দ যন্ত্রণায়!
অথচ, ব্যথা-, এত সহজে কি হয়!
[justify]আসলে সব দোষ আয়নামতির। তিনি কি মনে করে জাগে সকাল, হাঁকেনা হরকরা, আসেনা চিঠি! লিখলেন আর পুরোনো অনেক কথাগুলো মনে করিয়ে দিলেন। অনেক খেঁটেখুটে তিনি লিখেছেন, পড়লেই বোঝা যায়। খাটুনি কি আমরাও কম খেটেছি সেই স্কুলজীবন থেকে!