আর কত ফুল ফোঁটাবো পাথরে?
পাথর কি হবে না কভূ মৃত্তিকা?
যদি অনুভূতিহীন হয় নীলাম্বরী প্রেম!
শুন্যতা কি ছোঁবেনা তোমার হৃদয়?
যদি মেঘ হয়ে যায় আমার চোঁখের স্বপ্নটুকু
বৃষ্টি হয়ে ঝড়বে বলে তোমার বুকে
বুকের পাজর দুহাত দিয়ে করবে আড়াল?
রাখবে ঢেকে বৃষ্টিবিহীন পাথর হৃদয়?
ভালবাসা কি এমনই হয়?
এমন করেই ঝড়াতে হয় নয়নের জল?
এমন করেই কাঁদব আমি তোমার তরে?
আর তোমার জলে ভাসবে তুমি-
হৃদয়হীনার স্বপ্ন দেখে?
ঘর্মাক্ত দিনের শেষে গোলাপি বরণ বিকেল।
১/
মাথার ওপরে ছাদ, নিশ্চিন্ত সঙ্গম,
অভিমানকে এর মধ্যে ডেকোনা;
অভিমান উদ্বাস্তু হয়েছে অনিশ্চয়তার খোঁজে।
২/
অজ্ঞানতা ক্ষমার্হ
আঘাত কখনো শিল্পীত নয় জেনেছি এমন
বায়োস্কোপের হাট-বাজার নিমিষেই স্পষ্ট দেখা যায়
কেন দেখা যায়!
৩/
মাঝে মাঝে একা হওয়া ভালো
মাঝে মাঝে একা থাকা ভালো
মাঝে মাঝে প্রাচীন কর্ণের মত
একা পথে হাঁটা খুব ভালো
৪/
বর্ষার ভ্রুণে জন্মেছে যে নদী
আজ মনের উপর ভর করেছে অপ্রাকৃত জোস্ন্যা,
আজ হঠাৎ নিঃশব্দে ঝাঁপিয়ে পড়েছে স্মৃতির বাঘ,
বর্তমানের স্বাদ পেলে সে আর কি চায়?
আজ মনে হচ্ছে কতো হ্রস্ব ছিলো ঐ পথ,
হয়তো আরো কিছু ঘুরে গ্যালে দীর্ঘ হতো থাকা,
মনে হচ্ছে পথ কতো সহজেই সরল হতে পারে,
কতোটা বক্র পথ ঘুরে এলে রেখা সরল হয়,
পরিধিতে দাঁড়াবার আগে কেই বা তা জানতো?
আজ পুরোনো এলবামে
নিজেরই ছবি দেখে মনে হচ্ছে ক্যামন অচেনা,
কল্পনাগুলো হারিয়ে যায়
নিস্তব্ধ অন্ধকারে।
চার দেয়ালে ঘেরা বন্দী জীবন
অস্ফুট আর্তনাদগুলো
প্রতিধ্বনি হয়ে ভেসে বেড়ায়
অভিশপ্ত এ কারাগার।
প্রতিদিন লড়াই করে যাওয়া
নিঃশব্দ জীবনের অব্যক্ত অভিপ্রায়ের সাথে
ছোট্ট ঘরে একা বসে ভাবা
কিছু অসংলগ্ন ভাবনায়,
অথবা মিথ্যে অনুভূতির অণুরণন জাগানো
রাত-জাগা কথোপকথনে
খুঁজে যাওয়া সুখের হাতছানি...
এক মুঠো সুখের জন্য
নিশ্চুপ আর্তনাদ
নজরুল ইসলামের ই-বইয়ের প্রকল্প এবং নজমুল আলবাবের কবিতা প্রকল্প দুই প্রকল্পের জন্যই লেখা লিখব, এইরকম ভাবতেছি। ভাবতে ভাবতেই, ফেসবুক নোট হিসাবে লিখা পুরান দুইটা কবিতা(?) পত্রস্থ করলাম। পুরান জিনিস বিদায় করলেই না নতুন লিখা লিখতে সুবিধা ...
শিরোনাম:: 'ছিন্ন করে নিয়ে আসবে মৃত্যুসূর্য অগাধ!'
মনন:: বিমূর্ত।
লিখিত:: ২৩ মে ২০১১।
--- কবি মৃত্যুময়
কোন এক মৃত হলুদ পাতার ভিতর নি:শ্বাস শুনি তার
অন্তর্গত কোন মুমূর্ষু উপশিরা তখনও শেষ শব্দে উদ্যত-
রৌদ্রদগ্ধ আকাশ ছোঁবে আরেকবার করপুটে অবনত
সব দল আলোতে ভেসে যাবে অপার ক্ষুধায় আর
ছিন্ন করে নিয়ে আসবে মৃত্যুসূর্য অগাধ!
জোনাকিরা আলো জ্বালে,
টিমটিমে অপূর্ব শোভামণ্ডিত আলো,
বসন্তের শেষে বা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়।
স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ রহস্যময় দ্যুতি,
তার সহজাত সঙ্গী আহবান।
আমরাও আলো জ্বালি,
টিমটিমে চরম প্রত্যাশাময় আলো,
দিনের শুরুতে বা যখন দিনমণি অস্ত যায়।
প্যান্ডোরার বাক্সবন্দী আশারূপ অদৃশ্যমান শিখা,
আমাদের সহজাত অস্তিত্বের আবেদন।।
___________________________________________________________________
মুখোমুখি একজোড়া মানব-মানবী,
সামনে ধূমায়িত কফির কাপ।
বাইরে অঝোর বৃষ্টি, ভেতরে
বিস্মৃতপ্রায় স্মৃতির বাতাস,
দু’জনের মনে, স্কুল
জীবনের ঝড়ো হাওয়া।
কোথাও বাতাস নেই, সূর্য ছিটোচ্ছে বিস্তর
ঝাঁঝালো রোদের থুতু―